LOVE, পীরবাবা, পুলিশ-সাংবাদিকঃ ভালবাসার ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল’ কাহিনী

এই বাজারে সেবা করাও অসাধ্য সাধনের মত কী কঠিন রে বাবা! খেতে গেলে মন্ত্রী বলবেন কম খান আর খাওয়াতে গেলে পুলিশ বলবে কেনার টাকা কোথায় পান? ঈদে যদি কোলাকুলির আগেই দু’টাকা পকেটে ভরা যায় তো ভাল, নইলে চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসিয়ে দিলেও লাভ- ঈদের পরে অন্তত প্রমোশনটা ঠেকায় কে? এখন তো আবার পুলিশদেরই যুগ! তাই খিলগাঁয়ের ফুটপাথে বসে ‘দিন আনে, দিন খায়’ পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে মেহেদী পরিয়ে দিতে দিতে যখনই চোখ চলে গেল পুলিশের দিকে, কাজ বাদ দিয়ে লাফিয়ে উঠলাম। বাইকে বসে একজন পুলিশ তখন আরামসে জেরা করে যাচ্ছে আমাদের টিম অ্যাকশনিয়ার কাম ফটোগ্রাফার শৈশবকে! বেচারা ছবি তোলা বাদ দিয়ে বকবক করে চলেছে ঐ পুলিশ ভদ্রলোকের সাথে। আরেকজন তো রীতিমত টহল দিতে দিতে মেহেদী ডিজাইন অথবা চোরা চোখে অ্যাকশনিয়ার আপুদের চেখে নিচ্ছেন! দেখে রাগ উঠে গেল মাথায়। কোথায় ভুরি ভুরি ছবি উঠবে, বাসায় বসে একশোটা বাচ্চার হাসিমুখ দেখব আর ঠোঁটটা ইংরেজি D অক্ষরের শয্যারত ভার্সন হবে তা না স্ন্যাপগুলো মিস হচ্ছে! ভাবছিলাম, বোধহয় শৈশবের হাতে ধরা কোয়ান্টামের ব্লাড ডোনেশান কার্ডে কাজ হবে না, রিস্ক নিয়ে লাভ নেই। কাদের ভাইয়ের মত ভুল করব না ভেবে ইশারায় তন্ময়কে ডেকে বললাম, ‘DU এর আইডি কার্ড লাগবে নাকি?’

শুনে তন্ময় হেসে ফেলল।

তবু আমি জোর দিয়েই বললাম, ‘লাগলে বল।’

বেচারা আশ্বাস দিল তেমন খারাপ কিছু হবে না, চিন্তার কারণ নেই। ভাবটা এমন, তারা দু’তিনটে ছেলে অ্যাকশনিয়ার থাকতে ১৫ টা মেয়ে অ্যাকশনিয়ারের চিন্তা কী? মা-বোনকে (মা অবশ্য কেউ ছিল না) রক্ষা করতে তারা তাদের জান-প্রাণ শহীদ করতেও প্রস্তুত- এই আশ্বাস পেয়ে ফিরে এসে কাজে মন দিলাম। কথা অবশ্য তারা রেখেছিল। কাজের সময় টের পাই নি, পরে শুনি কোথা থেকে যেন হঠাৎ এক প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার উড়ে চলে এসেছিলেন আমাদের ছবি তুলতে, আমাদের মানে মেয়েদের। শৈশব তাকে বাচ্চাদের ছবি তোলার অনুমতি দিলেও অযথা মেয়েদের ছবি তুলতে নিষেধ করায়  বেচারা অপমানিত বোধ করে তৎক্ষণাৎ প্রস্থান করেছিলেন!

 

যারা পড়ছেন তাদের জানিয়ে রাখা প্রয়োজন যে ‘CommunityAction (CA)’ (( http://www.facebook.com/communityactionbd )) নামের একটা Voluntary Organization এর প্রজেক্ট ‘Action: Mehndi Magic’ এ আমরা কাজ করছিলাম। এইগুলো কাজের সময়কার ঘটনা-দুর্ঘটনার কথা। সামনে টুইস্ট আছে। চোখ মনিটরের আরো কাছে নিয়ে আসুন। কারণ এখন শুরু হবে ভালবাসার গল্প। হয়ত আপনাদের আকাঙ্ক্ষিত মোবাইল প্রেম-বিয়ের মত চটকদার হবে না তবু এগুলো মজার। কারণ এই গল্পগুলো একেবারেই রাস্তার বাসিন্দাদের প্রেমের কাহিনী। কাহিনীর নায়ক-নায়িকাদের বয়স আবার ৭-১০ এর ভেতর! ধারণাই করা যায় না এরা কীরকম আপ টু ডেট! (আমার অনেক কিছু এখনো শিখতে হবে এটুকু অন্তত বুঝতে পেরেছি!)

 

খিলগাঁয়ের সব অ্যাকশনিয়ারের নতুন করে আকীকা দিলে আমার নাম হত, ‘লাভগরু’ (গুরু নয়, ওটা হওয়া সম্ভবও নয়) অথবা ‘শাপলাপু’। হাতভর্তি মেহেদী দেয়া এক পিচ্চি এতজন অ্যাকশনিয়ার থাকতেও কেন যেন (মনে হয় টেলিপ্যাথির মাধ্যমে বুঝতে পেরেছিল যে আমিই এই বিষয়ে সবার ভেতরে সবথেকে অশিক্ষিত) প্রথমে আমার কাছেই এসে তার কব্জি দেখিয়ে বলল, ‘আপু, এইখানে একটা লাভ (Love) আইক্কা দ্যান।’

আমার ঠোঁট খুলে যেই হা হওয়া শুরু হয়েছিল সেটা ২ সেকেন্ডের মাথায় পরিধিতে চতুর্গুণ হয়ে গেল যখন তার পাশের পিচ্চিটা বলল, ‘ আপু, লিখেন, ল এ আ-কারে লা…’

এরপর যথারীতি আমি দ্বিধান্বিত। পাশের পিচ্চির কাছ থেকে বানানের কোর্স করব নাকি love  আঁকব ভাবতে ভাবতে love সাইনটাই এঁকে ফেললাম কারণ ওটাই সহজ মনে হয়েছিল। হা এর পরিধি আর বৃদ্ধি করার সাধ্য ছিলো না। তাই অসন্তুষ্ট পিচ্চিটা যখন বললও, “লাভের পাশে ইট্টু ডিজাইন কইরা দ্যান।”  তখন হা বাদ দিয়ে হাবার মত ভাবতে বসেছি,”ছাইড়া দে মা, কাইন্দা বাঁচি!”

যথাসাধ্য ডিজাইন করার পর হঠাৎ করেই আমার জনপ্রিয়তা বেড়ে গেলো। মেহেদী দেয়া হাতের কব্জিতে কব্জিতে love সাইন এঁকে ডিজাইন করতে করতে একসময় রীতিমত টায়ার্ড হয়ে গেলাম। এমন সময় আরেকটা পিচ্চি মেয়ে এসে বলল, “আপু, লাভ আইক্কা দ্যান আর পাশে লিখ্যা দ্যান রাশেদ।”

তার love সাইনের পাশে ডিজাইন চাই না, চাই রাশেদ! আহা, কী ভালোবাসা! রাশেদই তার জীবনে মেহেদীর ডিজাইন- এই চরম সত্য আবিষ্কার করে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম! এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলাম যে আর কোন কথাই বলতে পারি নি।

 

IMG_2061

 

কিন্তু আমি না পারলে কী হবে? অ্যাকশনিয়ার আশিক ঠিকই পেরেছিল (যদিও কেন এমন মূর্খের মত একটা প্রশ্ন সে করেছিলো, আমার জানা নেই)। ওকে এক পিচ্চি মেয়ে এসে বলল, “ভাইয়া, এক হাতে লিখ্যা দ্যান শান্তা, আরেক হাতে আমিন।”

আশিকের প্রশ্ন, “আমিন কে? তোমার ভাই?”

জবাব এলো, “না, আমার পার্টনার!”

 

IMG_2096

 

অনীফার কাছে গিয়ে আরেক পিচ্চি মেয়ে বলল, “আপু, লিখেন রুমা প্লাস রুবেল।”

আনীফা বেচারি কী দুঃখে যেন ইংরেজিতে লিখল, “Ruma + Rubel”

তখন মেয়েটা বলল, “পাশে S লিখ্যা দ্যান।”

আনীফা বেচারি তখনো কিছুই বুঝতে পারে নি। সে অবাক হয়ে বলল, “কিন্তু Rubel লিখতে তো S লাগে না!”

মেয়েটা তবু ওকে তা-ই লিখে দিতে বলল। শেষে সেটা দেখতে হলো এইরকমঃ “Ruma + Rubel = S” !!

আমরা S এর কোন ব্যাখ্যায় না যাই। ওটা আপাতত বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের মতই রহস্যময় হয়ে থাক। এই ফাঁকে একটু অন্য গল্পে ঘুরে আসি।

 

হঠাৎ করেই Love বিলীন হয়ে গিয়ে বাচ্চাদের মধ্যে ক্রেইজ আসলো শাপলা আঁকানোর। সেটার শুরুর ঘটনাটা পরে জেনেছিলাম। কিন্তু সেদিন আদ্যোপান্ত সব শাপলা মেহেদী টিউব শেষ হয়ে যাবার আগ পর্যন্ত আমাকেই আঁকতে হয়েছিলো! শুরুর গুরু যে শৈশব সেটা জেনে যারপরনাই বিস্মিত হয়েছিলাম। ছবি তোলা বাদ দিয়ে সে কেন সেদিন ডিজাইনার হবার বাসনা প্রকাশ করেছিলো, এই প্রশ্নের উত্তর আমি আজো পাই নি। কোন এক পিচ্চি কোন এক অ্যাকশনিয়ারকে ফুল এঁকে দিতে অনুরোধ করলে শৈশব তাকে তার প্রিয় ফুলের নাম জিজ্ঞেস করে। ব্যস, তারপর থেকেই শুরু। তাও ওরা জাতীয় ফুলের নামটাই বলেছে দেখে আমি চরম খুশি (কারণ ওটা আঁকতে পারতাম)। ভাগ্যিস বকুল, রাধাচূড়া, মোরগফুল, রক্তকরবী, ডালিয়া, সূর্যমুখী বলে এতো ভ্যারিয়েশন আনে নি।  সবচেয়ে শুকরিয়া এই যে, কেউ ভুলেও কদম ফুলের কথা মনে করে নি। দ্বিমাত্রিক তলে একটা গোলের উপরে-নিচে-পাশে-ভেতরে কেমন করে দাঁত খোঁচানির মত কতগুলো কাঠি আঁকতাম সেটা ভেবেই কূল কিনারা পাই নি এখনো। আঁকলেও যে তা কদম না হয়ে কাঁঠাল হত কীনা তারও কোন নিশ্চয়তা ছিলো না!

 

পিউলির কাছে গিয়ে এক বাচ্চা ছেলে যা খুশি তাই এঁকে দিতে বলেছিলো। বাচ্চাটা অনেক ভালো ভেবে পিউলি সুন্দর করে লিখে দিলো, “I Am The Man \m/”

কিন্তু ভুলটা করলো তার ঠিক পরেই। বাচ্চাটাকে খুশি করানোর জন্য বলে বসলো, “এটা আরবি।”

আফসোস (আসলে সুখের বিষয়) বাচ্চাটা ইংরেজি A B C D কিছুটা হলেও জানতো। খামাখা মিথ্যা বলার জন্য বেচারি পিউলির রোজাটা সেদিন হালকা হয়ে গেলো (একটু আগেও যদি সেটা বুঝতো ও)।

 

নিশমের নাম হয়ে গিয়েছিলো “মায়ের দোয়া”। খনার বচনের মত নিশমের ডিজাইন বচন সেদিন বাচ্চাদের হাতে হাতে ঘুরেছিলও “মায়ের দোয়া” হয়ে! এতো ঠেলাঠেলির ভিড়ে চান্স না পেয়ে এক বাচ্চা নিশমের পাশে বসা আশিককে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল, “ভাইয়া, মায়ের দোয়া।”

ছেলেমানুষ মা হতে পারবে না- এই দুঃখেই হয়ত বেচারা মায়ের দোয়া দিতে পারল না (যদিও নিশমেরও মা হবার কোনই চান্স নেই)। বাচ্চাটাকে সে ফিরিয়ে দিয়ে নিশমকে দেখিয়ে বলল, “ভাই, মায়ের দোয়া ইনার কাছে!”

 

IMG_2070

 

যদিও আমাদের কথা ছিলো শুধু বাচ্চাদের হাতেই মেহেদী পরিয়ে দেবার তবু আমরা বাচ্চাদের মায়েদের ভেতর কয়েকজনকেও খুশি করিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু উনাদের মেহেদী পরাবার জন্য আমাদের চেয়ে পারসোনা অধিকতর যোগ্য- এই হাইপোথিসিসে আমরা সব অ্যাকশনিয়ার সেদিন সহমত দিয়েছিলাম। যাই হোক, কোথা থেকে যেন মায়েদের পাশে এক বাবা এসেও ঝোলাঝুলি শুরু করলো, তাও আবার নিশমেরই কাছে! বেচারার দয়ার শরীর। সে জিজ্ঞেস করলো যে তিনি কী ডিজাইন দিতে চান। ভদ্রলোক উত্তরে চার-পাঁচবার একটা নাম লিখে দিতে বললেও নিশম তখনো সেটা উদ্ধার করতে পারে নি। আরো কিছুক্ষণ বলার পরে সে যা বুঝলও তা-ই লিখে দিলো, “খাজা ছাইফুদ্দী নকশাবন্দী মুজাদ্দেদ” (আসলেই যে নামটা কী তা একমাত্র আল্লাহ মালুম)

নাম লিখে দেবার পর সে বুঝতে পারে যে লোকটা ঐ নামধারী পীরের মুরীদ! এরপর শুরু হলো পীর ক্রেইজ। বাচ্চারা সরাসরি মুরীদ না হোক, মেহেদী দিয়ে হলেও তারা মুরীদ হয়ে যাবে বলে বায়না শুরু করলো। নিশমের দয়ারই শরীর। ধৈর্য ধরে সে সবাইকে পীরের মুরীদ বানিয়ে দিলো! সেই পীর জানলে ফ্রি অ্যাডভার্টাইজিং করার জন্য ওকে যে কত দোয়া দিতেন সেটা আমরা কেউ হিসেব করে দেখি নি! আদৌ দিয়েছেন কীনা সেটা এখনো আমাদের অজ্ঞাত। আপনারা কেউ জানলে জানাতে পারেন।

 

আমাদের এতো ঘটনা যে বললেও শেষ করা যাবে না। তবে ছোট্ট একটা গল্প না বললেই নয়। সেটা হল, প্রাপ্তির গল্প। নিয়ামুল ইসলাম নামের একটা বাচ্চা ছেলে কীভাবে যেন আবিষ্কার করলো যে মেহেদীর প্যাকেটের ভেতরে নখের আকারে কিছু স্টিকার আছে। আমাদের প্রতি তার ভালবাসার প্রতিদান দিলো সে এভাবে- আমাদের প্রত্যেকের হাতে হাতে সে একটা করে স্টিকার লাগিয়ে দিতে থাকল আর বলতে লাগলো, “আপু নেন, সওয়াব হবে।”

তারপরে আর সব বাচ্চারাও তার দেখাদেখি আমাদের কাছ থেকে মেহেদীর প্যাকেট চেয়ে নিয়ে একই হুল্লোড় শুরু করে দিল! ছোট মাথায় ভালবাসা প্রকাশের কী অসাধারণ রকমের বৈচিত্র্যপূর্ণ, ছোট্ট, মায়াভর্তি একটা চেষ্টা!

 

যারা পড়ছেন তারা নির্ঘাত এতক্ষণে ধৈর্য্হারা হয়ে পড়েছেন। তবু আরো ঘটনা জানার জন্য অত্যুৎসাহী কোন ব্যক্তি থেকে থাকলে কিশোরচিত্র রাখা শুরু করতে পারেন। এই ম্যাগাজিন থেকে এক সাংবাদিক ভদ্রলোক এসে বাচ্চাদের ছবি তুলে ব্যাপক আগ্রহ সহকারে শৈশবের কাছ থেকে CA এর যাবতীয় তথ্য নিয়ে গেছেন এবং তার কার্ড দিয়ে গেছেন। আমাদের খবর অবশ্য ছাপা হবে কীনা, হলেও সেটা কবে তা তিনি কিছুই জানান নি। কার্ডে কোন ফোন নাম্বার নেই। শুধু দুটো ঠিকানা আর একটা মেইল অ্যাড্রেস দেয়া। ঠিকানা দুটো কিশোরচিত্রের অফিসের। তার মধ্যে একটা অফিস ঢাকায়, অন্যটি সুদূর জাপানে! তাই জাপান প্রবাসীদের জন্য সুখবর। ভূমিকম্পে আপনার মাথায় বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়লেও দিশেহারা হবেন না। পত্রিকা অফিস ভাঙবে না, সেখানে গিয়ে চাইলেই আমাদের পরবর্তী খবরটা পেলেও পেয়ে যেতে পারেন বৈকি!

 

ফিনিক্স সম্পর্কে

"প্রিয় পতাকার লাগি // জটায়ুর মত রক্ত ঝরাতে // আমিও প্রহর জাগি..." https://www.facebook.com/phoenix.chhanda
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বিবিধ, রম্য-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

22 Responses to LOVE, পীরবাবা, পুলিশ-সাংবাদিকঃ ভালবাসার ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল’ কাহিনী

  1. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    বিশাল লেখা! খুবই সুন্দর করে ঘটনাগুলো তুলে আনতে পেরেছিস………মনে হচ্ছে,চোখের সামনে ঘটনাগুলো দেখতে পাচ্ছি :clappinghands:

  2. নিশম বলেছেনঃ

    হায়রে মায়ের দোয়া !!!
    কথা ঠিকই কইছো, আমার তো দয়ারই শরীর ! দয়ার পরবশে সে শরীরে মাথা দিলেই নরম ও স্থিতিস্থাপকতার দরুন মানুষের ঘুম আইসা পরে !

    তবে, বড়রা জ্বালাইছে, মারাত্মক জ্বালাইছে ! ঠিক একইভাবে বাচ্চাগুলার সাথে ইনজয় করসি। ২টা মিলে কাটাকাটি 😀

    :clappinghands: :clappinghands: :clappinghands: :clappinghands: :clappinghands:

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      “দয়ার পরবশে সে শরীরে মাথা দিলেই নরম ও স্থিতিস্থাপকতার দরুন মানুষের ঘুম আইসা পরে !”>>হা হা হা। 😀
      তবে কাটাকাটি করব না, কারণ আমার কাছে মজার ভাগটাই বেশি ছিল বলে মনে হয়েছে। 😛

  3. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    অফিসে বসে আর কত হাসব?!
    :rollinglaugh:
    দুর্দান্ত!

    [ইয়ে বানান স্বর, শেষের প্যারায় কয়েকটা ভুল! একটু দেইখেন। ]

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      বানান ভুলের জন্য লজ্জিত। পোস্ট দেয়ার আগে চেক করেছিলাম কিন্তু ফন্ট পরিবর্তনের সময় আরো কিছু ভুল হয়ে গেছে, যেটা তখন খেয়াল করি নি। দুঃখিত, দুঃখিত। 🙁

      হাসি ভাল বস্তু। আয়ু বাড়ায়। তাই অফিস, বাসা, বাসরঘর যা-ই হোক না কেন হাসতে দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়। 😛

  4. সামিরা বলেছেনঃ

    ধৈর্য হারাই নাই। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছি! :rollinglaugh:

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      একই কথা তোমাকেও বলিঃ
      হাসি ভাল বস্তু। আয়ু বাড়ায়। তাই অফিস, বাসা, বাসরঘর যা-ই হোক না কেন হাসতে দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়। 😛

  5. কৃষ্ণচূড়া বলেছেনঃ

    অনেকক্ষণের একটা গড়াগড়ি হাসি :rollinglaugh:

    দারুণ দারুণ! মনে হল ঘটনার মধ্যে দিয়ে গেলাম! একটা :clappinghands: প্রাপ্য ফিনিক্স পাখি 😀
    ‘Action: Mehndi Magic’ প্রচেষ্টাটা প্রশংসনীয়, সবার জন্য ঈদ। ভাল লেগেছে 😀

  6. সাথী বলেছেনঃ

    খুবই মজা পেলাম………… :rollinglaugh:

  7. কিনাদি বলেছেনঃ

    :rollinglaugh: :rollinglaugh:

  8. প্রজ্ঞা বলেছেনঃ

    ভালবাসা ভালবাসি! :beshikhushi:

  9. মুবিন বলেছেনঃ

    বাচ্চা ভয়ংকর, কাচ্চা ভয়ংকর :rollinglaugh:

  10. নিলয় বলেছেনঃ

    হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে, আপু 😀
    অস্থির পোস্ট- কয়টা লাইনquote করবো? ভালো লাগা লাইনের যে অভাব নেই! 😀

    সরবে আসলাম অনেক দিন পর- মন ভালো হয়ে গেছে 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।