আমাদের অনেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি। তাদের অনেকেই হয়তো এদেশের অর্জনগুলো সর্ম্পেকে ভালভাবে জানেনা। বর্তমানে বিশ্বে জাহাজ শিল্পে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রাচীন আমল থেকেই নৌপথ সম্পদ আহরন, পন্য পরিবহন ও নৌ চলাচলের ক্ষেত্রে একটি উত্তম ও অনুপম মাধ্যম হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে। বিশ্বর সর্বত্র নৌপথের যাতায়াত ব্যবস্থা সবচেয়ে কম খরচব ও আরামদায়ক। বিশ্ব বানিজ্যের ক্ষেত্রে জাহাজ হচ্ছে পন্য পরিনহনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। আমাদের সোনার বাংলা নদী পথ বেষ্টিত, নদী মাত্রিক দেশ হওয়ায় জাহাজ শিল্পের একটি উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে। ১৯৫৬ সালের দিকে বিশ্বের মধ্যে আমাদের দেশ জাহাজ তৈরী ও মেরামতের জন্য জাহাজ শিল্প একটি অন্যতম খাত হিসেবে পরিচিত ছিল। আর বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়, সর্বাধুনিকও নির্ভরযোগ্য শিপ ইয়ার্ডটি ১৯৫৭ সালের দিকে যাত্রা শুরু করে। এ শিপ ইয়ার্ডটির নাম “খুলনা শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড” যার বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়ন্ন্রানাধীন। জাহাজ শিল্প সম্ভবনাময় হবার কারনঃ- জাহাজ শিল্প সম্ভবনাময় হবার একটি অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে বাংলাদেশ নদী মাত্রিক দেশ। অন্যান্য অনেক কারনের মধ্যে রয়েছে, সারা বিশ্বের যেকোন দেশের তুলনায় এদেশের শ্রমিকদের কম বেতন। বাংলাদেশে গড়ে ওঠা ৩৫ হাজার কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনিষ্টিটিউটের কারিগরি সহায়াতা। ডেনর্মাক, কোরিয়া সহ অন্যান্য অনেক দেশের সার্বিক সহায়তা প্রদান ইত্যাদি। “খুলনা শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড” খুলনার রুপশা শিল্পাঞ্চলে ৬৮.৯৭ একর জমির উপর খুলনা শিপ ইয়ার্ড অবস্থিত। শিপ ইয়ার্ডটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নৌবাহিনীর প্রধান। “খুলনা শিপ ইয়ার্ডর প্রকৌশল কর্মকান্ড চারটি প্রধান ভাগে বিভক্তঃ- ১) নকশা ও পরিকল্পনা ২) জাহাজ নির্মান ৩) প্রকৌশল ৪) বৈদ্যুতিক বিভাগ। এই চারটি প্রধান বিভাগের আরও বেশ কয়েকটি ঊপ বিভাগ আছে। “খুলনা শিপ ইয়ার্ড কমদক্ষতা ও অগ্রগতিঃ-” বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খুলনা শিপ ইয়ার্ডটির সুবিশলতা খুব সহজে বর্ণনা করা সম্ভবনা। বাংলাদেশের যুদ্ধকালীন সময় হতে এ শিপ ইয়ার্ড নৌবাহিনীর জাহাজ মেরামতের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে এখানে ২৭৫ ফুট প্রযন্ত দীঘ ও ৭০০ টন লাইট ওজনের জাহাজ তৈরী ও মেরেমত করা হচ্ছে। এছাড়াও শিল্প কারখানার ব্যবহৃত মেশিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, সেতু কাঠামো প্রস্তুত ও মেরামত, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য সরজ্ঞাম, বেইন বেন্টুন, ফেরী এবং বি.আই.ডব্লই.টি.সি এর জন্য জিনিস পত্র তৈরী এখানকার বিষেশ কিছু কাজ। আরো রয়েছে নৌবাহিনীর পেট্রোল ক্রাফট, কোষ্ট গার্ডের জন্য সহায়ক বন্টুন তৈরী। এছাড়াও ৬৪৪ টি জাহাজ- ক্রাফট, ফেরী, বার্ড, ডাক, বন্টুন, কা্র্গো ভেসেল, প্যাসেনজার লাইনার, মাউন্টেন বোর্ড, লিফটিং ভেসেল ইত্যাদি তৈরী ও ২০০০টির ও বেশি নৌযান মেরামতের কাজ সম্পন্ন করেছে এ ইয়ার্ড। খুলনা শিপ ইয়ার্ড একটি অন্যতম অর্জন হচ্ছে যুদ্ধ জাহাজ তৈরী শুরু করা। খুলনা শিপ ইয়ার্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে এক সময়ের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো ম্যাজিষ্টেট ও বতমানে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর (এনফোর্সমেন্ট) মুনীর চৌধুরী জানান- তিনি ৫/৬ মাস আগেই তিনি খুলনা শিপ ইয়ার্ড দিয়ে ঘুরে এসেছেন এবং সেখানকার পরিবেশ সন্তু্ষ জনক। বাংলাদেশের যেকোন শিপ ইয়াডের চেয়ে খুলনা শিপ ইয়ার্ড ভাল অবস্থানে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সকল শিপ ইয়ার্ডকে খুলনা শিপ ইয়ার্ড অনুসরন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন মানতে অনুরোধ জানান। খুলনা শিপ ইয়ার্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে ঐখাকার এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ সরকারের সরাসরি সহযোগিতা ও নৈবাহিনীর মানণীয় প্রধানের অবদানে খুলনা শিপ ইয়ার্ড আজ অনেক উন্নত। আই.এস.ও (ISO) সনদ ও রপ্তানী মুখী জাহাজ তৈরীর অনুমোদন পাওয়ায় তিনি এখানকার সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচলক কমোডর এস.ইমরান কে ধন্যবাদ জানান। এমনকি তার সময়ে বিগত ২০ বছরের চেয়ে ৪/৫ গুন বেশি লাভ হয়েছে। বতমান ব্যবস্থাপনা পরিচলক সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেই সামনে এগিয়ে চলছেন। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে বোঝা গেল- প্রতিযোগিতা মূলক দাম, স্বল্প সময়ে ডেলিভারি, কারিগরি দক্ষতার দায়িত্ববোধ, গুণগত মান, গ্রাহক বান্ধব সম্পর্ক, সেবা, পেশাগত ব্যবস্থাপনা, শ্রম প্রত্যায়ন, দক্ষতা সম্পন্ন কর্মশক্তি, মানব সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি মিলিয়ে খুলনা শিপ ইয়ার্ড লিঃ শুধু বাংলাদেশে নয় বরং সমগ্র পৃথিবীতে একটি উজ্জবল নক্ষত্রে পরিনত হয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে দেশান্তরের মানুষের নৌযানের জন্য হয়ে উঠেছে এক নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
বিশেষ প্রতিবেদক, অনলাইন পত্রিকা,
প্রতিবেদক, জাতিয় দৈনিক।
তথ্য বহুল পোস্ট। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদস্
ভাই, আপনার এই পোস্টে অনেকগুলা সমস্যা ছিল। আশা করছি সেই সব সমস্যার দিকে লক্ষ্য রাখবেন
#১ মাত্র একটা প্যারায় পুরো লেখা শেষ করে দিয়েছেন! কয়েক প্যারা করে দিলে পড়তে সুবিধা হবে।
#২ প্রচুর বানান ভুল।
#৩ কোন রেফারেন্স নেই।
শখের সাংবাদিক হিসেবে আপনার কাছে আরও ভালো পোস্ট আশা করছি।
পরে আরো প্যারায় লিখব আশা রাখি।
বানান ভুল বলেই পার পেয়ে যা্বেননা। ঠিক করে দিন
রেফারেন্স ছাড়া যখন পেপারে ছাপা হইছে । । । । । আর সরজমিনে দেখা
লেখার বিষয়টা খুবই ভালো লাগছে। লেখার মানের দিকটা দেখলে সত্যি আপনি ভালো লিখতে পারবেন। ভালো বিষয় উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
একজন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকের ‘জাতীয়’ বানান দেখে আহত হলাম।
“”(বিশেষ প্রতিবেদক, অনলাইন পত্রিকা,
প্রতিবেদক, জাতিয় দৈনিক।)””
বিষয়বস্তুর পাশাপাশি মানসম্মত উপস্থাপন যোগ করলে রান্না আরো মজাদার হত।
আপনার মন্তব্য নিবন্ধিত হলো