ফেইক ফেইসবুক আইডি

তুহিন ফেইসবুকে বসে আছে। পাশের ঘর থেকে মা মাঝে মাঝে বকে ওঠেন। কিন্তু তুহিন কী সাড়া দেয়!

স্কুল বন্ধ থাকলে তুহিন সারাটা দিন ফেইসবুকেই থাকে। মা-র কথা ওর কানেই যায় না!

তবে ফেইসবুকও ইদানিং দারুণ বোরিং ঠেকছে!

লোকজনের কী সমস্যা সে বোঝে না। হাবিজাবি সব গেইম খেলতে থাকে!

সারা-টা দিন।

এদের কি আর খেয়ে-দেয়ে কোন কাজ নাই? অবশ্য তুহিনও গেইম খেলে।

ফেইসবুকেই! এত্ত মজার সব গেইম। কিন্তু অন্যদের মতো সারাদিন ধরে খেলে না! মাঝে মধ্যে চ্যাটিংও করে, ছবি আপলোডিং কমেন্টিং … এই সব সমানে চালাতে থাকে।

তুহিন আর রবিন মিলে ইদানিং আনিসকে পচাচ্ছে। ইনবক্সে কিংবা ওয়ালে তুমুল পচানি! আনিস এর সাথে নাকি নতুন এক মেয়ের পরিচয় হয়েছে ফেইসবুকে। আর সেই মেয়ের আইডিটা নাকি নকল!

এইটা নিয়ে ব্যাপক পচানো হচ্ছে আনিসকে।

ফেইসবুকে ইদানিং ফেইক আইডি অনেক বেড়ে গেছে।

তুহিন এর একটা নতুন মেসেজ এসেছে। মেসেজ আসলে তুহিন এর ভালো লাগে। কারণ সারাক্ষণ ওর নতুন নতুন নোটিফিকেশন আসে কিন্তু সবগুলোই এটা সেটা অ্যাপ্লিকেশন এর।

মেসেজটা একটা মেয়ের!

হেঁহেঁ! তুহিন ভাবে এটা নিশ্চিত আনিস এর কাজ! মেয়ে সেজে ওকে পচাতে এসেছে। তুহিনও উল্টো ওকে পচিয়ে দেবে বলে প্ল্যান করে!

মেয়েটা লিখেছে “হ্যালো”।

তুহিন সাথে সাথেই লিখলো “হাই”। এটা লিখেই মেয়েটার প্রোফাইল চেক করতে গেলো। মিউচুয়াল ফ্রেন্ড মাত্র একজন। একজন সিনিয়র আপু।

যা ভেবেছিলো ঠিক তাই। মেয়েটার নিজের কোন ছবি নেই। অ্যাক্টিভিটিও খুব বেশি নেই।

নিশ্চিত একটা ফেইক আইডি!

“আমি তনমা।”

“হাই তনমা। আমি আনিস!”

“আনিস?! কিন্তু আপনার প্রোফাইলে তো লেখা তুহিন হাসান।”

“আমার ডাকনাম আনিস! ছোটবেলায় খুব বোকা ছিলাম বলে এই নাম দেয়া হয়েছে!!” (তুহিন ভাবল, আনিসকে মারাত্মক একটা বাঁশ দেয়া হলো! হেঁহেঁ!)

“ও আচ্ছা। তাহলে তো আপনাকে দিয়ে হবে না।”

“কী হবে না?” ব্যাটা আনিস টোপ দিচ্ছে!

“রহস্যের সমাধান!”

“কী রহস্য?” আনিস তো বেশি চালাক হয়ে গেছে মনে হচ্ছে!

“ফেইসবুক প্রোফাইল রহস্য। ইদানিং আমার সবার প্রোফাইলই ফেইক মনে হচ্ছে।”

হেঁহেঁ! এইবার দেখি লাইনে আসছে! নিজে ফেইক প্রোফাইল হয়ে আসছে সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে!

“তাই নাকি? আমারটা দেখে কী মনে হয়?”

“ফেইক মনে হয়।”

তুহিন এর তো মারাত্মক হাসি পেল। আবার একটু মেজাজও খারাপ হল। চোরের মা-র বড় গলা – ফেইক প্রোফাইলের বড় স্ট্যাটাস!

“কী দেখে মনে হল আমারটা ফেইক প্রোফাইল?”

“সব ছবি একই দিনে আপলোড করা দেখতে পাচ্ছি!”

কিছু বলতে গিয়েও তুহিন একটু থমকে গেলো। এটা তো হবার কথা না। ওর এত যত্নে গড়া অহঙ্কারের টাইমলাইন!

এটা কীভাবে সম্ভব? সব একদিনে করেছে সে?! সে নিজের প্রোফাইলে গেলো।

খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে সত্যি অবাক হল। সত্যিই তাই! সব আপলোড করা হয়েছে ৫ নভেম্বর!

“আমার তো অনেক ছবি, একই দিনে দিয়েছি তাই। তোমার তো ছবিও নাই!”

“আছে। তোমাকে এক্সেস দেই নি। প্রাইভেসি দেয়া। তোমাকে এক্সেস দিচ্ছি এখন । তারিখ দ্যাখো কবে আপলোড করা।” ওরা আলাপের ফাঁকে কখন যে তুমি করে বলা শুরু করেছে নিজেরাও জানে না! মেয়েটি ফেইক না রিয়েল সেইটাও এখন আর কোন বিষয় না!

তুহিন প্রথমবারের মতো মেয়েটির আপলোড করা একটি অ্যালবাম দেখতে পারল যেখানে মেয়েটির ছবি আছে।

আপলোড তারিখ ৫ নভেম্বর।

তুহিন এর মনে হল ওর মাথায় যেন ঠাডা পড়ল! এটা কীভাবে সম্ভব?

“তোমার বন্ধুদের ছবি আপলোড এর তারিখ দ্যাখো তো!”

তুহিন দেখে আনিস এর সব ছবি একটি তারিখেই আপলোড করা! ৬ নভেম্বর। আর রবিন এরও একই ঘটনা। সব ৪ নভেম্বর এ আপলোড করা।

তুহিন লিখল “আমরা তো কাছাকাছি সময়েই ফেইসবুক অ্যাকটিভ করেছিলাম!” সে নিজে এই যুক্তি দিলেও নিজেরই কেমন বিশ্বাসযোগ্য মনে হলো না। তুহিন এর মাথা কেমন যেন ঝিম ঝিম করছিলো। এটা সে খেয়াল করে নি কেন?!

“তুমি শেষ কবে ফেইসবুকের বাইরে অন্য কোন সাইটে গিয়েছিলে?”

“আমি তো প্রতিদিনই যাই। আজ কী যেন হয়েছে তাই যেতে পারছি না। অন্য সাইটে গেলেই বলছে নেটওয়ার্ক কানেকশনে প্রবলেম! ফেইসবুক ছাড়া সব সাইটেই!”

“আমারও একই সমস্যা! তুমি তোমার অন্য বন্ধুদের জিজ্ঞেস করো তো!”

তুহিন আনিস আর রবিনকে মেসেজ দিল “দোস্ত গুগল চেক করে দ্যাখ তো ঢুকতে পারিস কিনা?” ওরা রিপ্লাই কখন দেবে জানে না। কিন্তু তুহিন এর মনে হল উত্তরটা ওর জানা!

মেয়েটা লিখল “আর একটা জিনিস! গত কয়েক দিন ফেইসবুক আর ফেইসবুক অ্যাপ্লিকেশন এর বাইরে অন্য সাইট এর কোন লিঙ্ক শেয়ার হতে দেখেছ?”

তুহিন বলল “তাই তো! নাহ” আসলেই তো গত কয়েকদিনে বাইরের সাইট তো একদম চোখে পড়ে নাই!

“গত কয়েকদিন না এবারে চিন্তা করো তো তুমি জীবনেও কখনো অন্য সাইটের লিঙ্ক শেয়ার হতে দেখছ?”

“হাহা এইটা কী বলো? দেখবো না কেন? কত দেখলাম!”

“আবার খুঁজে দ্যাখো তো!”

তুহিন এর হঠাৎ করে মনে হলো মেয়েটা সত্যিই বলছে। চেক না করেই ও বলে দিতে পারে এখন যে ওর কোন ফেইসবুক বন্ধুই বাইরের কোন লিঙ্ক শেয়ার করে নি।

“তোমার আম্মু তোমাকে খেতে ডেকেছে না আজ কয়েকবার?”

“হ্যাঁ! কিন্তু সেটা তুমি কীভাবে জানো?”

“আমার আম্মুও ডেকেছে। আমার সব ফেইসবুক বন্ধুর আম্মুও ডেকেছে। কিন্তু আমরা কেউ জবাব দেই না! তাই না?”

তুহিন বলল “সেটা ঠিক আমরা সবাই বড় হচ্ছি আর আম্মুকে কষ্ট দিচ্ছি।”

“তোমার আম্মু আজ কী রঙ এর শাড়ি পরেছে বলতে পারবে?”

“সেটা তো খেয়াল করি নি!”

“সেটা আমিও জানি না। খেয়াল করি নি। আমরা কেউ খেয়াল করি না। তুমি শেষ কবে খেয়েছো?”

“হেঁহেঁ। কবে খেয়েছি মানে আমার পেট তো পুরাই ভরা। খেয়েছি তো একটু আগেই।”

“একটু আগে মানে কখন?”

তুহিন এই প্রশ্নে মারাত্মক বিরক্ত হয়। “কখন মানে এইতো সকালেই।”

“খাবার এর কথা তোমার মনে আছে?”

“মনে থাকবে না কেন! আজ সকালে…”

তুহিন শেষ করার আগেই মেয়েটা লিখে “পাউরুটি জেলি আর দুধ কলা খেয়েছ তাই না?”

“তুমি জানলে কী করে?”

“কারণ তোমার আমার মতো সব ফেইসবুকবাসীই একই জিনিস খেয়েছে! সবার আম্মুই কিছুক্ষণ পর পর ডেকে ওঠে। সবাই প্রায় কাছাকাছি সময়ের মধ্যে সব ছবি আপলোড করেছে।”

তুহিন জবাব দেয় না। ওর ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে ভুল প্রমাণ করতে। কিন্তু কীভাবে?

“আমার কী মনে হয় জানো? আমাদের ছোট্ট রুমের বাইরে আমরা যখন বেরুবো তখন দেখব সেখানে আসলে পৃথিবী নেই। অন্য কিছু! জিরো ওয়ানে ভরা। আমরা আসলে আসল কেউ না। আমরা কম্পিউটারের প্রোগ্রাম মাত্র!”

“মিথ্যা কথা। এটা সম্ভব না।” কিন্তু তুহিন নিজেই জোর পাচ্ছিল না কথায়। লিখতে গিয়েও কেমন যেন হাত অসার হয়ে যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো ওর অস্তিত্বের ভাবনাগুলো ওর অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য যথেষ্ট না।

“আমাদের রুমের যে দরজাগুলো আছে তার বাইরে বেরুতে গেলেই সম্ভবত আমরা আসল সত্যটা জানতে পারব। কিন্তু আমি খুব ভয় পাচ্ছি। সত্য জানতে ইচ্ছে করছে না!”

তুহিন এরও ভয় লাগছিলো কিন্তু একটা মেয়েকে তো সে এটা বলতে পারে না! সে বলল “আমি দেখে এসে জানাচ্ছি।”

তুহিন উঠে দাঁড়ালো। দাঁড়াতে গিয়ে ওর মনে হল ও যেন কত কাল দাঁড়ায় নি এই দুটি পায়ে। বই এর ওপর ধূলা জমার মতো ওর পায়েও যেন সময়ের ধূলা জমে ছিল।

খুব ধীরে ধীরে সে দরজার কাছে যেতে লাগল। সময় যেন চলছিলো না! দরজার কাছে গিয়ে ডাকল “আম্মু”।

আম্মুর কণ্ঠস্বর শোনা গেলো “কী বাবা! আমি আছি তো। কাজ করছি।” দরজা থেকে অনেকটা দূরে। অন্য রুমে সম্ভবত।

আম্মুর কণ্ঠস্বরের আশ্বাসটা ওর জন্য যথেষ্ট নয়। আম্মুর কাছে যাবে সে। আম্মুকে জড়িয়ে ধরবে।

দরজার নব ঘুরালো সে।

———-

“ইসসসসসস! চমৎকার চলছিল সিমুলেশনটা! এই ‘বিন্তি’ মেয়েটার কারণে ক্র্যাশ করল! গতবার এর সিমুলেশনে সবার ছবি আপলোড এর তারিখ একই দিয়ে ধরা খেয়েছিলাম। এইবার তাই একটু বদলে দিলাম। তবুও ক্র্যাশ করল! এইবার ফেইসবুকের বাইরেও চমৎকার একটা পরিবেশ করেছিলাম কিন্তু!” – শান্ত বলল।

আবির বলল “হ্যাঁ। প্রতিটা চরিত্রের জন্য এটা দারুণ দরকার ছিল। নাহ ফেইসবুকের ডাটা দিয়েই আমরা যেভাবে চরিত্র তৈরি করে ফেলতে পারলাম। আমি বলব সিমুলেটেড রিয়্যালিটির সবচেয়ে সহজ এবং দুর্দান্ত উদাহরণ হচ্ছে এটি!”

“চরিত্রগুলোর কনভার্সেশন কখনও খেয়াল করেছিস? কতটা রিয়েল লাগে! এত কম ডাটা থেকে!”

আবিররা খেটেখুটে গত ১ বছর ধরে বিভিন্ন ওপেন সোর্স কোড, এলগোরিদম ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে নিজেদের আইডিয়া দিয়ে এই ফেইসবুক বেইজড সিমুলেটেড রিয়্যালিটি প্রোগ্রামটি দাঁড় করিয়েছে।

ফেইক প্রোফাইলগুলো ভালো ঝামেলা করছে। এত বেশি রিয়েল প্রোফাইলও তো বানানো সম্ভব না! ফেইকগুলোকে যেন ফেইক না লাগে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

ওরা গত মাস খানেক ধরে প্রোগ্রাম যেন দীর্ঘ সময় ধরে চলে সেই ব্যবস্থা করছিলো – যত কেইসে প্রোগ্রাম ক্র্যাশ করতে পারে সেগুলো যত দূর সম্ভব অ্যাভয়েড করছিল। আবির এর মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের জীবনটাও কি একটা সিমুলেশন হতে পারে না? এখানে ক্র্যাশ খাবার মতো সিনারিও সব বন্ধ করা! দারুণ বুদ্ধিমান কেউ/ কারা এই সিমুলেশন চালাচ্ছে!

———-

জি২ বলল “আমার এই মুহুর্তগুলা দারুণ লাগে। মানুষ যখন নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করে।“

এল৫ বলল “আমারও। এত পরিশ্রমে দাঁড় করানো সিমুলেশন সার্থক মনে হয়। তবে সবচেয়ে মজা লাগছে এখন। মানুষ যখন নিজেই সিমুলেশন এর মধ্যে সিমুলেশন করছে! কোনটা ফেইক আর কোনটা আসল সেটা ওরা নিজেরাও জানে না!”

এ১ বলল “এক মানবীয় দার্শনিক বলেছিলো ‘আই থিঙ্ক দেয়ারফোর আই অ্যাম’- মানুষের আসলেই কি আসল নকল জানার দরকার আছে?!”

বোহেমিয়ান সম্পর্কে

পেশায় প্রকৌশলী, নেশায় মুভিখোর আর বইপড়ুয়া। নিজেকে খুঁজে পাবার জন্য হাঁটতে থাকি। স্বপ্নের সাথে হাঁটা, স্বপ্নের জন্য হাঁটা। https://www.facebook.com/ibappy
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে সায়েন্স ফিকশান-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

25 Responses to ফেইক ফেইসবুক আইডি

  1. সামিরা বলেছেনঃ

    শেষে কী হবে একদমই বুঝি নাই। 😀
    শেষটা দারুণ! 🙂

  2. মনে হচ্ছিলো একটা ইনফিনিটি লুপে পড়ে গেছি!! আসলেই কী এই মুহুর্তের কমেন্ট করছি আমি না কী আমিও একটা প্রোগ্রাম?? চিমটি কেটে দেখবো কী না?? 😛

  3. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    নিজেই সিমুলেশনের মধ্যে পরে গেছি। :voypaisi:

  4. চুপকথা বলেছেনঃ

    অ্যাঁ , কী প্যাঁচের মইদ্দে ফালায় দিলেন 🙁

  5. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    হায় হায় পুরো গোলক ধাঁধার ভেতর পড়ে গেলাম দেখছি!
    সিমুলেশনের ভেতর সিমুলেশন!
    পুরো একটা ল্যুপের ভেতর যেন আটকে গেছে সময়!

    দারুণ দারুণ!
    তুমি যে এত্ত ভালো সাইফাই লিখবা ভাবি নাই!
    ছোট্ট পরিসরে চমৎকার একটা সাইফাই পড়লাম বহুদিন পর।
    তোমারটা পড়ার সময় মুহম্মদ জাফর ইকবালের ইনফিনিটি লুপ নিয়ে লেখা সাইফাইটার কথা মনে পড়ছিল!
    ওটাও দারুণ, তোমারটাও! :clappinghands:

  6. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    মহাকাশযান, চতুর্মাত্রিক কিংবা হলোগ্রাফিক চিন্তাধারার বাইরে একেবারেই নতুন ভাবনার সাইফাই…
    উদ্যোগটা প্রশংসনীয়। আর গল্পের বিষয়বস্তুও বেশ ইন্টারেস্টিং লাগল।পুরো মহাবিশ্বই সিমুলেটেড, একটা কঠিন শৃংখলাবদ্ধ সিস্টেম, আমরা সেই সিস্টেমের একটা ক্ষুদ্র অংশ। চারপাশটা মাঝে মাঝেই বেশ ইল্যুশনের মত লাগে।মন্দ হত না যদি সবকিছুই এমন করে সিমুলেটেড করে ফেলা যেত!

  7. নূহা চৌধুরী বলেছেনঃ

    নিস্তব্ধ শৈশব বলেছেন :

    মনে হচ্ছিলো একটা ইনফিনিটি লুপে পড়ে গেছি!! আসলেই কী এই মুহুর্তের কমেন্ট করছি আমি না কী আমিও একটা প্রোগ্রাম?? চিমটি কেটে দেখবো কী না?? :thinking:

  8. নূহা চৌধুরী বলেছেনঃ

    নিস্তব্ধ শৈশব বলেছেন :

    মনে হচ্ছিলো একটা ইনফিনিটি লুপে পড়ে গেছি!! আসলেই কী এই মুহুর্তের কমেন্ট করছি আমি না কী আমিও একটা প্রোগ্রাম?? চিমটি কেটে দেখবো কী না?? :thinking:
    :thinking:

  9. ইঁদুর বলেছেনঃ

    দারুন।=)-তবে ক্লাইম্যাক্স টা আর একটু মজার করা যেত কিন্তু ভাইয়া।=)

  10. নিলয় বলেছেনঃ

    সিমুলেশনের ভেতরে সিমুলেশন- মারাত্মক 🙂
    এক পর্যায়ে ভীষণ ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন, ভাইয়া 🙂

    কিন্তু অর্ধেক পড়েই জাফর ইকবাল স্যারের ‘প্রোগ্রামার’ গল্পের কথা মনে পড়ে গেল যে! :wallbash:
    আরো সাই-ফাই চাই, ভাইয়া 😐

  11. স্রোতস্বিনী বলেছেনঃ

    মোটা বুদ্ধির মানুষ……মন্তব্য করিবার মতো সিমুলেটেড মগজ নাই……শুধু বুঝলাম যা :huzur: :dshiya:

  12. নোঙ্গর ছেঁড়া বলেছেনঃ

    ওরে!!!

    শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বুঝি নাই কী হইতে যাচ্ছে।
    দারুণস… সেইরকম!!

    :guiter:

  13. তাহসিন বলেছেনঃ

    বেশ ভাল লাগল। বেশ ভাল। ম্যাট্রিক্সের টেস্ট আছে।

  14. অক্ষর বলেছেনঃ

    অসাধারণ! আমি মনে হয় প্রায় বছরখানেক পর একটা সায়েন্স ফিকশন পড়লাম। একেবারেই অসাধারণ। সিম্যুলেশনের ভেতরে সিম্যুলেশন। শেষটা দারুন। আর প্রথমে মনে করেছি ঠিক বোহেমিয়ানীয় একটা লেখা যেখানে ফেসবুকের ফেক আইডি নিয়ে একটা বিশাল বিশ্লেষণ থাকবে কিন্তু ধারনা ভুল ছিল :love:

  15. তিষা বলেছেনঃ

    মজা তো! শেষদিকে এসে পুরাই টাশকি খেলাম! বোহেমিয়ান কাঁপিয়ে দিলো!
    :happy: :happy:

  16. রাইয়্যান বলেছেনঃ

    লুপের বিষয়টিতে নতুনত্ব পাইনি, জাফর ইকবাল স্যারের একটা গল্পে ঠিক এরকম একটা ব্যাপার ছিল!

    ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল বিষয়টা ব্যাপক বিরক্তিকর!!!! :cuthair:

  17. নিশম বলেছেনঃ

    সবচেয়ে অসাধারণ ব্যাপারটা হলো, ফেইক আইডি যে ফেবু’র ফেইক আইডি অতিক্রম করে, মহাজাগতিক ফেইক আইডিকে টেনে আনবে, ঘুনাক্ষরেও বোঝা যায়নি। অস্থির !!!!!!!!

  18. মাশুদুল হক বলেছেনঃ

    আহেম, ডর ডর লাগতেছিল পড়ার সময় 😳

  19. মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেছেনঃ

    এই লেখা পড়ার পর একবার চিমটি কাটা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে! দারুণ ছিল লেখাটা 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।