(১)
জহির অফিসের জন্য বের হবে, শার্ট গায়ে দিতে লাগলো, ঠিক এসময় নীরা এলো,
-এই শুনছো?
-হু?
-অফিস যাচ্ছ?
-জহির বিরক্ত মুখে বলল, দেখতেই পাচ্ছ,
-শোননা, আজ একটু বাবার বাসায় যাব, ১০০ টাকা দেবে?
-রোজ রোজ বাবার বাসায় কি?
-কিছুনা, ভাইয়া এসেছে বিদেশ থেকে
-আজ যাওয়া লাগবে না অন্যদিন যেও,
-টাকার কথা বললেই তুমি অমন করো, যাই না একটু?
– আহা বললাম না, আজ যাওয়া লাগবে না, কথা কানে যায় না?
নীরা একছুটে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে, জহির তার পেছনে তাকিয়ে রইল, বেশী কঠিন ভাবে বলে ফেলেনিতো সে, বললেই বা কি, এ কেমন স্ত্রী, স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে যে স্বামীর অবস্থা বুঝতে পারে না সে কেমন স্ত্রী, তার ও বোঝা উচিত।
কথাটা বারবার ভাবতে জহিরের মন খারাপ হয়ে গেলো, কী ই বা এমন চেয়েছিল মেয়েটা, কটা টাকাই তো, মা ভাই কে কার না দেখতে ইচ্ছে করে, তার মা ভাই থাকলে সে ও তো যেতো।
মানুষের মন একবার খারাপ হলে বারবার খারাপ হতেই থাকে, জহিরের মন আরও খারাপ হতে লাগলো, জহির খুব ছোট খাটো একটা চাকুরী করে, একটা অফিসের ক্যাশিয়ারের চাকুরী, মাস শেষে স্বল্প বেতন, নি-মধ্যমার জীবন, টানাটানির সংসার,
সাত পাচ ভাবতে ভাবতে জহির বাস স্ট্যান্ড এ এসে পৌঁছল সারা পথ তার মাথায় এক ই চিন্তা ঘুরপাক খেতে লাগলো।
(২)
-জহির সাহেব…
কণ্ঠটা শুনে জহির এক লাফে দাড়িয়ে পড়ল, কণ্ঠটা অফিসের ম্যানেজার সাহেবের,
– স্যার…
– আরে এত অ্যাটেনশন হতে হবে না, আমি আর্মি জেনারেল না, কি অবস্থা আপনার?
-জি স্যার ভালো,
– আমার তো মনে হয় না
-জি স্যার?
– মানে বললাম, যে মনে হচ্ছে আপনি বড় দুশ্চিন্তার মাঝে আছেন,
– না স্যার দুশ্চিন্তা না, এমনি ই,
-আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি কাজ করুন সমস্যা হলে জানাবেন।
বড় সাহেব চলে গেলেন, জহির এতক্ষণ ফুসফুঁসে চেপে রাখা শ্বাস টা ছেড়ে দিলো, স্যার আসলে ভুল বলেন নি, সে অন্য মনস্ক ছিল বটে, সংসার চিন্তা যে কোন মানুষকেই অন্যমনস্ক করতে বাধ্য।
জহির মনে মনে ভাবল যে এটা খুব খারাপ ব্যাপার হল, ম্যানেজার সাহেব নেহায়েত বড় দয়ালু দেখে ছেড়ে দিলেন, নয়তো আজ তার রক্ষা ছিল না, চাকুরীখানা হারাতে হতো।
-জহির সাহেব
চিন্তার তার আবারো কাটা পড়ল, তবে এবার বড় সাহেব না, কণ্ঠটা মোবারক সাহেব এর, মোবারক সাহেব অফিসের মধ্যম ক্যাটাগরির অফিসার, পাশাপাশি টেবিল তাদের,
-কি ভাবছেন জহির সাহেব? সংসারের কথা নিশ্চয়ই?
– মধ্যবিত্তের আর কি চিন্তা ভাই
– ঠিক ই বলেছেন, আপনার তো আবার নতুন বিয়ে… হা হা হা…
-জি
-কি আর করবেন বলুন, যা মাইনে, এ দিয়ে এই খরচের যুগে চলা সম্ভব না, পানি কিনতে হলেও এখানে পয়সা লাগেরে ভাই
– হুম
– আপনার তো তবু মা বাপ কেও নেই, বেচে গেছেন, নয়ত আবার তাদের কে টাকা পাঠাতে হতো।
জহির বিরক্ত মুখে মোবারক সাহেবের দিকে তাকাল, এই লোকের সমস্যা কি!!
সাধারনত এ ধরনের কথা বলার পর মানুষ বিব্রত বোধ করে, মোবারক সাহেবের মুখে বিব্রত হবার লেশ মাত্র নেই, বরং তিনি রসিয়ে রসিয়ে প্রশ্ন করে যাচ্ছেন, তার মুখের চারপাশে পানের রস গড়িয়ে পড়ছে,
-সামনে তো ঈদ, ভাবীকে কিছু দিয়েছেন?
– না, দেয়া হয় নি,
– ভাবুন ভাবুন, মেয়ে মানুষের যা খরচ, শাড়ি দিলে বলবে সায়া দাও, সায়া দিলে ব্লাউজ দাও, ব্লাউজ দিলে…
জহির প্রবল বিরক্ত মুখে মোবারক সাহেবের দিকে তাকাল, মোবারক সাহেব চুপ মেরে গেলেন,
নিঃশব্দে জহির টিফিনের বাক্স বের করে শুকন রুটি আর ভাজি গিলতে লাগলো, নীরা বড় বড়লোকের মেয়ে ছিল, তাকে বিয়ে করার ফলে মেয়েটার ভাগ্য পুড়ল, হয়তো তার বাপের বাড়িতে পড়নের একটা শাড়ির দাম ই তার মাইনের সমান, আর আজ তাকে ঈদে কিছু দিতে পারছেনা, নিজেকে বড় ছোট মনে হতে লাগলো জহিরের।
(৩)
– এই জানো আজ বাবার বাসায় গিয়েছিলাম
-তাই?
– হ্যা, তুমি তো আর টাকা দিলে না হেটেই যেতে হল।
জহির মনে মনে লজ্জিত হল, সকালের ব্যাবহার তার লজ্জা পাবার কারন, মেয়েটা কিছুই মনে রাখেনি।
-নীরা শোন,
-বল,
– তোমার আমাকে বিয়ে করা উচিত হয়নি,
-জানি, আমার কোন ধনীর দুলাল কে বিয়ে করা উচিত ছিল,
জহির অবাক হল, মেয়েটা স্বাভাবিক গলায় এটা কিভাবে বলল, তাহলে কি আসলেই…
– আমার আসলে বড়লোকের ছেলে কে বিয়ে করে এখন লন্ডন আমেরিকা ঘোরা উচিত ছিল, তবে কি জানো, বড় লোকের ছেলে বিয়ে করলে হয়তো টাকার বিছানায় শুয়ে থাকতে পারতাম, কিন্তু সেখানে শুলে হয়তো সে সুখ পেতাম না যা তোমার বুকে মাথা রাখলে আমি পাই।
নীরার কথায় জহিরের চোখে পানি চলে আসলো, পুরুষ মানুষের চোখে পানি আসতে নেই, তবু চলে আসলো, মেয়েটা তাকে এত ভালোবাসে কেন? সে কি এ ভালোবাসার যোগ্য??
(৪)
সকালে অফিসে আসতেই জহির ম্যানেজার সাহেবের ডাক পেলো, ম্যানেজার সাহেব তাকে জরুরি তলব করেছেন,
জহির বেশ ভয় পেলো, এ কদিনের অন্যমনস্কতা স্যারের চোখে পড়েছে সম্ভবত, আজ আর রক্ষে নেই,
এক গ্লাস পানি খেয়ে বড় করে দম নিয়ে সে ম্যানেজার সাহেবের রুমের সামনে এলো।
-স্যার আসতে পারি?
– হ্যা আসুন, ভালো আছেন?
– জি আছি,
– চিন্তা কমেছে আপনার?
– জি
– যদি কমে থাকে একটু এই হিসেব টা দেখে দেবেন কি?
জহির হিসাবের কাগজটা নিয়ে চোখ বুলাতে লাগলো, ম্যানেজার সাহেব লক্ষ করলেন যে তার কপাল কুচকে যাচ্ছে, বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটে উঠছে তার চেহারায়।
– কি জহির সাহেব মিলল?
– ঠিক বুঝছিনা স্যার, পুরো ১ কোটি টাকার হিসেব পাচ্ছি না,
– হুম, আমি ও পাচ্ছি না তাই আপনাকে ডেকে আনলাম, নিচে আবার আপনার সাইন কি না,
জহির অবাক হয়ে লক্ষ করলো নিচে তার স্বাক্ষর, কিন্তু এ হিসেব তো তার করা না, তার সিগনেচার কিভাবে এলো!!!
-জহির সাহেব
-জি স্যার
– আপনি বাসায় যান, মাথা ঠাণ্ডা করে পুনরায় হিসেব করুন।
– স্যার এ তো আমার হিসেব না স্যার, আমি শিউর এটা আমার করা না,
– কিন্তু সিগনেচার তো আপনার দেখা যাচ্ছে তাই না? বাসায় যান ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন, আর ফাইল যা লাগে নিয়ে যান ঠিক আছে?
– জি
ম্যানেজার সাহেব মুচকি মুচকি হাসছেন, জহির একটা ঘোরের মাঝে হেটে চলে যাচ্ছে, তার প্রবল পানি পিপাসা পাচ্ছে, সে গুনে গুনে ৩ গ্লাস পানি খেল, তবু পিপাসা গেলো না, বুকটা ফেটে যাচ্ছে তৃষ্ণায়, এত গরম লাগছে কেন, পৃথিবীটা কেমন যেন দুলে দুলে উঠছে বারবার।
(৫)
জহির বাড়িতে চলে এসেছে, সে এখনও হিসাব মেলাতে পারেনি, পারবে ও না, কারন সেখানে খুব চালাকী করে ১ কোটি টাকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে, জহির সিগারেট ধরাল, সে বুঝে গিয়েছে কাজটা কে করেছে,
অতি সহজ হিসেব, সে ক্যাশিয়ার, ক দিন ধরে সে অন্যমনস্ক, পুলিশকে এ কথা প্রমান করতে একটু ও অসুবিধা হবে না যে এটা তার অমনোযোগিতার ফল, দোষ চাপবে তার ঘাড়ে, আর যারা কাজটি করেছে তারা খুব দ্রুত টাকা নিয়ে সরে যাবে এ সময়।
জহির সিগারেট এ টান দিয়ে স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করলো, নীরা বাড়িতে নেই, চিরকুট রেখে গিয়েছে যে সে তার মায়ের সাথে শপিং এ গিয়েছে,
জহির বারান্দায় দাড়িয়ে আকাশ দেখতে লাগলো, সম্ভবত অমাবস্যা, আকাশে চাঁদ নেই, ঘুটঘুটে অন্ধকার।
-তুমি এসে গেছ?
জহির তাকাল, নীরার পড়নে নতুন একটা শাড়ী, নীল রঙের শাড়ি, তাকে বড় মানিয়েছে
– হু চলে এসছি
– দেখনা মা আজ কি করলো, জোর করে এগুলো দিয়ে দিলো
হাসি হাসি মুখ নিয়ে নীরা দাড়িয়ে আছে? তার হাত ভর্তি শপিং এর ব্যাগ,
পুরো বিশ হাজার টাকার শপিং জানো, তোমার জন্য যে পাঞ্জাবিটা দিয়েছে তার দাম পাক্কা ৪ হাজার টাকা, রাজশাহী সিল্ক,
জহিরের কেন জানি রক্তে বিদ্যুৎ খেলে গেলো, তার মনে হতে লাগলো তার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে কৌতুক করা হচ্ছে, তার দারিদ্রকে নিয়ে তামাশা করা হচ্ছে, সেই তামাশার উপহার এগুলো,নীরার মুখের হাসিটা হটাত তার কাছে ব্যঙ্গের মত লাগতে লাগলো, যেন ওই হাসিটাই ব্যঙ্গ করে তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তার অবস্থান কোথায়।
-নীরা,
– নীরা জবাব দিচ্ছে না সে এক মনে মুগ্ধ চোখে শাড়ি দেখছে
– এই নীরা
– হ্যা বল
– তুমি এক্ষুনি এগুল ফিরিয়ে দিয়ে আসবে, কারও করুনার আমাদের প্রয়োজন নেই,
– কি বলছ এসব, তোমার মাথা ঠিক আছে?
-হ্যা যা বলছি করো
– না আমি ফেরত দেবনা, এ আমার মায়ের দেয়া, জেদের সুরে নীরা কথাগুলি বলল।
– তোমাকে দিতেই হবে, এখানে মায়ের প্রশ্ন না, আমরা কারও করুনার পাত্র হতে চাইনা,
– আমি একবার বলেছি দেবনা, দেবনা, দেবনা, দেবনা।
জহির সশব্দে নীরার গালে একটি চড় লাগিয়ে দিলো।
নীরা অদ্ভুত চোখে তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল, সারা ঘরে টু শব্দটি নেই।
নীরা কিছুই হয়নি এমন ভান করে শপিং ব্যাগ গুলি তুলে নিলো এবং বের হয়ে গেলো, জহির জোরে দরজা লাগানোর শব্দ পেলো, নীরা চলে গিয়েছে ঘর ছেড়ে,
তার প্রবল ইচ্ছা হল সে নীরাকে আটকায় কিন্তু সে কিছু করলো না।
(৬)
-জহির সাহেব
– জি স্যার
– হিসাব মিলেছে?
– না স্যার
– হুম, আপনি কি বুঝেছেন আপনার কি করা উচিত এখন?
– না স্যার
– আপনার রেজিগ্নেশন করা উচিত, আমি আপনাকে অত্যন্ত স্নেহ করি আমি চাইনা এ ব্যাপারে পুলিশি ঝামেলা হোক, আমি এ দিক সামলে নেব, আপনি রেজিগ্নেশন লেটার টা পাঠিয়ে দেবেন।
– জি স্যার,
– গুড
– স্যার একটা কথা
– বলুন
-আপনি এমনটা কেন করলেন স্যার?
– মানে, আপনি বলতে চাচ্ছেন?
-আপনি খুব ভালো করে জানেন আমি কি বলছি।
– না জানিনা
– আমি আপনার কি ক্ষতি করেছিলাম স্যার?
ম্যানেজার সাহেব কোন কথা বলছেন না, তার মুখ শক্ত হয়ে গিয়েছে ।
– যাই স্যার, ভালো থাকবেন।
জহির রুম থেকে বের হয়ে এলো, রেজিগ্নেশন লেটার টাইপ করাই ছিল, সে সিগ্নেচার করে সেটা ম্যানেজার সাহেবের রুমে পাঠিয়ে দিলো,
নিজেকে হটাত তার অদ্ভুত লাগতে শুরু করলো, কেমন জানি একটা ওজনহীন অনুভূতি, সে যেন বেলুন হয়ে গিয়েছে, পায়ের তলায় মাটি নেই, কাধে কোন ওজন নেই, কেমন যেন মুক্ত একটা ভাব, সাথে প্রবল হতাশা,
হতাশা গুন নাশিনী, জহিরের কাছে এই চেনা পৃথিবীটাই বড় অচেনা লাগতে শুরু করল, শরীরটা কেমন যেন শির শির করছে, বোধ হয় জ্বর আসছে, জ্বর আসার আগে এমন হয়, সে কি করবে ভেবে পেলো না,
বাড়িতে যাওয়া যেতে পারে, কিন্তু পরক্ষনেই ভাবল নীরা তো নেই, সে তো কাল রাতেই চলে গেছে,
নীরার জন্য মনটা খারাপ হতে লাগলো, আজ তারিখ কত? গতকাল ছিল ১১ ই জুন, আজ তাহলে ১২, গতবছর ঠিক এই দিনে তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল, মগবাজারের কাজী অফিসে, বাড়িতে কারও মত ছিল না নীরার, তবু সে তার হাত ধরে ভালোবাসার টানে বের হয়ে এসেছিল, দীর্ঘদিন পরিবারের সাথে তার সম্পর্ক ছিল না, কিছুদিন আগে নীরার বাবা মারা যায়, মৃত্যুর আগে নীরা যেয়ে পিতার কাছে মাফ চেয়েছিল, মৃত্যু পথযাত্রী মানুষ কখনও কাউকে ফেরান না, নীরার বাবাও তাকে ফেরান নি সে থেকে সম্পর্ক টা একটু হালকা হয়েছে, জহির ভাবতে লাগলো, নীরা তাকে বিয়ে করে আসলেও ভুল করেছে, মেয়েটা এমন জীবন পাবার অধিকার রাখেনা,
বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে, শ্রাবনের বৃষ্টি একটানা হয়েই চলেছে, জহির প্রবল জ্বর নিয়ে বৃষ্টির মাঝে হেটে বাড়ি ফিরছে, শ্রাবনের বৃষ্টি হল করুণাধারা, গুরুদেব এ নিয়ে একশোর বেশী কবিতা লিখেছেন,
জহির ঘোলাটে দৃষ্টি নিয়ে বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে, ওই তো নীরা তার দিকে দিকে ছুটে আসছে, আচ্ছা এটা কি বিভ্রম? প্রবল জ্বরে হ্যালুসিনেশন হয় এটা কি তাই, নাকি সে সত্যি ই আসছে? ও কি তাহলে চলে এসেছে?
কেন এসেছে? সে তো নীরার যোগ্য না, নীরা তাকে এত ভালোবাসে কেন?
জ্ঞান হারাবার পূর্বে জহির অনুভব করলো কেও একজন তাকে উষ্ণ আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে আছে, শক্ত করে বুকে আগলে আছে তাকে, এ ঘ্রান তার চিরচেনা, অনেক দিনের আপন, সে শুনতে পাচ্ছে দূর থেকে কেও একজন তাকে ডাকছে, ” এই জহির, এই”
জহির অস্ফুটে বলে উঠল…
” নীরা তোমাকে ভালবাসি”
পরিশিষ্টঃ
জহির আগের কোম্পানিতেই আছে, তার প্রমোশন হয়েছে, সে আর নীরা এখন অনেক বড় একটা বাসায় থাকে, তাদের খুব সুন্দর ফুটফুটে একটি মেয়ে হয়েছে, মেয়ের নাম রেখেছে তারা চিত্রা, চিত্রা একটু একটু হাটা শিখেছে, জহির হাত পাতলেই সে কিভাবে যেন দৌড়ের মত হামা দিয়ে চলে আসে, এ নিয়ে তাদের আনন্দের সীমা নেই,
অর্থ আত্মসাতের দায়ে ম্যানেজার এর জেল হয়েছে, অদ্ভুত ভাবে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে টাকা সহ থানায় আত্মসমর্পন করেন,
শ্রাবনের আকাশ বড় অদ্ভুত এই মেঘ আছে এই নেই, আকাশ বলে কথা।
গল্প ভালো লেগেছে। :beerdrink:
টাইপো আছে।
‘ব্যাবহার’ হবে না, ‘ব্যবহার’ হবে। 🙂
কনফিউশন ছিল, ভুল ধরিয়ে কনফিউশন দূর করবার জন্য ধন্যবাদ 🙂
অনেক সুন্দর।
ধন্যবাদ সামিরাপ্পু 🙂
সুন্দর গল্প। এমন ফিনিশিং আমার ভালো লাগে।
কিন্তু বাস্তব কি এরকম সুন্দর হয়?
বাস্তবে সব সময় হয় না, গল্পে হয়,
বাস্তব সুন্দর করার ক্ষমতা আমার হাতে থাকে না সব সময়, তাই পারি না
গল্পে থাকে তাই চেষ্টা করি মানুষের মন ভাল করার 🙂
ধন্যবাদ 🙂
বেশ ভালো লাগল গল্পটা। সুন্দর সমাপ্তির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। 🙂
আজকাল চারপাশের অনাচার দেখে আমরা সবাই খুব বেশি হতাশ হয়ে যাচ্ছি, তবে এত হতাশার অন্ধকারের মাঝেও বিশ্বাসের জোরে কিছু সুন্দর মনের মানুষ কিন্তু টিকে আছেন এখনও, তারা চান পৃথিবীটাকে বদলে দিতে, স্বপ্ন দেখেন সুন্দর আগামীর। ম্যানেজারের মত এমন মানুষ নিশ্চয়ই আছে, যাদের বিবেক এখনও মরে নি, অপরাধবোধ তাদের নতুন আলোর পথ দেখায়। এদেরকে নিয়েই স্বপ্ন দেখি। 🙂
শ্রাবণের আকাশে মেঘের ঘনঘোটা নিয়ে আসুক প্রশান্তির বৃষ্টি! সেই বৃষ্টিতে আমরা এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন নিয়ে গাইব “এসো করো স্নান নবধারা জলে, এসো নীপবনে…”
স্রষ্টার থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় উপহার ই তো বিবেক, করুনাধা করুনা হয়ে নেমে আসুক আমাদের জীবনে,
ধন্যবাদ 🙂
ফেবু নোট থেকে গল্পটা পড়েছি।
ঝরঝরে লেখা, পড়ে তাই আরও ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু 🙂
লিখতে থাক। তোর এই প্রেমের গল্প ভালো পাইছি। :happy:
ধইন্যাপাতা 😀