কিলো ফ্লাইট – আকাশে কেঁপেছিল যাদের বিজয় ধ্বনিতে

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১। মণিপুরের কৈলাশহর থেকে গভীর রাতে একটা অটার বিমান উড়ে গেল। গন্তব্য চট্টগ্রামের পতেঙ্গা। উদ্দেশ্য, পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারির তেল ডিপো ধ্বংস করে দেওয়া। কিছুক্ষণ পর আগরতলার তেলিয়ামুড়া থেকে উড়ে গেল একটি এলুয়েট হেলিকপ্টার। গন্তব্য নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেলের ডিপো। উদ্দেশ্য একই, গোদনাইল তেল ডিপো ধ্বংস।

তেলের ডিপো দুটিতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি মজুদ থাকে। পাকিস্তানি বাহিনীর স্থল, নৌ আর আকাশযানগুলোর জ্বালানি সরবরাহ হয় এসব ডিপো থেকে। ডিপো দুটি ধ্বংস হলে তাদের জ্বালানিসংকট দেখা দেবে। এই তেলের ডিপো দুটি স্থলভাগের দুই নং সেক্টরের গেরিলারা ধ্বংস করার পরিকল্পনা করলেও কড়া নিরাপত্তার জন্য তা সম্ভব হয়নি।

এই বিমান, আর হেলিকপ্টারগুলোতে আঁকা বাংলাদেশী পতাকা। চালকের আসনে আছেন কতিপয় দুর্ধর্ষ বাঙালি বৈমানিক, হানাদারবধে যারা দৃঢ় সংকল্প। প্রতিকূলতা প্রচুর,রাতের আঁধারে উড়ে যেতে হবে রাডার ফাঁকি দিয়ে মাটি ঘেঁষে। কারণ পাকিস্তানীদের কাছে আছে অত্যাধুনিক এফ-৮৬ স্যাবরে ফাইটার জেট। রাডারে ধরা পরা মাত্রই ছুটে আসবে আক্রমণে, ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে এসকর্ট বিহীন এসব পুরোনো বিমান। তবু ভীত নয় আমাদের সেনারা, কারণ বুকে আছে তাদের দেশপ্রেম।

দেশপ্রেম? অদ্ভুত মিষ্টি একটি শব্দ। এ যে কেমন নেশা, কেমন এর মাদকতা তা বোঝার সাধ্য কি আছে সবার? শুধু মাত্র যারা মজেছে এই প্রেমে, করেছে অসীম ত্যাগ স্বীকার কেবল তাদেরই অনুভব থাকে শব্দটির ব্যাপকতা।  যে ক্ষমতা বলে আমাদের লাজুক চেহারার নিজাম, যে কিনা লুকিয়ে কবিতা লিখত প্রেয়সীর নিমিত্তে সে হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা। সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া ফারুক তার বাবাকে বলে যায় “বাবা যুদ্ধে গেলাম। স্বর্গের চেয়েও উত্তম মা এবং মাতৃভূমি।

আর এই দেশপ্রেমের বলেই যুদ্ধ শুরু হওয়া মাত্র প্রায় পাঁচশ বিমানসেনা, পাইলট ও বিমান বাহিনীর অফিসার এসে যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে। স্থলবাহিনীর সাথে বিভিন্ন সেক্টরে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে লড়ে গেলেও আকাশ বিজয়ী এসব বৈমানিকদের কি মর্ত্যে মানায় কোন ভাবে? তাই অবিরত এই বিমানসেনারা চাপ প্রয়োগ করতে থাকে আমাদের মুজিবনগর সরকারের কাছে। কিন্তু চাইলেই কি হয়? যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হলো সামরিক বিমান, যা কেনবার মাত্র বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই আমাদের প্রবাসী সরকারের কাছে। বাধ্য হয়ে তাই মুজিবনগর সরকার ধর্না দেয় ভারতের কাছে।

প্রথমে ভারত আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিবেচনা করে প্রস্তাব দেয় আমাদের বৈমানিকরা তাদের বিমান বাহিনীর অধীনে ভারতীয় উর্দি গায়ে চাপিয়ে লড়ুক মুক্তিযুদ্ধে। কারণ এভাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কোন বিমান আমাদের সেনারা সরাসরি ব্যবহার করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হতো, ফলশ্রুতিতে যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতো।

এ কে খন্দকার (আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন তিনি)

কিন্তু আমাদের সেনারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ফলশ্রুতিতে বহুদিন যাবত প্রস্তাবটি থমকে থাকে এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। কিন্তু এরই মাঝে হঠাত করেই ১৯৭১ এর সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি ভারত সরকার অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারকে একটি স্বাধীন বিমান বাহিনী গঠনের জন্য আমেরিকায় তৈরি ১টি পুরানো ডিসি-৩ বিমান, কানাডার তৈরি ১টি অটার বিমান এবং ফ্রান্সের তৈরি ১টি এ্যালুয়েট-৩ হেলিকপ্টার দেয়। এর সাথে ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে একটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরিত্যক্ত রানওয়ে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এই সীমিত সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। বিমান বাহিনী প্রধান হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারকে (বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী) নিয়োগ দেওয়া হয়।

ভারতের এই হঠাত মত পরিবর্তনে যিনি সবচেয়ে ক্রিয়ানক হিসেবে কাজ করেন তিনি হলেন তৎকালীন ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান পিসি লালের স্ত্রী ইলা লাল। নিজে বাঙালি হবার কারণে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি ইলা লালের সহানুভূতি ছিল সেই প্রথম থেকেই। এরই মাঝে একদিন হঠাত কলকাতায় এলে ইলা লালের সাথে ঘনিষ্ঠতা হয় বাঙালি পাইলট ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট সদরুদ্দিনের এবং তিনি ইলা লালকে বুঝিয়ে বলেন আমাদের নিজস্ব বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা। পরবর্তীতে ইলা লালই তার স্বামী প্রতাপ চন্দ্র লালকে বাধ্য করেন এই ব্যাপারে আশু পদক্ষেপের জন্য।

তা যাই হোক, সশস্ত্র বিমান বাহিনী গঠনে গোপনীয়তা রক্ষার্থে এর গুপ্ত নাম হয় ‘কিলো ফ্লাইট’। অত্যন্ত গোপনীয়তার

সাথে চলতে থাকে এই বাহিনীর কার্যক্রম। এসময় পিআইএ থেকে কিছু বেসামরিক পাইলট যোগ দেন তাদের সাথে এবং সেই সাথে আসেন ইমার্জেন্সী কীটনাশক ছড়ানোর দায়িত্ব থাকা প্ল্যান্ট প্রোটেকশন বিভাগের কিছু পাইলট। সেই সাথে বিমানগুলোকে যুদ্ধোপযোগী করবার জন্য বিভিন্ন সেক্টর হতে যুদ্ধরত মোট ৫৮ জন বিমানসেনাকে এই ফ্লাইটে নিয়ে আসা হয়। পুরো

সুলতান মাহমুদ

নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয় স্কোঃ লীঃ সুলতান মাহমুদকে (পরবর্তীতে এয়ার ভাইস মার্শাল এবং  বিমান বাহিনী প্রধান) যিনি মতিউরের সাথে কর্মরত ছিলেন পাকিস্তানে, শ্রীলঙ্কা হয়ে পালিয়ে আসেন ঢাকা এবং ঢাকা ভারত পাড়ি জমানোর সময় পাকিস্তানী বাহিনী তাকে তাড়া করে এবং এই সময় তিনি সাঁতরে পার হন প্রমত্তা মেঘনা নদী।

এই সেই অটার সংরক্ষিত আছে বিমান বাহিনী মিউজিয়ামে

কানাডার তৈরি অটার বিমানটি বেসামরিক কাজে ব্যবহার হতো। রকেট পড লাগিয়ে এটিকে যুদ্ধের উপযোগী করা হয়। ১৪টি রকেট পর পর নিক্ষেপণের ব্যবস্থা করা হয় এর মাধ্যমে। পেছনের দরজা খুলে লাগানো হয় মেশিনগান। বিমানের মেঝের পাটাতন খুলে ফিট করা হয়েছে ২৫ পাউন্ডের ১০টি বোমা। বোমাগুলো স্বয়ংক্রিয় ছিল না, হাত দিয়ে পিন খুলে নিক্ষেপ করতে হতো। অটারের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০ মাইল।
এলুয়েট হেলিকপ্টারটি ছিল ছোট আকৃতির। ফ্রান্সের তৈরি। ভারত থেকে পাওয়া। মূলত এটিও আগে

এলুয়েট হেলিকপ্টার

বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা হতো। এটির সাথেও লাগানো হয় মেশিনগান এবং রকেট পড। পর পর ১৪টি রকেট ছোড়ার ব্যবস্থা করা হয় এটি থেকেও।  সাথে ছিল ২৫ পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলার জন্য ব্যবস্থা। খুব নিচু দিয়ে উড়তে হয়, তাই আর্মার প্রোটেকশনের জন্য এর তলদেশে এক ইঞ্চি পুরু স্টিল প্লেট লাগিয়ে একেও অতি অল্প সময়ে যুদ্ধের উপযোগী করে তোলে আমাদের বিমানসেনারা।

আর ডিসি-৩ বিমানটি ছিল যোধপুরের মহারাজা। এই মহানুভব ব্যক্তিটি তার ব্যক্তিগত এই ডিসি-৩ বিমান দান করেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের নিমিত্তে, যা মূলত ব্যবহৃত হয়েছিল পরিবহণে।

বিমানগুলো তৈরি হবার পরেই শুরু হয় প্রশিক্ষণ। দিন-রাত একটানা প্রশিক্ষণ। যদিও আমাদের বাঙ্গালি বৈমানিকদের বিশ্বব্যাপী আছে অনন্য কিছু রেকর্ড তবু  বেসামরিক পাইলটদের সামরিক সরঞ্জামে অভ্যস্ত করাই ছিল মূল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু অবশেষে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে রেকর্ড সময়ে সময়োপযোগী হয়ে ওঠে কিলো ফ্লাইট।

আধুনিক যুদ্ধে আকাশ-যুদ্ধ তথা বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। স্থল বাহিনী যখন দেখে তাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে আছে তাদের নিজস্ব বিমান, তখন এই সামান্য জিনিসটিই তাদের মনোবল বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। তাছাড়া দূর থেকে শত্রু সীমার অভ্যন্তরে স্পর্শকাতর টার্গেটে আঘাত আনতে বিমান বাহিনীর বিকল্প নেই। ফলশ্রুতিতে সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্টার্ন রিফাইনারি ও নারায়ণগঞ্জের তেল ডিপোগুলো ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিলো ফ্লাইটকে।

ডি-ডে ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল মধ্যরাতে এই লক্ষ্য নিয়েই অটারে চেপে বসেন ক্যাপ্টেন শরফুদ্দিন, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শামসুল আলম। এতদিন বহুবার বহুবার প্রস্তুতি ফ্লাইট দিয়ে আসলেই নির্ধারিত সময়ে সবাই কম-বেশী উত্তেজিত।

একই অবস্থা বিরাজ করছিলো এলুয়েট হেলিকপ্টারে চেপে বসা কিলো ফ্লাইটের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ, ক্যাপ্টেন সাহাব উদ্দিন ও ফ্লাইং অফিসার বদরুল আলমের মধ্যেও। আর অল্প কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো নির্ধারিত হয়ে যাবে তাদের ভাগ্য।

ঠিক নির্ধারিত সময়ে অটারটি ভারতের কৈলাশহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে উড়ে বঙ্গোপসাগরে এসে সমুদ্র ধরে চট্টগ্রাম পৌঁছে যায়। পুরনো আমলের ন্যাভিগেশন সিস্টেমের উপর নির্ভর করে রাতের বেলা সমুদ্র ধরে অত্যন্ত নিচু দিয়ে

উড়ে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাজ বটে। সেই সাথে তাদের আরো মাথা-ব্যথা হিসেবে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা পাকিস্তান নৌবাহিনীর গানবোট ও জাহাজ যাদের এন্টি-এয়ার গান অতি সহজেই কাবু করতে পারে কোন ধরণের বর্মবিহীন অটারকে। কিন্তু অভিজ্ঞ পাইলটরা তাদের ফাঁকি দেওয়ার এই কাজটিও সম্পন্ন করেন অত্যন্ত সুচারুভাবে। ইস্টার্ন রিফাইনারির কাছে পৌঁছে তা দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্রাই গর্জে ওঠে অটারের নিচে থাকা রকেটপ্যাড। মুহুর্মুহু আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে ওঠে ইস্টার্ন রিফাইনরি । জ্বলে ওঠে ট্যাংকারগুলো আর বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে একের পর এক। চট্টগ্রামবাসীর কাছে সেদিনটি ছিল অন্য রকম একটি দিন। বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় নগরবাসীর। ভয়ার্ত, জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সবাই তাকিয়ে থাকে সাগর পানে। সেদিক থেকে ভেসে আসছে আগুনের লেলিহান শিখা। বহু মাইল দূর থেকেও দেখা গিয়েছিল এই কমলা রঙ্গের আভা। পুরো তেলের স্টক শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগুন জ্বলেছিল একটানা তিন দিন যার স্মৃতি আজও অমলিন নগরীর প্রবীণদের মাঝে।

জ্বলছে রিফাইনারি

আধুনিক সময়েও রাতে হেলিকপ্টার চালানো বিবেচনা করা হয় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে, কিন্তু সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে নিয়ে কোন রকম বিপদ ছাড়াই প্রায় একই সময়ে এলুয়েট পৌঁছে যায় নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে। তাঁরা তেলিয়ামুরা থেকে উড়ে ইলিয়টগঞ্জ হয়ে ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়ক ধরে ডেমরা পৌঁছায়। তারপর দক্ষিণে মোড় নিয়ে সোজা গোদনাইল। লক্ষ্যস্থলে পৌঁছেই তেলের ট্যাংকারের ওপর তারা বোমা নিক্ষেপ করে তারা। মুহূর্তের মধ্যেই ট্যাংকারগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে পুরো আকাশ।

অকস্মাৎ এই পরিকল্পিত আক্রমণে হতভম্ব পাকিস্তান বাহিনী কিছু বুঝে ওঠার আগেই অটার আর এলুয়েট মিশন নিরাপদে ফিরে আসে ভারতে। রচিত হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য বীরত্বগাঁথা। শূন্য থেকে শুরু করে মাত্র অল্প কিছুদিনেই সমর প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমাদের বিমানসেনারা এই সফল আক্রমণ করে তাক লাগিয়ে দেন পুরো বিশ্বকে। শুধু তাই নয়, এই ধরণের আরো পঞ্চাশটি মিশন সম্পন্ন করেন আমাদের বিমানসেনারা। সেই সাথে স্বাধীনতার পরবর্তীতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কিলো ফ্লাইটের পাইলটরাই বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে রাখেন উল্লেখযোগ্য অবদান। আর এই কারণেই যুদ্ধপরবর্তী সময়ে এই কিলো ফ্লাইটের বিমানসেনাদের মেলে বহু সম্মানসূচক খেতাব এবং ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এই বিমানসেনাদের নাম।

কিলোফ্লাইটের গর্বিত ক'জন সদস্য

সংক্ষেপিত আকারে পূর্ব মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনতে প্রকাশিত।

তথ্যসূত্রঃ উইকি, বাংলাদেশ এয়ারফোর্স ওয়েবসাইট, মাই ইয়ার্স উইদ আইএএফ(পিসি লাল), ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ – ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন (কিলো ফ্লাইট)

এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বিবিধ-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

18 Responses to কিলো ফ্লাইট – আকাশে কেঁপেছিল যাদের বিজয় ধ্বনিতে

  1. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    আপনার এই মুক্তিযুদ্ধের দলিল থেকে গল্প এনে উপস্থাপন করাটা আমার কাছে অসাধারণ লাগে। স্যালুট আপনাকে এইরকম পোস্টগুলো পরপর দেবার জন্য। :huzur:

    ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, বিমান ঘাঁটি, হামিদুর- দুর্দান্ত! :huzur:

    • নিঃস্বীম স্বপ্ন বলেছেনঃ

      পড়বার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂

      • ফিনিক্স বলেছেনঃ

        এই ধরণের লেখা পড়বার জন্য ধন্যবাদ দিতে হয় না।
        এটা লেখা যদি কারো দায়িত্ব হয়, তবে পড়াটাও পাঠকের দায়িত্ব।
        নিজেদের ইতিহাস-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা আর দু-চারটা সময় কাটানো গল্প পড়ার মাঝে অনেক তফাৎ আছে ভাইয়া।

  2. নিলয় বলেছেনঃ

    দুর্দান্ত পোস্ট 🙂

  3. Ultimate Outsourcing Destination বলেছেনঃ

    Mind blowing. Salute to the freedom fighters…

  4. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    উফফ একদম রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম! পুরো যুদ্ধক্ষেত্রে ঢুকে গেছিলাম। :dhisya:
    এইসব গেরিলা যুদ্ধ আমার যে কি এক্সাইটিং লাগে!

    গায়ে কাঁটা দেয়া এই অসাধারণ বীরত্বগাঁথা যে জাতির, তার কেন আজ এ দৈন্যদশা থাকবে? 🙁

    “আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে?” ক্ষমতাবানদের দেখানো সব ধরনের ভয়ভীতি কুণ্ঠা দূর করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার সময় হয়ে গেছে। দেশের মাটিকে ভালোবাসার প্রমাণ কাজ দিয়ে দেখাতে হবে, ঠিক একাত্তরের মত করেই, একাত্তরকে বুকে রেখেই।

  5. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    অনেক অনেক ধন্যবাদ এই লেখার জন্য।

    এই লেখাগুলো আমাদের তরুণতরদের জন্য। তাঁরা বুঝুক কীভাবে আমরা দেশটা পেয়েছি! কী করতে হবে আমাদের!

    • নিঃস্বীম স্বপ্ন বলেছেনঃ

      “এই লেখাগুলো আমাদের তরুণতরদের জন্য। তাঁরা বুঝুক কীভাবে আমরা দেশটা পেয়েছি! কী করতে হবে আমাদের! ” – একমত।

  6. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    :huzur:
    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পোস্ট ভালো পাই। আর এত দারুন করে উপস্থাপন করলে তো কথাই না!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।