মেয়ে, তুমি কি ঘরের কোণে একা একা মুখ লুকিয়ে কাঁদছ? দেখ, বাইরে কেমন হাহাকার করা জ্যোৎস্নারাত, চারিদিক ধুয়ে যাচ্ছে চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয়, বকুলেরা সুর তুলেছে সে আলোর ঝর্ণাধারায়। একটু পরেই ভোর হবে। তবু তুমি একা বসে কাঁদবে, মেয়ে? ভোরের শিশির আঙ্গুলের ডগায় মেখে হেঁটে যাবে না ঐ দূর সীমান্তের কাছাকাছি? তুলো তুলো মেঘ মুঠোয় পুরে অপেক্ষা করবে না ফের রাত আসার? অপেক্ষা করবে না একলা রাতে ঝিঁঝিঁর মাতাল করা ডাক শুনে তোমার রক্তের শিরায় শিরায় ঘোর লাগা স্পন্দন ছড়াবার? নাকি তুমি তখনো ঘরের কোণে একা একা মুখ লুকিয়ে কেবল কেঁদেই যাবে? কেন কাঁদবে তুমি মেয়ে? তোমার চোখের নোনা জলের কি কোনই মূল্য নেই? সাগরের অগাধ, অবাধ ঐ সস্তা জলে কেন তুমি তোমার অমূল্য রতনকে এমনি করে মিশিয়ে দেবে? শুধু তুমি ‘কৃষ্ণকলি’ বলে? শুধু তুমি ‘শ্যামল-কালিমা মাখা বঙ্গকন্যা’ বলে?
মেয়ে, তুমি কি ঘরের কোণে একা একা মুখ লুকিয়ে কাঁদছ? দেখ, এই নির্জন দুপুরে বাইরে রঙিন প্রজাপতিরা কী এক লুকোচুরি খেলায় মেতেছে। তুমি সেই প্রজাপতিগুলোর ডানা ছুঁয়ে দেখবে না তোমার অনামিকায় সোনারঙা রোদ কেমন হুটোপুটি করে হাসাহাসি করে? তুমি অপেক্ষা করবে না নিস্তব্ধ রাতে অঝোর এক শ্রাবণধারার; যে তোমার ঘুম হরণ করে নিয়ে পুরো সিক্ত করে দিয়ে যাবে তোমায়? নাকি তুমি তখনো ঘরের কোণে একা একা মুখ লুকিয়ে কেবল কেঁদেই যাবে? কেন কাঁদবে তুমি মেয়ে? শুধু তুমি অসুন্দর ভেবে সবাই নাক শিঁটকায় বলে? শুধু তুমি কারো রাজকন্যা হতে পার নি বলে?
জানো মেয়ে, আমিও ঠিক তোমারই মত, আমি কৃষ্ণকলি, আমি বঙ্গকন্যা, আমি শ্যামলিমা অন্নপূর্ণা। শুধু তোমার সাথে আমার একটা ছোট্ট পার্থক্য আছে। আমি আমার চোখের জলকে এখন আর তোমার মত করে সস্তায় ঝরতে দিই না, আমি এখন আর তোমার মত রাজপুত্রের খোঁজে ঘুরে মরে নিজেকে অপমান করি না। জানো মেয়ে, ঠিক তোমারই মত, আমার চারপাশের মানুষ আমাকে বলে বাজারের ঐসব রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করতে, দীঘল কালো কেশের জন্য ভালো শ্যাম্পু, কন্ডিশনার কিনতে, এমনকি চুল রিবন্ডিং করাতে। আমাকে সবাই বলে সুনয়না হতে আর এজন্য আই-লাইনার, মাশকারার মত প্রসাধন কিনতে। আমাকে বলে ঠোঁট আকর্শনীয় করে তুলতে, সাজে কনট্রাস্ট আনার জন্য রঙ-বেরঙের লিপস্টিক লাগাতে।
জানো মেয়ে, তোমারই মত টেলিভিশনের পর্দা চালু করলে আমার মন খারাপ হয়। আমার মন খারাপ হয় যখন দেখি ক্যারিয়ার গড়তে মেয়েদের গায়ের রঙকে তারা খুব গুরুত্ব দেয়। মনের মত সঙ্গী খুঁজে পেতে তারা দীঘল কালো কেশকে প্রাধান্য দেয়। আর সারাজীবন সংসার টিকিয়ে রাখতে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখবার উপদেশ দেয়। আমার মন খারাপ হয় তাদের জন্য, ঐসব ভুল ধারণা প্রচলনকারী এবং সঞ্চালনকারীদের জন্য। আমার মন ব্যথাতুর হয় তাদের জন্য যারা এইসব ভুল ধারণাকে সত্যি ভেবে নিজেরা কষ্ট পায়। এখন যেমন তুমি পাচ্ছ। তুমি কষ্ট পাচ্ছ তার কারণ তুমি তোমার সৌন্দর্যকে তোমার অর্জিত বিদ্যা-বুদ্ধির সাথে মেলবন্ধন করাতে পারছ না। যদি পারতে তবে বুঝতে যে প্রসাধনে যেসব রাসায়নিক বস্তু ব্যবহার করা হয় সেগুলো ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর। বিশেষ করে রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের উপাদানগুলো তো রীতিমত মারাত্মক। সেগুলো সবই তোমার ত্বকে ক্ষণস্থায়ী প্রভাব দেখায়, যে প্রভাব ধরে রাখতে তুমি নিয়মিত তা ব্যবহার করে যাও এবং সেখানেই তোমার অজান্তে তোমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। যার ফলাফলস্বরূপ তা ত্বকের ক্যানসারের মত ভয়াবহতায় গিয়ে ঠেকে!
তুমি হয়ত ভাববে যে আজকাল তো এসব প্রসাধন ব্যবহারের চেয়ে লেজার চিকিৎসা কিংবা কেমিক্যাল পিলিং করানোটা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। কিন্তু তুলনামূলক নিরাপদ হলেও এই চিকিৎসা তোমার সামান্য অসাবধানে তোমার মারাত্মক ক্ষতিসাধণ করে ফেলতে পারে। তুমি যদি তোমার অর্জিত বিদ্যা-বুদ্ধি দিয়ে এই চিকিৎসার কৌশল সম্পর্কে জানতে তাহলে বুঝতে যে এই কৌশলে কেবল তোমার ত্বকের উপরের মৃতপ্রায়, নির্জীব স্তর সরিয়ে ভেতরের তরুণ, সজীব স্তরকে বাইরে বের করে আনা হয় যার কারণে তোমার ত্বক আগের চেয়ে তুলনামূলক ফর্সা এবং প্রাণবন্ত দেখায়। অথচ এই চিকিৎসাগুলো কিন্তু একবার নয়, ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকবার করার প্রয়োজন পড়ে এবং তোমার ত্বকের পুরুত্ব ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তুমি যদি তোমার অর্জিত বিদ্যা-বুদ্ধি দিয়ে যাচাই করতে তাহলে বুঝতে যে পাতলা ত্বক সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রতি কতটা বেশি স্পর্শকাতর আর এই স্পর্শকাতরতা ত্বকের ক্যানসার ঘটানোর জন্য কতখানি দায়ী!
মেয়ে, তুমি কি ঘরের কোণে একা একা মুখ লুকিয়ে এখনো কেবলই কাঁদবে? একটাবার কি তুমি তোমার মায়ের আঁচলে মুখ গুঁজে মায়ের শরীর থেকে বুক ভরে মমতার ঘ্রাণ নেবে না? একটাবার কি তোমার স্নেহমাখা হাত দিয়ে সারাদিন পরিশ্রম করে বাড়ি ফেরা বাবার কপাল থেকে দরদর করে ঝরে পড়া ঘাম তুমি মুছে দেবে না? তুমি কি একটা মাত্র বার সুকন্যা হবে না? নাকি অন্ধত্ব মেনে নিয়ে এখনো শুধুই কারো রাজকন্যা হতে চাইবে? চিরকাল তনুতটে তরুণ থাকার প্রহেলিকায় তুমি কি ভুলে যাবে তোমার কাছের মানুষগুলোর ভালোবাসার মূল্য? তুমি কি চিরতরে হারিয়ে ফেলবে তোমায় ঘিরে থাকা প্রিয় মুখগুলোকে?
মেয়ে, তুমি আমার হাত ধর। তোমায় আমি শিউলিমালা গাঁথতে শেখাব। তোমায় আমি শেখাব কেমন করে মেঘ পেড়ে এনে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, কেমন করে ভালোবাসার বৃষ্টিকে আঁজলা ভরে তুলে নিয়ে প্রিয় মানুষগুলোকে সিক্ত করে দিতে হয়। মেয়ে, তুমি আমার হাত ধর। আমি তোমায় রাজকন্যা হতে চাওয়ার মিথ্যে স্বপ্ন ভুলিয়ে দেব। তোমার ভেতরে নিভৃতে ঘুমিয়ে থাকা লক্ষ-কোটি জোনাক পোকাকে উড়িয়ে দেব আকাশে। দেখবে তারা গৌরী চন্দ্রালোকের চেয়েও শক্তিশালী শ্যামলিমা-কৃষ্ণ দ্যুতিতে আলোকিত করে দেবে তোমার চারপাশ।
মেয়ে, তুমি কেবল একটিবার আমার হাত ধর। তোমায় আমি সুকন্যা করে গড়ে তুলবো। তুমি সুচিত্রা নয়, সুস্মিতা হবে, সুভাষিণী হবে। তোমায় দেখে তখন হাসবে বকুলমালা, মেলবে রোদেলা প্রজাপতির ডানা আর কাছে এসে তুমি ছুঁয়ে দেবে প্রিয় মুখগুলো, এক অনন্ত ভালোবাসায়।
আমার আগের পোস্ট:
অদ্ভুত রকমের ভালো লেখা! অদ্ভুত ভালো। :huzur:
এবং দারুণ জরুরি!
চিরকাল তনুতটে তরুণ থাকার প্রহেলিকায় তুমি কি ভুলে যাবে তোমার কাছের মানুষগুলোর ভালোবাসার মূল্য?
আমার নিজের লেখা একটা গল্পের কথা মনে পড়ল। আলো ও অন্ধকারের গল্প নামে লিখেছিলাম
শৈশব এর দুর্দান্ত ইনফোগ্রাফিক্স এর পর আরেকটা।
তোমার পরিশ্রমী লেখাগুলো তো এমনিতেই অনেক ছড়ায়। আমি মনে করি আরও বেশি ছড়ানো উচিৎ। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সচেতনতা তৈরিতে।
তোমার গল্পটার লিংক দাও, পড়ি। 🙂
http://www.ibappy.com/2009/11/blog-post.html
এইখানে
আমি পড়ে অবাক হয়ে গেলাম!
এটা সত্যি ঘটনা!
একজন মা কী করে তার সন্তানের সাথে এমন আচরণ করতে পারেন? 😯
অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে।
:happy:
সত্য বলারও একটা আর্ট আছে…সবাই পারেনা…
আপনি ভাল কাউন্সেলর হতে পারবেন! 8)
খাইছে! তাই নাকি? জানতাম না তো!
একটা কাউন্সেলর চেম্বার খুলে ফেলব নাকি? 😛
রোগী সাপ্লাইয়ের দায়িত্ব আমার!
😛
তাহলে তো তোকে ব্যবসার পার্টনার করে নেয়া যায়! 😛
ব্যবসা!! 😯
কাজটা ইন্টারেস্টিং!! :happy:
আমি ব্যবসায় কাঁচা, তাই আমাকে দিয়েই কাজ হবে! 8) 8)
তাইলে তুই বাদ!
তুই খালি রোগী সাপ্লাই দে, ব্যবসা আমি অন্য কারো সাথেই করবো। 😛
হ, তা তো করবেনই! বুঝছি তো! :thinking: 😛 :balancin:
অসাধারণ একটা লেখা। পড়া শুরু করে ভাবতে পারি নি, এতো ভালো একটা মেসেজ আসবে এই লেখায়। :clappinghands:
এটা ছড়িয়ে দেয়া আমাদের সবার দায়িত্ব!
ভালো মানুষের মন তো, তাই মেসেজ ভালো লেগেছে।
আর কিছু না। 😛
ছড়িয়ে দিলে তো খুশিই হব, কারো যদি বিন্দুমাত্র কাজে লাগে, তাহলেই লেখা সার্থকতা পাবে। 🙂
যা ভাগ 😛
😛 😛
মন খারাপ হয় তাদের জন্য, ঐসব ভুল ধারণা প্রচলনকারী এবং সঞ্চালনকারীদের জন্য। আমার মন ব্যথাতুর হয় তাদের জন্য যারা এইসব ভুল ধারণাকে সত্যি ভেবে নিজেরা কষ্ট পায়। এখন যেমন তুমি পাচ্ছ। তুমি কষ্ট পাচ্ছ তার কারণ তুমি তোমার সৌন্দর্যকে তোমার অর্জিত বিদ্যা-বুদ্ধির সাথে মেলবন্ধন করাতে পারছ না।
প্রসাধনে যেসব রাসায়নিক বস্তু ব্যবহার করা হয় সেগুলো ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর। বিশেষ করে রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের উপাদানগুলো তো রীতিমত মারাত্মক। সেগুলো সবই তোমার ত্বকে ক্ষণস্থায়ী প্রভাব দেখায়, যে প্রভাব ধরে রাখতে তুমি নিয়মিত তা ব্যবহার করে যাও এবং সেখানেই তোমার অজান্তে তোমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। যার ফলাফলস্বরূপ তা ত্বকের ক্যানসারের মত ভয়াবহতায় গিয়ে ঠেকে!
একটাবার কি তুমি তোমার মায়ের আঁচলে মুখ গুঁজে মায়ের শরীর থেকে বুক ভরে মমতার ঘ্রাণ নেবে না? একটাবার কি তোমার স্নেহমাখা হাত দিয়ে সারাদিন পরিশ্রম করে বাড়ি ফেরা বাবার কপাল থেকে দরদর করে ঝরে পড়া ঘাম তুমি মুছে দেবে না? তুমি কি একটা মাত্র বার সুকন্যা হবে না? নাকি অন্ধত্ব মেনে নিয়ে এখনো শুধুই কারো রাজকন্যা হতে চাইবে? চিরকাল তনুতটে তরুণ থাকার প্রহেলিকায় তুমি কি ভুলে যাবে তোমার কাছের মানুষগুলোর ভালোবাসার মূল্য? তুমি কি চিরতরে হারিয়ে ফেলবে তোমায় ঘিরে থাকা প্রিয় মুখগুলোকে?
অসাধারণ লিখেছ। সিম্পলি অসাধারণ। এই পোষ্ট নিয়ে কী মন্তব্য করবো আমি। আমার নিজের লেখাটার কথা মনে পড়ে গেলো। তুমি পড়েছিলে কিনা জানি না। অদ্ভুত একটা অনুভূতি নিয়ে সেদিন লিখতে বসেছিলাম। তোমার এই পোষ্ট লেখার অনুভূতি তাই হয়ত কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারছি… তারাবাবুর কথা মনে করিয়ে দিয়ে যাই তাহলে—
“কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কান্দ কেনে?
কালো কেশে রাঙা কুসুম হেরেছ কি নয়নে!”
অন্নেক ভালোবাসা নিও :beshikhushi:
আপনার কোন লেখাটার কথা বলছেন আপু?
তারাবাবুর কথা ভালো পাইলাম। :love:
http://tinyurl.com/78jch7x
এই হল সেই লেখার লিঙ্ক। 🙂 চতুর্মাত্রিক ব্লগে দিয়েছিলাম লেখাটা। সরবের মাধবীর প্রোছবিও আমাকে বার বার কৃষ্ণকলিদের কথাই মনে করায়। 🙂
হ্যাঁ আপু পড়লাম, খুব সুন্দর লিখেছেন। 🙂
মাধবীর ছবিটা বোধহয় আপনার পোস্ট থেকেই পাওয়া। ছবিটা আসলেই খুব সুন্দর। আমারও ভালো লাগে। 🙂
থ্যাঙ্কুউউউউ 🙂
এই লেখাটা পড়েছিলাম। 🙂 অনেক সুন্দর!
ধন্যবাদ পড়ুয়া সামিরা 🙂
“কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কান্দ কেনে?
কালো কেশে রাঙা কুসুম হেরেছ কি নয়নে!”
:huzur:
লাইন দুটো আসলেও অনেক সুন্দর। 🙂
ধন্যবাদ নিলয় 🙂
অনেক সুন্দর একটি লেখা …রাইটারকে ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য। 🙂
`অসাধারণ বললেও আসলে বোঝানো যাবে না লিখাটা কী পরিমাণ মন ছুয়ে গেছে। কেমন একটা বিস্বাদ অনুভূতি আসে যখন দেখি বিজ্ঞাপনগুলো নিয়ত মিথ্যা বলে চলে নির্বিকার্ভাবে!!
আপনার এই লিখাটি পড়ে যেন একটা মানুষ হলেও ভাবতে শিখবে নতুন করে, এই প্রার্থনাই করি…
সরব হোক পৃথিবী নতুন রঙ্গের স্বপ্নে…
মানুষ ভাবতে শিখুক এয়াই তো চাই। এই কারণেই তো আমার লেখালেখি।
কেউ এইটুকু ভাবতে পারলেই তো আমার ভালো লাগবে। 🙂
আমিও টাইপোর জন্য দুঃখিত। 🙁
টাইপোর জন্য দু:খিত। রং-এর হবে…
তাহলে আবারও দুঃখিত হোক।
‘রং’ নয়>> ‘রঙ’ হবে। 😛
আর ‘ছুয়ে’তে চন্দ্রবিন্দু। 😛
আসলে মোবাইলে বাংলা লিখার অপশনে আঁতিপাতি করে খুঁজেও চন্দ্রবিন্দু খুঁজে পাই নি! দুঃখিত আবার! 😛
হা হাহ।
দুঃখিত হবার কিছু নেই।
আমি বুঝতে পেরেছি। 😛
ভাল লেখা। আরো কিছু এক্সপেরিমেন্ট চালাতে থাকুন লেখা লেখি নিয়ে।=)
ধন্যবাদ ইঁদুর ভায়া।
লেখালেখি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চলছেই, চলবেও ইনশাআল্লাহ। 🙂
সুন্দর লেখনী। সত্যি অনেক ভাল লাগল
বিজ্ঞাপনে আসলে সকলেই পণ্য- নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই। তবে নারীরা একটু বেশি মাত্রায় এর কারণ বোধহয় আমাদের রেসিস্ট মেন্টালিটি। গাত্রবর্ণ দিয়ে মানুষের সৌন্দর্য্য বিচার যতদিন চলবে ততদিন রঙফর্সাকারীরা এভাবেই টেলিভিশন জুড়ে থাকবে
গাত্রবর্ণ দিয়ে মানুষের সৌন্দর্য্য বিচার যতদিন চলবে ততদিন রঙফর্সাকারীরা এভাবেই টেলিভিশন জুড়ে থাকবে>> এটা ঠিক বলেছেন।
তবে মনে মনে হলেও বেশিরভাগ ছেলেরাই কিন্তু সুন্দর বউ চায়। অন্তত সুন্দর সন্তানের চাহিদা পূরণের জন্যে হলেও।
আমি এমন কিছু ছেলেদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি যারা দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেছেন কিন্তু তারা চান তাদের সহধর্মিনীরা শো কেসের পুতুল হয়ে থাকুক!
তাদের মানসিকতা দেখে আমি মর্মাহত।
আরেকটি বিষয় – তোমার ক্যান্সারের বিষয়টাতে আমার একটু দ্বিমত। সবছেলেরাই জানে সিগারেট খেলে ক্যান্সার হতে পারে। কজন তা জেনে খায় না আসলে ? আর সিগারেটের ফলে প্রত্যক্ষভাবে ফুসফুস ক্যান্সার হয় সেটা থেকে কজনকে বিরত করা গেছে ?
আর এ সব জিনিস দিয়ে ক্যান্সার হয় যার পার্সেন্টেজ কিন্তু খুব কম। সেই বিবেচনায় এটা নিয়ে নারীরা বিন্দু মাত্র ভাবিত নয় আমার মনে হয়। আর সচেতনতার অভাব আমাদের দেশে কত বেশি সেটাও ভাবার বিষয়। যাই হোক পোস্টটা সুন্দর
ক্যান্সার কিন্তু শুধুমাত্র একটা রোগ নয়, এটা একটা পরিবারকে পুরো ধ্বংস করে দিয়ে যায়; অর্থনৈতিক, মানসিক- দু’দিক থেকেই।
তাছাড়া জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আমার জানাশোনাটা আছে তো, তাই যোগাযোগটা জানি।
আমি বলেছি যে এইসব কসমেটিকসের উপাদানগুলো ক্ষতিকর তখনই যখন তা বিশ্বাস করে দিনের প দিন ব্যবহার করা হয়।
আর লেজার করানোর পরে সূর্যে অনেক ঘুরলে সানবার্ন হয়ে স্কিন ক্যান্সার হতে পারে।
আজকাল বাংলাদেশে ক্যান্সারের রেশিও কিন্তু অনেক বেশি বাড়ছে। তাই এখনো সচেতন না হলে বলার কিছু নেই আসলে।
অনুপ্রেরণাদায়ক 🙂 🙂
স্কুল কলেজে থাকতে এরকম কত দিন যে অনুভব করেছি নিজেই…
এখন অবশ্য সমাজকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো শিখে গেছি…..
অনেক ভালো লাগলো…… এ ধরণের লেখা আরও চাই…
এই ধরণের লেখা কিন্তু আরও আছে।
আমার এই পোস্টের নিচে আমার আগের লেখাটার লিংক দিয়েছি। সেটাও এইরকমই। 🙂
সমাজকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোটা সাহসের পরিচায়ক।
শুনে ভালো লাগল। 😐
অভিনন্দন 🙂 🙂
ধন্যবাদ। 🙂
ভীষণ ইন্সপায়ারিং লেখা 🙂
খুব- খুবই ভালো লাগলো, সবাই লিখে হৃদয় ছুঁতে পারেনা, আপু 🙂
একুয়া’পু-র কমেন্টের কবিতার লাইনদুটো তো অসাধারণ 🙂
এইবার সরব ফিনিক্সকে নিয়ে নতুন কথা বলি- দিন, মাস, সময় ফুরিয়ে যাক, ক্ষতি নেই- কল্পনার ফিনিক্স পাখির মতনই চিরজাজ্বল্যমান থাকুক আমাদের ফিনিক্স :yahooo:
নতুন কথা যেন কবুল হয়, আমিন।
আমার জন্য দোয়া করতে থাক যেন ভালো কিছু লিখে যেতে পারি সবসময়। 🙂
হৃদয় ছুঁতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে। 😐
“মেয়ে, তুমি আমার হাত ধর। তোমায় আমি শিউলিমালা গাঁথতে শেখাব। তোমায় আমি শেখাব কেমন করে মেঘ পেড়ে এনে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, কেমন করে ভালোবাসার বৃষ্টিকে আঁজলা ভরে তুলে এনে প্রিয় মানুষগুলোকে সিক্ত করে দিতে হয়।” অনেক সুন্দর!
শ্যামবর্ণ সব মেয়েই বোধ হয় এমন অনুভূতিগুলোর মধ্যে দিয়ে যায়। সুন্দর লেখনীতে খুবই জরুরী একটা মেসেজ… 🙂
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। 🙂
প্রধানত যাদের জন্য এই লেখা, তাদের পড়ার জন্য কি আয়োজন করা যেতে পারে? প্রধানত যাদের জন্য এই লেখা, তারা কি এর প্রতিটি কথা বিশ্বাস করবে? হয়তো কেউ কেউ করবে, যারা ভুক্তভুগী, আর অধিকাংশরাই করবে না, কারণ এখনো তাদের চোখে রঙ্গীন চশমা।
কী করা যায় ভাইয়া? আমরা অফলাইনেও কাজ করতে চাই এইসব নিয়ে
কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় এইসব চিন্তা নিয়ে সেটা আমিও ভাবছি। কীভাবে বললে মানুষ বুঝবে বা বিশ্বাস করবে?
বিষয়টি এমন যে, শুধু তরুনদের নিয়ে বা শুধু শিশুদের নিয়ে অফলাইনে কাজ করলেই হবে না। এটা সামাজিক সমস্যা হয়ে গেছে। পরিবারের বাকি সদস্যরাও বড় ভূমিকা রাখেন। বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রেও এগুলি নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি নিজেও বুঝতে পারছি না যে, আমাদেরকে কোন strategy follow করা উচিত। শুধু এটুকু বুঝি, সামাজিক সমস্যাগুলি যেমন খুব ধীরে ধীরে প্রবেশ করে তেমনি খুব ধীরে ধীরেই বিদায় করতে হবে। রাতারাতি সম্ভব নয়।
সহমত ভাইয়া।
ভাইয়া এইটা লিখে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কটূক্তি শুনতে হয়েছে। যাদের জন্য লেখা তারাই বলে যে আমি নাকি এইসব বড় বড় কথা বলেছি, কারণ এগুলো করে দেখনো কঠিন। শুধু ফেবু বা ব্লগেই এসব বড় বড় কথা বলা সহজ এবং আমি নিজেও নাকি কালো মেয়েদের দিকে ফিরেই তাকাই না!
যারা মন্তব্য করেছেন তারা আমাকে চেনেন না পর্যন্ত!
অবাক হয়ে গেলাম অনেক!
যদিও এ কথা সত্য যে, কিছু বলা সহজ করা কঠিন। It is easy to say but hard to do ছোট বেলাতেই পড়েছিলাম। অনলাইন মাধ্যম আমাদের জীবনে আসার পর এই কাজটি আরো সহজ হয়ে গেছে। মানে এখন যে যা খুশি বলে। কারণ আমরা অনলাইনের অনেক কেই চিনি না জানি না। তোমাকে এই লেখা নিয়ে তাদেরই নেগেটিভ মন্তব্য করা সাজে যারা তোমাকে কাছ থেকে চেনে জানে।
তবে কি জানো, অনলাইনে মানুষ খুব সহজেই আরেকজনকে আজে বাজে কথা বলতে পারে (অনলাইনে সবাই রাজা)।
যেমন আমার এই লেখাটা http://wp.me/p1aEoY-15 অন্য একটা ব্লগেও প্রকাশ করি এবং সেখানে একজন এমন বাজে মন্তব্য করেছে চিন্তা করতে পারবা না। সেই মন্তব্য * চিহ্ন দিয়ে সেন্সর করে দিলাম।
“আপনি যে আসলেই একটা *** তা প্রমানিত হল।নিজেকে *** ভাবা থেকে বের হয়ে আসুন।শিশুদের সাথে আলাপচারিতা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এতে আয়নার সামনে দাড়িয়ে *** *** কোন কারন দেকছি না।
অতি সুশীলতার জন্য টক শো গুলাতে যেয়ে দেখতে পারেন।
**** **** ****
আপনি বাচ্চাদের সাথে এইভাবে গদ্য আকারে আলাপ চালানর *** *** ।”
পাছে লোকে কটু কথা বলবেই। আর অনলাইনে এভাবেই বলে। এই সবে মন খারাপের কিছু নাই, হতাশ হবার কিছুই নাই। 🙂
আপনাকেও এই ধরণের কথা শুনতে হয়েছে ভাইয়া! 😯
মন খারাপ করে আর কী হবে?
ফেবুতে তর্ক করা মানে সময় নষ্ট। বিতর্ক করে সময় নষ্ট করতে চাই না ভাইয়া, কারণ আমার সময়ের অনেক মূল্য আছে। ঐ সময়ে চাইলে কত গঠনমূলক কিছু করা যায়। 🙂
সেটাই অজ্ঞানদের সাথে বিতর্ক করে সময় নষ্ট করার মানে হয় না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। 🙂
প্রচণ্ড ভাল লেগেছে আপু! অনেক বেশি অনুপ্রেরনাদায়ক। আমি নিজেই মাঝে মাঝে এই কথাগুলো খুব বলতে চাই। কিন্তু এত গুছিয়ে পারিনা। তুমি লেখাটা লিখে ফেললে, এখন আর কোন সমস্যা নেই। একদম এই লেখাটার লিঙ্ক দিয়ে দেব। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা লেখা লেখার জন্য। :love:
যাদের মন ভালো তাদের এত অল্পতেই অনেক বেশি ভালো লাগে। :love:
সবসময়ের মতই অতীব সুপাঠ্য। :love:
তবে এটাও আগে পড়ে ফেলা। 😀 আবার পড়েছি এডিটেড ভার্সন।
কোনটা বেশি ভালো হইছে?
আগেরটা নাকি এডিটেড ভার্সনটা? 😛
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটির জন্য| আজকালকার মেয়ে আর মায়েদের মধ্যে পার্লারে যাওয়ার যে প্রবণতা তা অনেকাংশে প্রভাবিত হবে আপনার এই লেখাটি দ্বারা| পৃথিবীতে সবাই যে একই রকম সুশ্রী মুখমন্ডলের অধিকারী হবে এমন কোনো কথা নেই| অথচ কখনো সহপাঠি, কখনো রাস্তার ধারের অচেনা মানুষ, কখনো চেনাজানা প্রিয় মানুষের মুখ থেকে অপ্রিয় মন্তব্য শুনে অনেককেই ভেঙ্গে পড়তে দেখি| ঐসব নির্বোধ মানুষদের কথা কানে দিয়ে অযথা সময় নষ্ট বা মন খারাপ করার কোনো মানে হয় না| আশা করছি আপনার লেখাটি পড়ে অনেক বোকা আধুনিক মেয়েরা এটি বুঝতে পারবে|
বুঝতে পারার জন্যই তো লেখা।
যদি একজনও বুঝতে পারেন তাহলেই লেখা সার্থক হবে।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুনি। 🙂
তুমি এইভাবে কেমনে লিখো! :haturi: অনেক অনেক ভালো লাগছে। :love:
অফটপিক- এই লেখার জন্য যে কটুক্তি করতে পারে তারে দেখতে মঞ্চায়! 😛
হাত দিয়ে লিখি। 😛
তুইও পারবি, তুই সুন্দর লিখিসও, চিন্তা কী? 🙂
অফটপিক-
ফেবুতে লিংকু দিয়ে দিবোনে।
কিন্তু খবরদার কথা দিতে হবে ঝগড়া করবি না একদম! :nono:
আমি মাত্র একজনের সাথে ঝগরা করি। 😛
*ঝগড়া
একই টপিকে একুপুর লেখাটা চতুরে পড়ার সুযোগ হয়েছিল। টপিক এবঙ শক্ত গাথুনির জন্য প্রশঙসা। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে এই একই লেখা শুধু কৃষ্ণকলি নয়, সকলের জন্যই আদর্শ হওয়া উচিত বলে মনে করি। মানুষের মেধার একটা বড় অঙশ অযথা এই কাজে ব্যয়িত 🙁
অন্তত দশটা লোক পাল্টে যাবে এমন লেখায় – শুভকামনা 🙂
আপুর লেখা আমিও পড়েছি। তবে আপুরটা ব্যক্তিগত কাহিনীর ধাঁচে ছিল, দৈনন্দিন জীবনে মুখোমুখি হওয়া গল্পের মত। আমি এটা ব্লগে দেয়ার পরে আপুরটা পড়েছি। তাই জানতাম না যে আপু এই টপিকে অনেক আগেই লিখে ফেলেছেন। 🙁
দশটা লোক কেন, একটা লোকও বদলালে আমার লেখা সার্থকতা পাবে।
শুভকামনা আপনাকেও। 🙂
আপু আমি নিজেও ঠিক এমনই একজন। সেজন্যই হয়ত এর প্রতিটা শব্দ আমি মন থেকে বুঝতে পারি। মানুষের প্রতিটা কথা, চিন্তা যা আমাকে নিয়ে হয় মুখে না বললেও আমি চোখে স্পষ্ট দেখতে পারি। আমি কিভাবি জানো? কেউ যদি আমার জন্য মনে করুনা করে ভাবে তবে বলব আমি আমার সৃষ্টি কর্তার করুনা চাই। আর কারো নয়। তিনি আমাকে যেভাবে বানিয়েছেন তার জন্য আমি অনেক অনেক খুশি। কে কি ভাবল বা মনে করল তাতে আমার কিছু করার নাই।
এটাই তো মনের জোর আপু, এটাই মানসিক শক্তি, এটাই আত্মবিশ্বাস।
যার ভেতরে এমন একটা শক্তি আছে, তাকে কেউ দমাতে পারে না।
এক সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিনম্র থাকলেই হল।
আর কারুকে দরকার নেই পাশে।
অনেক ভালো লাগল সুপ্তিপু তোমার মন্তব্য পড়ে। :huzur:
লেখাটা আর কমেন্টগুলো পড়তে এই নিয়ে চারবার ঢুঁ মারলাম। লেখা যে খুব ভাল হয়েছে তা ত আর বলার অপেক্ষা রাখেনা, ভাল লাগছে পাঠকদের মন্তব্য দেখে। একটু চোখে পানিও এসেছে, কারণ এই বোধের সাথে আমি যুদ্ধ করেছি সম্পূর্ণ একা। চেহারা নিয়ে, সাজুগুজু নিয়ে সমাজের চাপ কে বুড়ো আঙুল দেখাতে যে সাহসটা লাগে সেটা আশপাশে কোত্থাও থেকে পাইনি; তাই বুঝি এমন একটা লেখা কতখানি সাহস জোগাবে ছোট আপুদের প্রচলিত ব্যবস্থার বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করতে।
আমি সাহস নিয়েছিলাম ইসলাম থেকে। তাই বলে সবাইকেই নিতে হবে এমন কথা নেই। জীবনদর্শন যেখানে যেটা ভাল মনে হয়, হাত বাড়িয়ে নেয়াটাই বিবেচকের কাজ। আর আমি খুব করে বিশ্বাস করি, একটা বোধ, একটা প্র্যাক্টিস যদি সত্যিকারের ভাল হয় তাহলে সেটা কোন সত্যি ধর্ম/জীবনাচারের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না। আমাদের শুধু নিশ্চিত হতে হবে যে আমরা ঠিকমত বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, অন্ধের মত না।
আপনার মন্তব্য পড়ে আমি আরেকটু হলেই চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলাম আপু!
আপনি শুধু আমার এই লেখাটা আর কমেন্টগুলো পড়তে চারবার ঢুঁ মেরেছেন! 😯
আমি কৃতার্থ!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। :happy:
আপনার এই একা লড়ে যাবার সাহসিকতাই আমাকে মুগ্ধ করেছে, করে।
আমি নিজেও জীবনে এমন অনেক কিছুর মুখোমুখি হয়েছি, সেই গল্প না হয় আরেকদিন করব। তাই এই যুদ্ধ করতে করতেই উঠে আসা, ঠেকে শেখা আর সবাইকে শেখানোর চেষ্টা।
ভালো কোন কাজই কোন ধর্ম/ জীবনাচারের সাথে সাংঘর্ষিক হয় না আপু, সত্যি কথা। শুধু আমাদের সিদ্ধান্তগুলো যেন ঠিক হয়, আমিও মনে মনে এমন প্রার্থনাই করি।
‘মেয়ে, তুমি কেবল একটিবার আমার হাত ধর। তোমায় আমি সুকন্যা করে গড়ে তুলবো। তুমি সুচিত্রা নয়, সুস্মিতা হবে, সুভাষিণী হবে। তোমায় দেখে তখন হাসবে বকুলমালা, মেলবে রোদেলা প্রজাপতির ডানা আর কাছে এসে তুমি ছুঁয়ে দেবে প্রিয় মুখগুলো, এক অনন্ত ভালোবাসায়।’
:huzur: :huzur: :huzur:
:beshikhushi: :beshikhushi: :beshikhushi:
অনেক বেশি সুন্দর। বেশি সুন্দর। বেশি সুন্দর
আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা।
অনেক ধন্যবাদ ফিনিক্স আপুকে এই সুন্দর লেখাটার জন্য।
আর অনেক ধন্যবাদ নোঙ্গর ছেঁড়া ভাইয়া/আপুকে এই সুন্দর মন্তব্যটার জন্য। 😀
ওহ দুঃখিত! আপনি তো ভাইয়া।
ভুলেই গিয়েছিলাম। 😛
অসাধারণ লেগেছে। যতই পড়ছি, কেবল আসক্ত হচ্ছি।
এমনিতেই মৌলিক লিখার প্রতি আমার চির আসক্তি।
সীমিত জ্ঞান থেকেই বলছি আত্নার শুদ্ধতাই কেবল মানুষকে সুখী করতে পারে। বাকি সব তাৎক্ষনিক ও আপেক্ষিক।
পরিশেষে বলতে হয় ……
বহু ক্রোশ দূরে , বহু পথ ঘুরে,
গিরি ছাপাইয়া, প্রান্তর দাপাইয়া
মজেছি বঙ্গ জায়ায়।
খুঁজেছি তারে বহু বন্দরে
যে থাকে মনের ছায়ায়!
আপনার মন্তব্য মুগ্ধতায় ছুঁয়ে গেল আমায়।
অনেক ধন্যবাদ।
সামিরার দুর্দান্ত লেখাটাও যোগ করার মতো
ঠিক! :happy:
দারূণ!!!
আমাদের প্রতিবেশ খুব অদ্ভুত রকম লাগে আমার-মানুষের মাপকাঠি টার মানদন্ড কি অদ্ভুতুড়েই না বানিয়ে ফেলেছে!!
এটাই তো কষ্টের জায়গা আপু!
বারবারই …. পড়া শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কথাগুলোর রেশ থেকে যাচ্ছে … !
কারণ পাঠক নিঃসন্দেহে ‘ভাবুক’ মনে অধিকারী। 🙂
তা আর বলতে … :babymonkey:
মানুষের আসল সৌন্দর্য তার বাহ্যিক অবয়বে না, তার মনে।
বাইরে থেকে দেখতে অসুন্দর একজন মানুষও অনন্য সৌন্দর্য্যের অধিকারী হতে পারে যদি তার মনটা সুন্দর হয়। মনের আলো দিয়ে মানুষ দ্যুতিময় করে তুলতে পারে পুরো জগতটাকে।আর সেই দ্যুতিময় জগতটাতেই সত্যিকারের সৌন্দর্য্যের বসবাস…
অনন্য সাধারণ পোস্ট!! :huzur:
মনের কথাগুলো এত সুন্দর করে কেমন করে বলিস রে??
অনেক দিন পর আবার এটা পড়লাম রে আপুনি… অনেক দারুণ। মন খারাপ করা ভালো হয়েছে! 🙁