স্থানঃ ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গলের হেডকোয়ার্টার। সময়ঃ ২৭ শে মার্চ ১৯৭১ সকাল আনুমানিক ৯ টা ত্রিশ।
ক’দিন ধরে কিছুটা উদ্বিগ্ন থাকলেও ব্যাটেলিয়নের পাঞ্জাবী অধিনায়ক লে. কর্নেল খিজির হায়াত খান আজ কার্যালয়ে এসেছেন খানিকটা নিশ্চিন্ত মতে। অবশেষে আজ এসেছে সেই বহুল প্রতীক্ষিত দিন। ইতিমধ্যেই চতুর্থ ইস্ট-বেঙ্গলের শক্তি কমাতে ব্রিগেড মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে দুটি কোম্পানী নকশাল দমনের নাম করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শমসেরনগর। বাকী দু’টো কোম্পানী অবস্থান করছে তার নেতৃত্বে এই ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে। এসে গেছে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। সব এগিয়েছে পরিকল্পনা মত। আজ রাতেই কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে আসা বালুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা অতর্কিতে হামলা চালাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙালি সৈনিকদের সমন্বয়ে গঠিত ৪র্থ ইস্ট-বেঙ্গল বা বেবী টাইগারের উপর। অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনারই একটি অংশ এটি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সামরিক,আধা-সামরিক এবং পুলিশ বাহিনীর সকল বাঙালি সৈনিকদের অতর্কিতে আক্রমণের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। তোরা স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিস? নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিস? আজ দেখাবো তোদের মজা। ইয়াহিয়া ১৮ই ফেব্রুয়ারী পূর্ব-পাকিস্তান সফরে এসে এক সেনা কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাবে তো বলেই গেছেন, চিন্তা করোনা। আমি এই কালো বেজন্মাদের কোনো ভাবেই আমাদের মাথার উপর ছড়ি ঘুরাতে দেবো না। যার ফলশ্রুতিতেই রচিত হয় বাঙ্গালি নিধনের মহাপরিকল্পনা “অপারেশান সার্চলাইট”। [[উইটনেস টু স্যারেন্ডার]]
কিন্তু নিজ সৈনিকদের অবস্থা পরিদর্শনে কার্যালয় থেকে সামনের খোলা জায়গাতে বেরিয়ে আসতেই এই স্বস্তির অভিব্যক্তিটি মিলিয়ে গেল খিজির হায়াতের। তার বিপরীতে দাঁড়ানো ছোটখাট গড়নের এক বাঙালি মেজর, হাতে উদ্যত স্টেন, রাগে-ক্ষোভে জ্বলজ্বলে লাল চোখ যেন ছিটকে বেড়িয়ে আসতে চাইছে চোখ থেকে। সেই অগ্নিমূর্তিটি কাছে এসে চিৎকার করে বললো, “তোমরা চিরকাল আমাদের উপরে চালিয়েছো অন্যায়-অবিচারের স্টীমরোলার, বিনা কারণে হত্যা করছো লাখ লাখ মানুষ, আজ আমরা বিদ্রোহ করলাম। সাবধান, ভুল কিছু করে আমাকে কঠোর হতে বাধ্য করো না। ” পেছনে তাকিয়ে লে. কর্নেল খিজির হায়াত দেখলেন ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গলের মেডিক্যাল অফিসার বাঙালি ক্যাপ্টেন আকতারও (পরবর্তীতে মেজর) ইতিমধ্যেই তার নিজের অস্ত্র তাক করে বসেছেন কর্নেলের দিকে। নাহ, সেদিন সেই বাঙালি অফিসারের অগ্নিমূর্তি দেখে আর উল্টো-পালটা কিছু করবার সাহস হয়নি খিজির হায়াতের। বিনা-দ্বিধায় আত্মসমর্পণ করেন তার অধিনস্থ ৩৬ জন পাকিস্তানী নিয়ে সেই অফিসারের কাছে। নাম জামিল, মেজর শাফায়াত জামিল। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে অবিচ্ছেদ্য একটি নাম। আমার কৈশরের হিরো, যৌবনের প্রেরণা। গত শনিবার রাত দু’টোর দিকে যিনি হয়েছেন প্রায়ত।
পাকিস্তানীদের এই গোপন পরিকল্পনা চতুর্থ ইস্ট-বেঙ্গলের দুই অফিসার মেজর খালেদ মোশাররফ এবং মেজর শাফায়াত জামিল বুঝেছিলেন বেশ আগে থেকেই। পাকিস্তানী অফিসারদের দৃষ্টি এড়িয়ে তাই নিজেদের মধ্যেই গড়ে তুলেছিলেন গোপন যোগাযোগ। এর ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানীরা আঘাতের পূর্বেই উল্টো নিজেরা গ্রেফতার করে বসেন পাকিস্তানীদের। পরেরটুকু শুধুই ইতিহাস, শুরু হয় মেজর শাফায়াত জামিলের এক অনির্দিষ্ট পথের যাত্রা। জীবন সংগ্রামের এক যুদ্ধ, মুক্তির জন্য যুদ্ধ। [[মুক্তির জন্য যুদ্ধ (শাফায়াত জামিল), বার বার ফিরে যাই (মেজর আখতার)]]
আমাদের সশস্ত্র সংগ্রামের প্রথম দিকে চতুর্থ ইস্ট-বেঙ্গলের অধীনে দুই নং সেক্টরে অধীনে আশুগঞ্জ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া-গঙ্গাসাগর এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন শাফায়াত জামিল। এরপর তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ৩য় ইস্ট-বেঙ্গলের অধিনায়কত্বের। শুরু হয় এই ব্যাটেলিয়ন পুনর্গঠনের কাজ। কিন্তু পরবর্তীতে জেড ফোর্স গঠিত হবার পর শাফায়াত জামিলের উপর নির্দেশ আসে ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার তুরাতে গমনের।
৩ অক্টোবর ১৯৭১ সন্ধ্যা, তুরা পাহারের তেলঢালা থেকে শতাধিক গাড়ীবহর নিয়ে ৪০০ মাইল পথ অতিক্রম করে শেলা বিওপিতে পৌঁছান শাফায়াত জামিল। উদ্দেশ্য সীমান্তে পিন্ড-ডাউন মেজর শওকাতের বাহিনীকে সাহায্য।
কিন্তু চারশো মাইল পথ পাড়ি দেয়া রণ ক্লান্ত সেই ৩য় বেঙ্গলকে ভারতীয় বাহিনীর জেনারেল গিল(পরবর্তীতে মাইনে আহত হয়ে পা হারান) নির্দেশ দেন পরদিনই ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আক্রমণের। সম্পূর্ণ নতুন একটি এলাকায় এসে কম্পাস,সিগন্যাল সেট,বাইনোকুলার এর মত প্রয়োজনীয় যুদ্ধোপকরণ ছাড়া এই ধরণের একটি আক্রমণ পরিচালনা করা যে চূড়ান্ত বোকামি তা জানতেন ৩য় রেজিমেন্টের অধিনায়ক মেজর শাফায়াত জামিল। যদিও পাঁচ নং সেক্টর থেকে তিনটি ফ্রিডম ফাইটার কোম্পানি তাকে দেওয়া হয় কিন্তু তারপর ছাতক শহর এবং সিলেট অঞ্চলে ছিল আর্টিলারি সহ পাক বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি।
প্রথাগত যুদ্ধের নিয়মানুযায়ী ডিফেন্সিভ বাহিনীর একজনের বিরুদ্ধে এটাকিং বাহিনীর তিনজন সৈন্য প্রয়োজন। পাকিস্তানী বাহিনী ছাতকে ছিল ডিফেন্সিভে, কিন্তু তাদের এট্যাক করার মত পর্যাপ্ত সৈন্য ছিলনা ৩য় রেজিমেন্টের। আর যেসব সৈন্য ছিল তার মধ্যে আবার বেশীরভাগ ছিল মাত্র অল্প ট্রেনিং পাওয়া ছাত্র এবং সাধারণ জনতা নিয়ে তৈরি এফএফ বাহিনী। এই হল আমাদের শাফায়াত জামিলের মনোবল। সামনে নিশ্চিত পরাজয় এবং মৃত্যু জেনেও আদেশ পালনে ব্যত্যয় ঘটেনি ঘটেনি। [[মুক্তির জন্য যুদ্ধ]]
১৪ আগস্ট ১৯৭১, ভোর পাঁচটা। হাজারের কাছাকাছি মুক্তিসেনা তিনদিক থেকে আক্রমণ করেন ছাতকের সিমেন্ট ফ্যাক্টরি। কিন্তু যথারীতি বিধি বাম। পাকিস্তানী বাহিনীর হেভি আর্টিলারি শেলিং এ পরাজিত হয় মুক্তিবাহিনী। কিন্তু এই যুদ্ধটি ছিল পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রথম সংঘবদ্ধ আক্রমনের একটি যা তাদের বেশ ভালভাবে নাড়া দিয়েছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তানী বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক (পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের সাথে প্লেন ক্র্যাশে নিহত) তার বিখ্যাত গ্রন্থ “Witness to Surrender” বইতে উল্লেখ করেছিলেন। তার পুরো বইতে শূধু দুইটি মাত্র যুদ্ধের কথা উল্লেখ ছিল। একটি হলো কামালপুর আক্রমন এবং অন্যটি হলো এই ছাতক যুদ্ধ।
এরপর আবার দৃশ্যপটে শাফায়াত জামিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী যোদ্ধা ইউনিট গুর্খা ৫/৫ রেজিমেন্টের তিনটি কোম্পানী আক্রমণ করে সিলেটের রাধানগরের ছোটখেল। কিন্তু পাকবাহিনীর দৃঢ় অবস্থানের কারণে দেড়শতাধিক গুর্খা সৈন্য নিহত হন এবং শতাধিক আহত হন। পুরোপুরো অচল হয়ে যায় এই ঐতিহ্যবাহী গুর্খা রেজিমেন্টটি। বাধ্য হয়েই জেনারেল গিল শাফায়াত জামিলকে দায়িত্ব দেন ছোটখেল আক্রমণের। যদিও প্রথাগত সামরিক যুদ্ধে এক কোম্পানি বা তার কম সেনা থাকলে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক সাধারণত যুদ্ধের ময়দানে যান না কিন্তু তবু শাফায়াত জামিল ঠিক করলেন এই যুদ্ধের নেতৃত্ব তিনিই দেবেন।
২৭শে নভেম্বর গভীর রাত। কুয়াশার অন্তরালে শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে পাকিস্তানী বাঙ্কারের উদ্দেশ্যে। শুরু হলো যুদ্ধ। সে যে কি প্রচণ্ড যুদ্ধ তা বুঝি লিখে প্রকাশ করা যাবে না কোন ভাবেই। বাঙ্কারে বাঙ্কারে চলছে পাকিস্তানীদের সাথে হাতাহাতি, সমানে চলছে দুই ইঞ্চি মর্টারের গোলা। শাফায়াত জামিলের সুযোগ্য নেতৃত্ব আর মুক্তিবাহিনীর আক্রমনের তীব্রতায় পুরো বিশ্বকে অবাক করে মাত্র বিশ মিনিটে ছোটখেল দখল করে আমাদের ৩য় বেঙ্গলের যোদ্ধারা। আক্রমণের তীব্রতা আর আমাদের সেনাদের মনোবল দেখে পাকবাহিনী ভেবেছিল পুরো ব্রিগেডই বুঝি আক্রমণ করেছে তাদের। তাই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি আর প্রাণহানির মাধ্যমে তারা পালিয়ে যায় ছোটখেল থেকে। কে ভেবেছিল, স্বয়ং গুর্খারা ব্যর্থ হয়েছে যেখানে, সেখানে আমাদের সৈন্যরাই ওড়াবে বিজয়ের পতাকা। এই যুদ্ধে আহত হন শাফায়াত জামিল, আর পুরো মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্যই মেলে শাফায়াত জামিলের বীর বিক্রম খেতাব। শেষ হয় তার জীবনের একটি অধ্যায়। [[মুক্তির জন্য যুদ্ধ]]

ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ৩১শে জুলাই ১৯৭১,বাহাদুরাবাদঘাট আক্রমণে এগিয়ে যাচ্ছেন এই সাহসী ৩য় বেঙ্গলের সৈন্যরা। বাম থেকে চতুর্থ কমান্ডার শাফায়েত জামিল,বাম থেকে পঞ্চম বায়োনোকুলার গলায় লেফেটেন্যান্ট নুরুন্নবী, সুবেদার হাফিজ(সপ্তম) এবং তার পেছনে ক্যাপ্টেন আনোয়ার।
সময়ঃ ৪ নভেম্বর ১৯৭৫। স্থানঃ বঙ্গভবন। আবারো বিদ্রোহ, আবারো শাফায়াত জামিলের সেই অগ্নিমূর্তি, আবারো তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দেশে চেপেছে পাকিস্তানী প্রেতাত্মা, সিন্দাবাদের ভূতের মত ঘাড়ে চেপে বসেছে কতিপয় মেজর। বঙ্গভবনে চলছে খুনী মোশতাক সরকারের মন্ত্রীসভার বৈঠক। এরই মাঝে শাফায়াত জামিল খবর পান জেল হত্যার। ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররাফের বিদ্রোহ শুরু হবার পরই যখন মোশতাক এবং খুনে মেজররা বুঝতে পারে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে কোন ভাবেই, তখন মোশতাকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে রিসলাদার মোসলেমউদ্দিন গিয়ে হত্যা করে জাতির চার কাণ্ডারী তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ও এম. মনসুর আলী। শেষ হয়ে যায় এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, খুনীরা নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধুর পর যাতে এদেশে আর কোন নেতৃত্ব যাতে রাষ্ট্রের হাল ধরতে না পারে।
আর এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কর্নেল শাফায়াত জামিল মেজর ইকবালকে নিয়ে লাথি মেরে প্রবেশ করেন মোশতাকের মন্ত্রী সভার বৈঠকে। অস্ত্র হাতে শাফায়াত জামিলের প্রবেশের পর মোশতাক খেঁকিয়ে ওঠে বলে, “আমাকে আর্মির ভয় দেখিয়ো না। আমি পাকিস্তানের বহু জেনারেল দেখেছি।” তখন মেজর ইকবাল স্টেনগান তুলে গুলী করতে উদ্যত হয়ে বলেন, “আপনি পাকিস্তান আর্মির জেনারেল দেখেছেন, কিন্তু বাংলাদেশ আর্মির মেজর দেখেননি। এখুন বুঝবেন বাংলাদেশ আর্মির মেজর কী জিনিস। ” ওসমাণী সামনে এসে দাঁড়ানোয় সে যাত্রায় বেঁচে যায় মোশতাক। সেনাবিদ্রোহ সমর্থনযোগ্য নয় কখনোই, কিন্তু কখনো কখনো খারাপ কিছুর ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসে ভাল কিছু। খালেদের এই বিদ্রোহের ফলে খুনী মেজররা পালাতে বাধ্য হয় দেশ থেকে, পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশান গঠনের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল যেভাবে তা স্থবির হয়ে পরে এই বিদ্রোহের পরে।
পারবর্তীতে ৭ই নভেম্বর আরেকটি বিদ্রোহের পর শাফায়াত জামিলকে আটক করা হয়, কিন্তু সৈন্যদের নিকট অত্যন্ত প্রিয় এই মানুষকে তাদের দাবীর ফলে তৎকালীন সরকার বাধ্য হয় শাফায়াত জামিলকে মুক্তি দিতে। এরপরই নিস্ক্রিয় হয়ে অবসর যাপন করতে থাকেন তিনি। এই শাফায়াত জামিলই এক মাত্র ব্যক্তি যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদ করেছিলেন খুনে মেজরদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষীও দেন তিনি।[[তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা, লিগেসী অফ ব্ল্যাড, এক জেনারেলের নীরব স্বাক্ষ্য, বঙ্গভবনে পাঁচ বছর]]
বর্ণাঢ্যময় এক জীবনের শেষে গত শনিবার এই মহান মানুষটির মৃত্যু ছিল অত্যন্ত শোকের। আসুন আমাদের স্বাধীনতা এবং দেশের প্রতি অসমান্য অবদান রাখা এই মানুষটির প্রতি জানাই শ্রদ্ধা। অত্যন্ত একবার যেন আমাদের প্রার্থনায় থাকেন প্রিয় কর্নেল শাফায়াত জামিল।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি’উন।
মুক্তিযুদ্ধের এই নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও প্রার্থনা।
শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও প্রার্থনা।
রেফারেন্স সহ চমৎকার পোস্ট এর জন্য অনেক ধন্যবাদ 😀
এই সব লেখা বিশ্বাস করা যায়, নিশ্চিন্ত মনে শেয়ারও করা যায়।
মুক্তিযোদ্ধা শাফায়াত জামিল শেষ জীবনে ব্যবসা করতেন শুনেছিলাম। হয়ত আরও অনেক কিছুই পাওয়া যেত শেষ জীবনে।
এমনি আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধাই চুপটি করে আছেন!
হ্যাঁ, ব্যবসা করতেন আমিও জেনেছি।
“এমনি আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধাই চুপটি করে আছেন!”
ইন্নালিল্লাহ্।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা আর দোয়া এই মানুষটার জন্য।
শ্রদ্ধা।
এই বীরের জন্য অন্তর থেকে জানাই শ্রদ্ধা। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন। আমীন।
আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!
শ্রদ্ধা এবং প্রার্থনা থাকলো এই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি।
muktijuddho ba 71-75er ghotona songkranto je kono boi er link pele khub upokrito hotam. ami jante cai sei dingulor somporke………..
কি বলব, শ্রদ্ধায় মাথাটা নুয়ে গেল… প্রার্থনা রইল উনার প্রতি।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন।
লেখাটা খুব ভালো লাগলো। বাপ্পি ভাইয়ার মতন আমিও বলি- রেফারেন্সসহ এই সব লেখা খুব সহজেই বিশ্বাস করা যায়, শেয়ারও করা যায় নির্দ্বিধায়।
লেখক আর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার জন্য শুভকামনা।
শ্রদ্ধা রইলো এই বীরের প্রতি……
আমার খুব বড় দুঃখ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ের ইতিহাস এতোভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে, সত্যিকারের ইতিহাসটা আমাদের চোখে পড়ে খুব কম। মুক্তিযুদ্ধের সত্যি ইতিহাস জানতে চাই সবাই……