আজকাল প্রায়ই আমার কোন কারণ ছাড়া বিষণ্ন লাগে। ছন্নছাড়া মেঘের মত বিষণ্ণ লাগে, একলা চিলের মত বিষণ্ণ লাগে, নিশ্চুপ পাহাড়ের মত বিষণ্ন লাগে। বৃষ্টিধোয়া বিকেলে ঠিক তোমারই মত আমারও বিষণ্ন আর একা লাগে। তোমারও কি কখনো এমন হয়? যখন তুমি ক্লাসে অন্য সবার মত একজন হয়ে উঠতে পার না? যখন স্কুলজীবনের মত ভাল ফলাফল করে রেজাল্ট কার্ডটা আব্বু-আম্মুর হাতে তুলে দিতে পার না আর তাদের চোখে চিকচিক করে জ্বলতে থাকা আনন্দের জলটুকু দেখতে পাও না? ভালোবাসার মানুষটি কি তোমাকেও কষ্ট দিয়ে চলে যায়? প্রিয় বন্ধুরা কি ভুল করে তোমায় ফেলে আড্ডায় মেতে ওঠে? কাছের মানুষগুলো কি তোমার পেছনে অনবরত তোমায় নিয়েই ব্যঙ্গ করে? পরিবারের একান্ত মানুষগুলো কি তোমায় বুঝতে পারে না কিংবা বুঝলেও ভুল বোঝে? তোমার সহোদরও কি তোমারই সামনে ভুল পথে হেঁটে যায়?
আজকাল প্রায়ই আমার কোন কারণ ছাড়া বিষণ্ন লাগে। তোমার মত ঐ বিমর্ষ একাকী কষ্টের কারণগুলোকে যে আমি কারণ বলেই মনে করি না! তাই আজকাল আমার কোন কারণ ছাড়াই বড্ড একা আর বিষণ্ন লাগে। মনে হয় এই পৃথিবীর বৃত্ত জুড়ে কেবল আমি একা বসবাস করছি। আমি- এমন একজন যে শূন্য, রিক্ত। হয়ত আমাকে সবাই দেখতে পায় তবু জানি আমি শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই নই।
“বড় একা আমি
নিজের ছায়ার মত
শূন্যতার মত
দীর্ঘশ্বাসের মত
নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মত
নির্জন নদীর মত
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত
মৌন পাহাড়ের মত
আজীবন সাজাপ্রাপ্ত দন্ডপ্রাপ্ত আসামির মত
বড় একা আমি, বড় একা “
আমি জানি, তোমার আর আমার মাঝে কোন পার্থক্য নেই। কারণ কম-বেশি আমরা সবাই নিজের থেকে বিছিন্ন, নিঃস্ব হয়ে বেঁচে থাকি। নিজেকে নিয়ত ভাঙ্গি-গড়ি; সমস্ত কষ্ট, না পাওয়ার আড়ালে নিজেকে প্রবোধ দেই। নিজের কাছে নিজেকে শতেকবার বিক্রি করি আবার সস্তায় বিক্রি হয়ে যাওয়া পুরনো সেই আমিকে কিনে নেই নতুন করে।
আমি জানি, তুমি বারবার চিন্তা কর নতুন কোন কষ্টে আর নিজেকে জড়াবে না, কারো অবহেলায় দুঃখ পাবে না, নিজের হীনমণ্যতায় আর একাকী কাঁদবে না। তবু তুমি কষ্ট পাও, দুঃখ পাও, একাকী কাঁদ কেননা তুমি চেষ্টা করেও তোমার চোখের সামনে নতুন কোন ছবি আঁকতে পার না। কারণ সবাই তোমায় বলে যে তোমাকে অন্যদের মত জনপ্রিয় হতে হবে, সুন্দর হতে হবে, তোমাকে দামী কসমেটিকস ব্যবহার করতে হবে, এমনকি প্রয়োজনে সার্জারিও করাতে হবে। তোমাকে সবাই বলে যে তোমায় স্লিম হতে হবে, আকর্শনীয় পোশাক পরে ফেসবুকে চমৎকার সব প্রোফাইল পিকচার দিতে হবে। তারপর ধুন্ধুমার সব স্ট্যাটাস দিয়ে অজস্র মানুষের লাইক পেতে হবে। তোমার পরিবারেও ঠিক তাই ঘটে। সবাই বলে যে তোমাকে ঐ আত্মীয়ের মত সর্বগুনে গুনান্বিত আর চটপটে হতে হবে। সর্বোপরি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমাকে মানুষের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠতে হবে।
কিন্তু জানো, তোমার চারপাশে এঁকে দেয়া এই ছবিটাই ভুল, কেবল মায়াজাল মাত্র। এই ছবির বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে তুমি প্রতিদিন আরও ক্লান্ত হয়ে পড়বে, হেরে যেতে থাকবে, ছবির মত হতে না পারার অসহায়ত্ব তোমাকে কুরে কুরে খাবে।
আজকাল প্রায়ই আমার কোন কারণ ছাড়া বিষণ্ন লাগে। বিষণ্ন হবার মত কোন কারণ আজ আর আমি খুঁজে পাই না, যেমন করে তুমি কিংবা তোমরা পাও। কারণ আমি অন্য কারো কথাকে, সিস্টেমের এঁকে দেয়া প্রোগ্রাম করা পুরো ছবিটাকে আজ আর পাত্তা দেই না। হয়ত তোমার মনে হতে পারে যে এই অভ্যাস তৈরি করার জন্য প্রচণ্ড মানসিক শক্তির প্রয়োজন। কিন্তু আদতে তা নয়, তোমাকে শুধু বুঝে নিতে হবে দুর্ভাগ্যবশত বেশিরভাগ মানুষের ভেতর সতেচনতাবোধের অভাব থাকে। তোমার শুধু মনে রাখতে হবে যে তোমার জীবনে আরো অনেক ছোট ছোট বাঁক রয়েছে পরের অধ্যায়গুলোতে যাবার জন্য। নিন্দুকদের দেখা তুমি সবসময় পাবে, তোমার জীবনের সবগুলো অধ্যায়ে, যে কোন বয়সে।
সবার মত হতে পারাটা বড্ড সোজা আর ঠুনকো। তুমি হবে তোমার নিজের মত, আর কারো মত নয়। আর সে কারণে তোমাকে আরও বেশি শিখতে হবে, আরও বেশি জানতে হবে, আর এই শেখা আর জানার জন্য কেবলমাত্র প্রচুর বই পড়তে হবে। নিজের চিন্তাশক্তিকে উজ্জীবিত করতে, নিজের ভেতরে নতুন চেতনাবোধের চাষ করতে, পুরো বিশ্বাসের প্রক্রিয়াকে পালটে দিতে, নিজের দুর্বল বোধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আর সেই লড়াইয়ের শক্তিকে মনের ভেতর সঞ্চয় করে রাখতে দরকার দক্ষতা, যা কেবল শেখা আর পড়ার মাধ্যমেই সম্ভব।
যখন সবকিছু তোমার বিপরীতে যাবে তখন এই সবকিছুর বিপরীতে কখনো উদাসীন হবে না। কারণ এই উদাসীনতা, আক্ষেপ, যন্ত্রণা এগুলো বেশ সহজ বরং এই সবকিছুর বিপরীতে উঠে দাঁড়ানোটাই কঠিন, যার জন্য দরকার সাহস ও উদ্যম। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল তোমার মাঝে এই দুটোর ভেতর অন্তত একটা গুনাবলীর অস্তিত্বও ঠিক সেই বিষণ্ন মুহূর্তে থাকবে না। সবচেয়ে বড় কথা, এই একা উঠে দাঁড়ানোতে তোমাকে কেউ কোনদিন ধন্যবাদ জানাবে না। তাই যখন তুমি একা লড়াই করতে করতে ভেঙ্গে পড়বে, ক্লান্ত হবে তখন কোন এক শরতের বিকেলে কোন এক ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ছায়ায় আমাকে খুঁজে পাবে। আমি তোমার জন্য সেখানে অপেক্ষা করে থাকব কারণ আমি জানি, তুমি এমন একটা কাজ করেছ যেটা সবাই পারে না, আমরা কেউ পারি না, আমরা কেউ পারি নি।
আজকাল প্রায়ই আমার কোন কারণ ছাড়া বিষণ্ন লাগে। বিষণ্ন হবার মত কোন কারণ আজ আর আমি খুঁজে পাই না। বিমর্ষ, অন্ধকারাচ্ছন্ন, নিশ্চুপ শরতের মৌনমুখর মেঘগুলোর হয়ে তাই আজ আমি একাকীত্বের লড়াইয়ে জয়ী হওয়া এই তোমাকে বলছি,
‘তোমায় ধন্যবাদ, কেবলমাত্র তুমিই তা করে দেখিয়েছ, যা আমি-আমরা কেউ কোনদিন শিকল ছিঁড়ে করে উঠতে পারি নি!’
[ অনুপ্রেরণায়:
১. সরব নুসরাত রহমান
২. কার্ল লান্ড এর চিত্রনাট্য ‘ডিটাচমেন্ট’
৩. এডগার অ্যালান পো এর গল্প ‘দ্য ফল অব দ্য হাউজ অব উশার’ ]
🙁 মন খারাপ করা লেখা। কিন্তু পড়ে মন ভাল হয়ে গেল : :happy: :happy: :happy: :happy: :happy: :happy: :happy: :happy:
:happy:
পড়ে মন ভালো হয়েছে শুনে আমারও মন ভালো হয়ে গেল!
আপনাদের জন্যই তো লিখি।
আপনাদের ভালো লাগলেই আমার লেখা সার্থক। 🙂
আহ! খুব সুন্দর কিছু কথা। দারুণ দৃষ্টিভঙ্গি।
এই প্রজন্মের অনেক অনেক ভাইবোনদের সামনে এই কথাগুলো যাওয়া দরকার বলে মনে করি।
সরব ফিনিক্সকে ধন্যবাদ 🙂
thik bolechhen, shotti jaoa dorkar
সত্যি এই প্রজন্মের অনেক অনেক ভাইবোনদের কিছুটা কাজে লাগলেও আমার এই লেখা সার্থক হবে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। 🙂
kibhabe lekho ato shundor kore? mone hochhe jeno akta purono ondhokar barir chilekothay alo achhe, tumi shobaike haat dhore niye jachho, r shirir protita dhap chiniye dichho hate dhore, ekhane sheola, ekhane ektu fokor, shabdhane cholo… ami hingshito! 🙂
আপু, আপনি কমেন্ট করেছেন!
আমার কী ভাগ্য! :happy:
আপনি সেদিন বলেছিলেন বলেই এইরকম একটা লেখা লেখার সাহস করেছি।
তা না হলে আমি এভাবে লিখতেই পারতাম না!
আপনি মন্তব্য করবেন সত্যি ভাবি নি!
উল্টো ভাবছিলাম ফেবুতে আপনাকে অনুরোধ করব কিনা একবার পড়ার জন্য।
আপনি যে ব্যস্ত মানুষ, সময় পাবেন কিনা।
আপনার উৎসাহে লেখা, তাই আপনার মন্তব্যটাও আমার জন্য দারুণ স্পেশাল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সময় করে পড়ে আবার মন্তব্যও করার জন্য। 😀
আমি কিন্তু খুব ছোট্ট একটা মানুষ।
হিংসা করার মত যোগ্যই নই। 😛
:happy:
ভালো লেগেছে আমার।
ধইন্যা। 🙂
ওরে আপুটা … কি মায়া লাগতেসে লেখাটা পড়ে!!!
তোমার জন্য না, নিজের জন্যই 😛
এই রোগটা আমারও আছে! 🙁
লেখা পড়ে রোগটা কি একটু হলেও ঠিক হয়েছে?
না হলে যে আমার লেখাটাই বৃথা! 🙁
আরে না না…
তা হবে কেন?
এই লাইনটা খুব ভাল লেগেছে… “তুমি হবে তোমার নিজের মত, আর কারো মত নয়। আর সে কারণে তোমাকে আরও বেশি শিখতে হবে, আরও বেশি জানতে হবে, আর এই শেখা আর জানার জন্য কেবলমাত্র প্রচুর বই পড়তে হবে।”
…… খুব কাজে লাগবে এই উপদেশটা 🙂
কাজে লাগবে জেনে খুশি লাগছে!
কাজে লাগলেই ভালো, লেখা সার্থক হবে আমার! 🙂
এই মুহূর্তে আমার খুব দরকার এই রকম কিছু লেখা পড়ার। খুব বাজে সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি আপি। মনটা কিছুটা হলেও শক্ত হয়েছে। বাহবা দিবো না কিন্তু সত্যিকার অর্থেই অনেক ভালো লাগলো।
তোর মন কিছুটা হলেও শক্ত করতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে।
জীবনটা অনেক কঠিন রে কিন্তু তাই বলে এত সহজে হার মানতে নেই।
বাজে সময়টা অনেকটা পরীক্ষা দেবার মত।
এটা পার করে ফেলতে পারলেই দেখবি ফলাফলটা অনেক বেশি ভালো লাগছে।
তোর বাজে সময় দ্রুত কেটে যাক- এই প্রার্থনা করি।
কী দারুণ গোছানো লেখা!
শব্দের গাঁথুনি চমৎকার!
শুরুটা কোনোভাবে আরেকটু ইন্টারেস্টিং করা যায় তোর লেখাগুলিতে?
এতক্ষণে একটা সমালোচনা পেয়ে ভালো লাগছে!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু! :happy:
আমি চেষ্টা করব এরপর থেকে ইন্টারেস্টিং করার।
তুমি ভালো-মন্দ পড়ে ব’ল তখন।
তোমাকে দেখাব ইনশাআল্লাহ। 🙂
আজকাল আনন্দ গুলো হঠাত মনের কূপে বালতি সহ ঝাপ দেয়, কিছু রেখে আসে, কিছু বালতি তে নিয়ে আসে। কিন্তু এই ক্ষনে, প্রত্যেক দিনের মেঝেতে লুটোপুটি খাওয়া প্রশ্ন গুলোকে দর্শন দিতে ইচ্ছা হচ্ছে না। আপাত তথাস্তু!
দর্শন দিতে ইচ্ছে না করলে দেয়ার কী দরকার?
আনন্দ বালতিসহ ঝাঁপ দিলে ভালো।
মাঝে মাঝে দুঃখও দেয়।
শুধু ধরে বসে থাকতে নেই কিছুই। 🙂
ধরে বসে থাকা চরিত্রে নেই! এটাই চরিত্রের সব চেয়ে বড় অপবাদ!
আরে এই জিনিসটা ভালো তো!
অপবাদ হবে কেন? 😯
শুরুটা এত বেশি চমৎকার কেন?
হিংসা! হিংসা! হিংসা!
অপূর্ব!! :guiter:
:love:
এই ছেলেটার দেখি আমার সবকিছুতেই হিংসা!
কী আশ্চর্য! 😯
এত চমৎকার সব মানুষ আমার পাশে, যে শুরুটা তাদের মতই চমৎকার। 🙂
যে যেমন সে তো তেমন করেই ভাববে। :love:
:happy: :beshikhushi:
:beshikhushi:
দারুণ লেখা।
প্রিয়তে।
এই লেখা বেশ পরিণত লেখকরা যেমন উৎসাহ দেন সেই রকম সুন্দর।
স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে আর উঠতি বয়সী বিষণ্ণ বিলাসীদের দরকার এই ডোজ!
থ্যাংকুশ ভাইয়া।
পরিণত লেখকদের মত কিঞ্চিৎ উৎসাহ দিতে পারলেই খুশি হব। 🙂
স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে আর উঠতি বয়সী বিষণ্ণ বিলাসীদের দরকার এই ডোজ!
ottonto khati kotha!
এই ডোজ স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে আর উঠতি বয়সী বিষণ্ণ বিলাসীদের এতটুকু কাজে লাগলেই খুশি হব। 🙂
তাছাড়া এটা শুধু উঠতি বয়সেই নয়, যে কোন বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এমনকি নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্যেও। 🙂
তোমার স্বপ্ন হবে তোমার মতো, অন্য কারোর হবার মতো না, অন্য কাউকে ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টাই তোমাকে তুলে ধরুক অন্যরকম করে, আর নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টায় নিয়ত ব্যস্ত এই আমাদের সবার জন্য……
সরব ফিনিক্স আবারও বলে গেলো, এই আমরা খুব একা হলেও, এই আমরাই এক একটা ফানুস……
নিকষ কালো আঁধার চিরে উড়ে যাবার নেশায় মত্ত……
হ্যাটস অফ!
এই আমরা খুব একা হলেও, এই আমরাই এক একটা ফানুস>> কথাটা অসাধারণ লাগল! :beshikhushi:
থ্যাংকুশ মেংকুশ! 🙂
অনেক ভালো লেগেছে
:love:
ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লেগেছে। 😀
ভাল লাগল। এ প্রসঙ্গে প্রিয় একটি গান যুক্ত করতে চাই
ওহ্ গান পেয়েছি ফেবুতে ভাইয়া।
ধন্যবাদ। 🙂
কোন গান ভাইয়া?
এইভাবে লিখো কেমনে আপু! :fire: শিখতে মন চায়। প্রিয়িতে নিলাম। :happy:
আমার থেকে শিখতে হবে না রে পাগলি।
তুই নিজে নিজের মত করে লিখবি, তাহলেই হবে।
তুইও তো দারুণ লিখিস। 🙂
শেখার কোন শেষ নাই। :happy: আর আমি তো কিচ্ছুই শিখি নাই আপু এ পর্যন্ত। এত দারুন করে চিন্তা করতে শেখা, এত দারুন শব্দগুলোকে একসাথে আবদ্ধ করে কি সুন্দর সরল অথচ দারুনভাবে প্রকাশ! :clappinghands: ইশ! আমি কবে এমন করে অন্তত ভাবতে শিখবো। :haturi:
হা হা!
পাগলিটা কী যে বলে না! :love:
শেখার কোন শেষ নাই, কথা সত্য।
আমার ইতিবাচক ভাবনাগুলোর মত ভাবতে পারাটা দারুণ। কিন্তু কথা হল সেটাও ভাবতে হবে তোর নিজের মত করে। আমার লেখার মূল ভাবটা ধরতে পারলে তুই তোর মত করে আরও নতুন কিছু ভেবে নিবি, সাথে আরও ডালপালা যোগ করবি।
পড়ার সার্থকতা তো এখানেই।
জ্ঞান এমন একটা জিনিস যাকে নিজের বুদ্ধি আর যুক্তি দিয়ে আরও ধারালো করতে হয়।
হুবুহু আমার মত করেই তাই সবকিছু ভাবতে হবে এমনটা মোটেই নয় আসলে।
তুই আমার থেকেও সুন্দর করে ভাবতে পারবি, আমি জানি। :beshikhushi:
এই নিয়ে তৃতীয়বার আর ব্লগে প্রথমবারের মত পড়লাম লেখাটা। প্রতিবারেই আগেরবারের চেয়ে ভাল লাগছে। আর এখন মনে হচ্ছে এর চেয়ে ভাল আর কোনভাবে লেখা যেত না। শুরুটাও অনেক সুন্দর।
সবসময়ের মতই! 🙂
সামিরা মেয়েটা নিজে মিষ্টি তো তাই সবকিছু যত বেশি দেখে কিংবা পড়ে তত বেশি মিষ্টি মনে হয় তার কাছে! :beshikhushi:
কষ্ট করে তিনবার পড়লি দেখে অবাক হলাম।
আমি ভেবেছি ব্লগে আবারও একই লেখা তুই আর পড়বি না! 😛
তার মানে পৃথিবীর সব মানুষই মিষ্টি। 😛 সবার কমেন্ট এবং পোস্টের ভিউ এবং লাইক সংখ্যা তাই বলছে।
মনে হল আরেকটু মনোযোগ দিয়ে পড়া দরকার। 😀
তা তো বটেই।
সব মানুষ মিষ্টি না হলে কি আর এই লেখা তাদের পছন্দ হয়? 🙂
তোর ধৈর্য আছে, মাশআল্লাহ। :beshikhushi:
“তোমারও কি কখনো এমন হয়? যখন তুমি ক্লাসে অন্য সবার মত একজন হয়ে উঠতে পার না? যখন স্কুলজীবনের মত ভাল ফলাফল করে রেজাল্ট কার্ডটা আব্বু-আম্মুর হাতে তুলে দিতে পার না আর তাদের চোখে চিকচিক করে জ্বলতে থাকা আনন্দের জলটুকু দেখতে পাও না? ভালোবাসার মানুষটি কি তোমাকেও কষ্ট দিয়ে চলে যায়? প্রিয় বন্ধুরা কি ভুল করে তোমায় ফেলে আড্ডায় মেতে ওঠে? কাছের মানুষগুলো কি তোমার পেছনে অনবরত তোমায় নিয়েই ব্যঙ্গ করে? পরিবারের একান্ত মানুষগুলো কি তোমায় বুঝতে পারে না কিংবা বুঝলেও ভুল বোঝে? তোমার সহোদরও কি তোমারই সামনে ভুল পথে হেঁটে যায়?”
ভীষণ সত্যি কিছু কথা!
শেষের প্যারাটা তো অনেক inspiring :clappinghands:
সরব ফিনিক্স-এর সব পোস্টে যা লিখি, এবারো লিখবো? 😛
নতুন কিছু লেখ বরং।
সবসময় যা লিখিস তা বারবার লিখতে তো তোর নিজের কাছেও একসময় পানসে লাগবে, দায়বদ্ধতার মত হয়ে যাবে ব্যাপারটা। তাই না? 🙂
ফিনিক্স পাখি রকিং :love:
“কাছের মানুষগুলো কি তোমার পেছনে অনবরত তোমায় নিয়েই ব্যঙ্গ করে?”
গত বেশ অনেকগুলো দিন এই জিনিসটাই ভীষণভাবে পীড়া দিচ্ছে। সামনে বন্ধুসুলভ আচরণ করা অথচ পেছনে রসিকতার পাত্র বানিয়ে দেয়া স্বভাবের কিছু ‘বন্ধু’র কথা জানতে পেরে। কী আর করা।
. . . পোস্টটা যেন আমার জন্যই লেখা হয়েছে!
ঐ যে বললাম, বেশিরভাগ মানুষেরই দুর্ভাগ্যজনকভাবে সচেতনতাবোধের অভাব আছে। যাদের ভেতর চেতনা নেই, বুদ্ধির বিকাশ নেই, তাদের কথাকে তাই গুরুত্বও দিতে নেই।
তুই নিজে জানিস তুই কেমন।
মানুষের দুমুখো মূল্যায়নকে খারাপ লাগলেও থোড়াই কেয়ার করবি।
তোর মত উদ্দীপ্ত আর কর্মঠ তরুণের জন্য ভালোবাসা আর শুভকামনা। :beshikhushi:
কেমন যেন অদ্ভূত……
কেমন যেন অদ্ভূত……
কেমন যেন অদ্ভূত……
কেমন যেন অদ্ভূত……
কেমন যেন অদ্ভূত……
আর কী যে বলবো তা বুঝতে পারছি না। কোন এক অচেনা অনুভূতি গ্রাস করেছে যেন মনের ভেতরটা………
মন্তব্য পড়ে আমার অনুভূতিটাও কেমন যেন ওরকমই হল!
এমন ধরণের মন্তব্য আশা করি নি তো, হয়ত তাই।
মন্তব্য কি আশার চেয়ে খারাপ হয়েছে? :thinking:
আরে না না!
পুরো আনকমন মন্তব্য তো, পড়ে আমারও তাই কেমন যেন অদ্ভুত মনে হল। 😛
:penguindance: 😛
চমৎকার! গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুমি অলংকৃত করে প্রকাশ করেছো। হতাশা চারিদিকে আমাদের জড়িয়ে আছে, হতাশ মানুষেরা সত্যিই দিশেহারা, হতাশা কাটিয়ে উঠা সত্যিই কঠিন একটা কাজ অনেকের জন্য। আশা করি অনেকের উপকারে আসবে লেখাটা।
যদি মন খারাপ না করো, সামান্য একটু পরামর্শ কি দিতে পারি? “আর এই শেখা আর জানার জন্য কেবলমাত্র প্রচুর বই পড়তে হবে।” এখান থেকে ‘কেবলমাত্র’ শব্দটা কি বাদ দেয়া যায় বলে তুমি মনে করো? 🙂
হুম ভাইয়া, একদিক দিয়ে যায়। কারণ বই ছাড়াও মানুষ প্রকৃতি আর অন্য মানুষ থেকেও অনেক কিছু শেখে।
তবে প্রত্যক্ষভাবে এই শেখার হার খুব কম।
তাছাড়া বই মানে কিন্তু সব ধরণের বই- ইতিহাস, রাজনীতি, বিজ্ঞান, সাম্প্রতিক, ধর্মীয়, দর্শন, অর্থনীতি, এমনকি সেলফ এস্টিম নিয়ে লেখা সবকিছুই এই বইয়ের অন্তর্গত।
যেমন, নুসরাত আপুর লেখা না পড়লে আমি এভাবেও ভাবা যায় এটা হয়ত চিন্তাই করতাম না।
আপনি আপনার মেয়েদের সাথে আলোচনাগুলো ভিডিও করে এই যে ব্লগে শেয়ার করেন সেটাও কিন্তু এর অন্তর্ভূক্ত। কারণ কাছের মানুষ থেকে হয়ত আপনি বা পরিবারের কয়েকজন শিখতে পারবেন কিন্তু এই শেখা আর জানাটা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে বই (ব্লগ, লেখালেখি ইত্যাদি) জিনিসটা লাগবেই।
একজন মানুষের ভালো দিক, নতুন নতুন আইডিয়া এগুলো লিখিত আকারে থাকে বলেই আমরা অন্যরা জানতে পারি।
নতুবা ব্যক্তিগত পরিচয় না থাকলে এসব জানা, শেখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ত।
কি যে অসাধারণ সুন্দর সৃষ্টি- তার প্রশংসা করার ভাষাজ্ঞান এখন ও শিখে উঠি নি। 🙁 ঠিক যেন নিজের কথা গুলো বলে গেলো!!! 😐
“প্রিয় বন্ধুরা কি ভুল করে তোমায় ফেলে আড্ডায় মেতে ওঠে? কাছের মানুষগুলো কি তোমার পেছনে অনবরত তোমায় নিয়েই ব্যঙ্গ করে? পরিবারের একান্ত মানুষগুলো কি তোমায় বুঝতে পারে না কিংবা বুঝলেও ভুল বোঝে? তোমার সহোদরও কি তোমারই সামনে ভুল পথে হেঁটে যায়?”
স্কুলে পড়া না শিখে/হোমওয়ার্ক না করে ম্যাডামের কাছে অথবা মা’র কাছে মিথ্যা কথা বলে ধরা পরে গেলে যেমন লাগে-মনে হচ্ছে অমন ভাবে ধরা পড়ে গেলাম নিজের দুর্বলতা গুলো নিয়ে 🙁
প্রতিটা লাইন/ কমেন্টই যেন নিজের কথা বলে- “উঠতি বয়সী বিষণ্ণ বিলাসীদের” :thinking:
আসলেই এমন কোন সময় এর মাঝে দিয়েই যেন যাচ্ছি। (“যেন” – বললাম কারন এতো সুন্দর লেখা পড়ার পর ও যদি আত্মা সুস্থ না হয় তাহলে তো খাঁটি ওষুধ টাকে অপমান করা হবে) :love:
ওষুধ কাজে লাগলে খুশিই হব। 🙂
আপনার এই মন্তব্যের প্রতিউত্তর কী হতে পারে, সেটাই ভাবছি।
কৃতজ্ঞতা জানালাম শুধু। 🙂
‘তুমি’ কথা ছিল, ‘আপনি’ তে আপত্তি ছিল। 🙁
উপস, দুঃখিত বৈরাগী আপুনি!
ভেবে নাও যে আদর করেই আপনি ডেকে ফেলেছি। 😛
চমৎকার ন্যারেটিভ স্টাইল কিছুটা নস্টালজিক
আমার অনেক অটোবায়গ্রাফিক অ্যালিউশন দেখতে পাচ্ছি 🙂
শুভ কামনা
🙁