পরিবর্তনের যুগেও যে মাধ্যমটি তার জনপ্রিয়তা আরো কয়েক ধাপ উঁচুতে নিয়ে গেছে তা হলো টিভি মিডিয়া| ছোট থেকে বড়, ছেলে-বুড়ো সকলেই কাজের ফাঁকে, অবসরে, সময়ে-অসময়ে টিভি দেখে| বিনোদনের এই মাধ্যমটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে, করছে, করবে| বাংলা চ্যানেল বলতে একটা সময় বিটিভিকেই বুঝা হত| ২০০০ সালের পরবতী সময়টি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ইটিভি, এটিএন, চ্যানেল আই এর রমরমা পদচারণা| ক্রমে ২০১২ সালে এসে আমাদের দেখতে হচ্ছে একগাদা বাংলা চ্যানেল| নিউজ চ্যানেলও পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসছে| কিন্তু এত চ্যানেল, এত বিজ্ঞাপন, এত ব্যবসা, এত সম্ভাবনার পরও প্রশ্ন থেকে যায় এর গুণগত মান নিয়ে| আমরা কি ধরনের অনুষ্ঠান আশা করছি? তরুণ সমাজ কি তা গ্রহণ করছে?
সংবাদ:
যে চ্যানেলই টিউন করুন না কেন, যখনই করুন না কেন, সংবাদ চলছেই| একই খবর, একই আলোচনা, একই ধরনের রিপোর্টিং দেখতে হচ্ছে! এই অত্যাচার থেকে রক্ষা হবে কি না জানিনা| সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে টিভি অন করে এই যে বকবকানি শুনতে হয়, তাতে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া ব্যতিক্রম কিছু নয়| একে তো নিউজ চ্যানেলে সারাদিন নিউজ চলতেই থাকে, তার উপর নন-নিউজ চ্যানেল গুলোও সমানহারে সংবাদ প্রচার করতে থাকে| বাইরের চ্যানেলগুলোর দিকে তাকান| সংবাদ চ্যানেল মানে শুধুই সংবাদ| নাটকের চ্যানেল মানে শুধুই নাটক| মানুষ কি এতবার একই সংবাদ শুনতে চায়? প্রশ্ন রইলো|
নাটক:
বাংলা নাটকের আমি দারুন ভক্ত| আমার বিশ্বাস এই একটি ক্ষেত্রে আমরা এখনো গর্ব করার মত যোগ্যতা রাখি| কিন্তু একই সাথে আমার মনে হয় এই নাটকের জনপ্রিয়তায় কিছুটা হলেও ফাটল দেখছি| একটা সময় বিটিভিতে নাটক মানে ছিল এক পর্বের সাপ্তাহিক নাটক এবং ধারাবাহিক নাটক| কখনো মিস করতাম না| যত পড়াশুনা, খেলাধুলা থাকুক, রাত ৯ টার মধ্যে শেষ| আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই- এর মত ধারাবাহিক নাটকগুলো মানুষকে এতটাই ছোয়া দিয়ে গেছে যে এগুলো কালোত্তীর্ণ হয়ে থাকবে| সুবর্ণা, বিপাশা, শমী কায়সার, আফসানা মিমি, তৌকির, জাহিদ হাসান, হুমায়ুন ফরিদী- এদের মত শক্তিমান অভিনেতা আর কখনো আমরা পাব কিনা জানিনা| এখনকার সময়ে অপূর্ব, নিশো, সজল, হিল্লোল, সারিকা, তিশা, মিম, মম, অপর্ণা, নওশীন- এরা কি সমানভাবে জনপ্রিয় হতে পারছে? এই সুত্র ধরে সাম্প্রতিক সময়ে একটি জনপ্রিয় টেলিফিল্মের কথা বলতে চাই- “ভালবাসি তাই ভালোবেসে যাই”| তিশা, ইরেশ জাকের, সজল, মিম, আরেফিন শুভো অভিনীত এই নাটকটির ডিরেকশন কিংবা অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হবে না| প্রশ্ন উঠবে এর কাহিনী নিয়ে| জানিনা পাঠকদের মধ্যে কে কতটা ইংরেজি সিনেমা দেখে থাকেন| যারা দেখেন না, তাদের বলব “Love actually” এবং “You’ve got mail”-এই সিনেমা দুটি দেখতে| হুবহু এই দুটি সিনেমার গল্প অনুকরণ করাটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি| আমাদের দেশে এখনো অনেক ভালো গল্পকার আছেন| জয়া, তারিন, ইন্তেখাব দিনার, আবুল কালাম আজাদ, মোশাররফ এদের মত অভিনেতা আছে যাদের নাটক দেখতে এখনো অনেককে উদগ্রীব থাকতে দেখি| আবার অন্যদিকে ধারাবাহিক নাটক বা সিরিয়াল যাই বলুন, “গুলশান এভিনিউ”, “1920”-এর প্রেক্ষাপট একটি বিশেষ শ্রেণীকে কেন্দ্র করে| আবার “হাউসফুল” ধারাবাহিকটি জনপ্রিয় হলেও পরবর্তীতে একই ধাঁচের আরো নাটক হওয়ায় এই ধারাটি আবারো জনপ্রিয়তা খোয়াতে শুরু করেছে| নাটকের কাহিনী লক্ষ্য করলে দেখা যায়, উচ্চ/নিম্নবিত্ত কেন্দ্রিক নাটক তৈরী হলেও মধ্যবিত্তশ্রেণী সেখানে উপেক্ষিত| এখন ঘরে ঘরে একই অভিযোগ| মা-বোনেরা ঝুঁকে পড়ছে কলকাতার চ্যানেলগুলোর দিকে| টাপুর টুপুর, সাত পাকে বাধা, রাশি এই সিরিয়ালগুলোর কাহিনী মুখে মুখেই শুনা যায়| দুষ্টু কি রাজাকে ফিরে পাবে, রাশি কি তার অধিকার বুঝে নিতে পারবে, শ্রেয়া কি পারবে মিসেস সরকারকে হারাতে- এসব আলোচনায় মুখর থাকে আড্ডাস্থলগুলো| তার উপর হিন্দী সিরিয়াল তো আছেই| তাহলে এত যে বাংলাদেশী চ্যানেল- এগুলো কি কেউ দেখে না? আপনিই দেখতে বসুন না, যে কোনো চ্যানেল এ, যে কোনো নাটক কিংবা সিরিয়াল| বিজ্ঞাপনের যন্ত্রনায় আসল কাহিনীই ভুলে যাবেন ওই আধ-ঘন্টা সময়ে| তবে কিছু চ্যানেল এ প্রচারিত বিরতিহীন নাটকের বেশ প্রশংসা করতেই হয়| এসব নাটক দেখে মাঝে মাঝে স্বস্তি পাই, নিশ্চিন্ত মনে নাটক দেখতে ইচ্ছে হয়| কিন্তু বিরতিহীন নাটকের ধারাকে সব চ্যানেল বজায় রাখতে পারবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়|
কমেডি শো:
কলকাতার চ্যানেল Zee বাংলা -তে প্রচারিত “মীরাক্কেল” এর জনপ্রিয়তার কথা নতুন করে বলার নেই| বাংলাদেশী পারফরমার রনি, সজল, ইশতিয়াকের উপস্থিতি আমাদের দর্শকদের অনেকাংশে টেনে নিয়ে গেছে বাংলা কমেডির এক অন্য জগতে| আমাদের দেশে কি তাহলে কমেডি শো হচ্ছে না? এনটিভির “দ্য নাভিদ মাহবুব শো”, দেশ টিভির “দেশ e গল্প”, এনটিভির “হাঃ শো”- এসব অনুষ্ঠানের প্রচার নিয়মিত হয়েছে কিংবা হচ্ছে| জনপ্রিয়তার তালিকায় এসব অনুষ্ঠান হয়তো খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে| আমার কাছে মনে হয়, অনুষ্ঠানের প্রচারণা এবং সময় নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে আরো সচেতন হওয়া উচিত| নইলে আমাদের কমেডিয়ানদের কপালে নেহাত দুর্গতিই আছে|
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান:
হানিফ সংকেত উপস্থাপিত “ইত্যাদি” দেখেনি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন| বিটিভিতে প্রচারিত এই ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য মানুষ কতটা পাগল হয়ে থাকত তা ছোটবেলায় আমাকে বেশ অবাক করত| রাত ৮ টায় পুরো রাস্তা ফাঁকা| কি ব্যাপার? “আরেহ মিয়া, কোন দুনিয়াতে থাকেন, আজকে ইত্যাদি আছে না!”-এমন কথাটি রিক্সাওয়ালার কাছ থেকে শুনতে হয়েছিল| সে সময়টাতে আরেকটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান আব্দুন নুর তুষার ও চৈতি উপস্থাপিত “শুভেচ্ছা”ও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল| সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে| সেরকম আবেগ-উত্কন্ঠা আর মনের ভেতর জাগে না| সে রকম অনুষ্ঠানও আর কেউ বানাতে পারছে না| চ্যানেলের আধিক্যে এখন “ইত্যাদি”র জনপ্রিয়তায়ও টান পড়েছে| বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান কেন আর তৈরী হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করলে অনেকের কাছ থেকেই এ ধরনের উত্তর পাওয়া যায়, “যা বানায় তা দেখতে ইচ্ছা হয় না|”
টক শো:
“টক শো” মানেই রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক সমস্যা ও সমাধান নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও আলোচনা| এই অনুষ্ঠানটিই হয়তো আমাদের কারো কারো জন্য অতি আনন্দের বিষয়| কারণ অনেককেই বলতে শুনেছি যে বাঙালি হলো বাচাল জাতি| আর বাচালতার কারণেই নাকি টক শো জনপ্রিয় হচ্ছে| ফোন-কলের মাধ্যমে মানুষ সমস্যা জানাতে পারছে| আমার প্রশ্ন, সেই সমস্যাগুলোর কি আদৌ সমাধান হচ্ছে? শুধু আলোচনা করলেই তো সমাধান হয়ে যায়না| যাই হোক, এই “টক শো”র অত্যাচার থেকে মুক্তির উপায় নাই| বাংলা চ্যানেল মানেই “টক শো একটি আবশ্যিক অনুষ্ঠান|”
বাংলা চ্যানেলকে কিভাবে জনপ্রিয় করতে হবে সে কাজ আমার নয়| আমরা ভালো অনুষ্ঠান দেখতে চাই| একই ধরনের গতবাধা অনুষ্ঠান কারোরই কাম্য নয়| বিদেশী চ্যানেল থেকে বাঙালি চ্যানেলমুখী দর্শকশ্রেণী গড়ে তুলতে হলে সেভাবে অনুষ্ঠান বাছাই ও শিডিউল ধার্য করতে হবে| শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যে চ্যানেল চালু করে পয়সা উসুল করার ধান্দায় থাকলে নতুন প্রজন্ম আর বাংলা চ্যানেল দেখবে না| তাহলে বাংলা মিডিয়ার অবস্থান কোন পর্যায়ে পৌছবে তা অবশ্যই চরম আশঙ্কার বিষয়!
– পাহাড়ি কন্যা
আমি ও অনেক বাংলা নাটক দেখি 🙂 “50 first dates”, “A moment to remember” এসবের ফটোকপি নাটক আছে, সামনে মনে হয় সব মুভির একটা বাংলা নাটক থাকবে 🙁
🙁🙁🙁দারুণ লিখেছেন। লেখার প্রতিটা পয়েন্টের সাথে সহমত।
“বাংলা চ্যানেলকে কিভাবে জনপ্রিয় করতে হবে সে কাজ আমার নয়|” তবে আমাদের মধ্যে থেকেই কারো না কারো কাজ তো নিশ্চয়ই। যারা সমস্যাটা বুঝতে পারে তারা সমাধান করতে না গেলে পরিবর্তন আর কীভাবে আসবে? 🙂
চমৎকার লিখেছেন। :dhisya:
আচ্ছা এখনকার তরুণরা আসলে কতটা সময় টিভি দেখে? কম্পু ফেবু ইন্টারনেট এর কারণে?
খবর দেখে তো মূলত এক বয়সের পুরুষরা!
আর ইত্যাদির মান কতটা কমেছে সেটাও জানি না , আপনার সাথে কিছুটা একমত চ্যানেলের আধিক্য সাথে তরুণদের আরও অন্যান্য distraction এর কারণে টিভিই দেখা হচ্ছে না! ( এই জাতীয় অনুষ্ঠান কিছুটা হলেও সামাজিক। মানে আমি দেখলে আপনিও দেখবেন টাইপ)
আমাদের মধ্যবিত্তই টিভির মূল দর্শক। (নিম্ন মধ্যবিত্ত আর নিম্ন বিত্তদের পাত্তা দেয় কোথায়?! যদিও তারা টিভি থেকে খুব বেশি দূরে সরে নি বোধহয়।) সেই মধ্যবিত্তের রুচিতে কী চেইঞ্জ এসেছে? পাইরেট বে’র কল্যাণে কতটা কম্পু মুখী হয়েছি আমরা?
সাথে সাথে টিভিতে বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে নাটক দেখুন ইস্যুটাও একটা ব্যাপার।
টক শো গুলো আসলে কারা দেখে? রাত ১ টায় হয় তারপর সেটা আবার দুপুরে হয়! কারা দেখে আসলে?
রেডিওতে হলেও না হয় শুয়ে শুয়ে বা বসে বসে দেখা যায়, এই টক শো মানুষ কীভাবে দেখে?
(শিশু কিশোরদের জন্যও বিনোদন এর ব্যবস্থা নাই। তো ওরা গেইম খেলবে না কেন?! )
৭-৮ বছর ধরে টিভি না দেখায় সেভাবে ইনপুট দিতে পারলাম না!
আমার মনে হয় খবর পুরোপুরি দেখা না হলেও শিরোনামগুলো একবার অন্তত দেখা হয়| আর বাঙালিরা মোটামুটি রাজনীতিসচেতন বলে রাজনীতির খবর নিয়ে তরুণ-বৃদ্ধ সকলেরই কৌতুহল থাকে|
টক শো বলতে আমি সবধরনের টক শো বুঝিয়েছি- তারকাদের, রাজনীতিবিদদের, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টক শো| শুধু রাত ১ টায় কিংবা দুপুরে নয়, বরং টিভি অন করলে সংবাদের সাথে সাথে একই হারে টক শো-ও প্রচারিত হয়|
ইন্টারনেটের যুগে হয়তো আমরা ফেসবুক আসক্ত হয়ে পড়ছি| তারপরও কিন্তু অনেকেই স্টার ওয়ার্ল্ড বা স্টার প্লাস এর ইংলিশ আর হিন্দী সিরিয়ালগুলো মিস করে না| কলকাতার বাংলা চ্যানেলের দর্শক সংখ্যাও কিন্তু প্রচুর| সেই হিসেব ধরলে আমাদের দেশী চ্যানেলগুলো জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলতেই হয়|
আমাদের একটা বড় সমস্যা হল, সব বয়সের উপযোগী বিনোদন ব্যবস্থা এখনো সেভাবে তৈরি হয় নি। সে কারণেই বোধহয় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক অবধি টিভি দেখার হার কমেছে কিংবা দেখলেও বিদেশি চ্যানেল দেখার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে।
আপনার পোস্টটি সময়োপযোগী এবং চিন্তা জাগানিয়া।
এরকম একটা পোস্টের জন্য লেখিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য| আমি এক সময় বাংলা চ্যানেলের নিয়মিত দর্শক ছিলাম| গত কয়েক বছরে টিভি অনুষ্ঠান দেখে বেশ হতাশ হয়েছি| তাই ভাবলাম আমার চিন্তাধারাকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি|
টিভি দেখাতো ছেড়েই দিছি, তাই সেটা নিয়ে ভাবিও না।
তবে চ্যানেলগুলো সব গৎবাঁধা, বিশেষায়িত কিছু নেই
আপনার অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর আমিও খুঁজে পাই না, আমার নিজের বিশ্বাস ছিলো আমাদের দেশের অনুষ্ঠানের গুণগত মান পাশের দেশ থেকে অনেক বেশি ভালো, কিন্তু কেন জানি আমরা নকল করার ডামাডোলে পড়ে নিজস্বতা অনেকখানিই হারিয়ে ফেলেছি, মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপনের আধিক্যে মনে হয় আসলেই কি কর্তৃপক্ষ কিছু বোঝে না নাকি আসলেই আমরা এসব দেখতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি……
সংবাদের জন্য আলাদা চ্যানেল থাকার পরও সবাই খবর দেখায় কেন, খুবই দুর্দান্ত একটা প্রশ্ন, সম্ভবত TRP বাড়ানোর জন্যই, আর তো কোন কারণ থাকতে পারে না, ETV একটা সময় অনুষ্ঠানের মানকে যে পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলো, এখন আর সেরকম নেই……
সবাই সবকিছু করতে পারলে তো আলাদা করে আর চ্যানেল খোলার দরকার ছিলো না, সমস্যা হলো এই ব্যাপারটা চ্যানেলের মাথা’রা বুঝতে পারছেন না……
তাই নয় কি?
ধন্যবাদ বিশ্লেষণী লেখার জন্য……ভালো লাগলো, আর নিয়মিত হবেন আশা করি……