মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষাঃ রাশেদা কে. চৌধুরীর অভিমত এবং আমাদের কিছু কথা….

সম্প্রতি বিডিনিউজ২৪ এ রাশেদা কে. চৌধুরী (গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ) মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে সুফলদায়ক উল্লেখ করে তার যুক্তিগুলো তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু অনেক যুক্তিই আমার কাছে একটু অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেগেছে বিধায় এই পোস্টটা লেখা। আমি চাইব রাশেদা কে. চৌধুরী ম্যাডাম যাতে একটি বারের জন্য হলেও আমাদের যুক্তিগুলো পড়ে দেখেন এবং  বিবেচনা করে দেখেন।

রাশেদা কে. চৌধুরীঃ       “প্রথমত, মেডিকেলে ভর্তির বিষয়টি ঘিরে এইচএসসি পরীক্ষার আগে ও পরে শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে দৌড়াতে হয়। শিক্ষার্থীরা ভর্তিপরীক্ষার জন্যই এইচএসসি’র পরও একদন্ড স্বস্তি পায় না। তাদের আবার সেই দৌড়ঝাঁপের মধ্যেই থাকতে হয়। অভিভাবকদের টেনশন বাড়ে। তাই তাদের জন্যও নতুন সিদ্ধান্তটি স্বস্তির কারণ হবে।”


আমাদের কথাঃ
ম্যাম ছেলেমেয়েরা এখন কি খুব স্বস্তিতে আছে? এই সিদ্ধান্ত এখন নেওয়া হলে তাদের যে কত বড় ক্ষতিটা হয়ে যাবে বুঝতে পারছেন? তখন স্বস্তি না শান্তি ফিরিয়ে আনাও যাবে না। যদি এই সিদ্ধান্ত নিতেই হয় তা আরও দুই বছর বা তারও আগে জানিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। তাহলে এই দৌড় ঝাপ বন্ধ হত কিন্তু এখন কি আসলেই দৌড় ঝাপ বন্ধ হয়েছে নাকি সবাই আরও টেনশনে রয়েছে? আপনি কি ঐ বাবা-মার মুখগুলো দেখেছিলেন যারা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য আন্দোলন করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল?

রাশেদা কে. চৌধুরীঃ       “দ্বিতীয়ত, এ মুহূর্তে মনে হতে পারে ভর্তিপরীক্ষা বাতিল হলে বৈষম্য তৈরি হবে। আসলে বিপরীতটাই হবে। এখন এসএসসি ও এইচএসসি মিলে একজন শিক্ষার্থী মোট ৭৯ ঘন্টা পরীক্ষা দেয়। সেই পরীক্ষার ফলাফলের মূল্যায়ন না করে, পরে মাত্র এক ঘন্টার পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাই করা কি ঠিক? সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল হলেই কিন্তু বৈষম্য থাকবে না।”

আমাদের কথাঃ
বৈষম্য কি শুধু পরীক্ষার সময়ের? ১ ঘন্টা আর ৭৯ ঘন্টার? আমাদের ৮ টা শিক্ষাবোর্ডে যে ৮ রকম প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয় এটা বৈষম্য নয়? ৮ বোর্ডের খাতা যে ৮ রকম ভাবে দেখা হয় এটা বৈষম্য নয়? ২০১১ সালের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয় নাই যেখানে ২০১২ সালের শিক্ষার্থীদের বাংলা প্রশ্ন সৃজনশীল ছিল। এই যে দুই প্যাটার্ণের পরীক্ষা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ভর্তি নেওয়া হবে এটা কি বৈষম্য নয়? তারপর বাংলা এবং ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলে-মেয়েদের নাম্বার বা গ্রেডিং পদ্ধতি যে এক নয় এটা কি বৈষম্য নয়? তাহলে শুধু ঘন্টার হিসেব কেন বৈষম্য হিসেবে আসছে?

রাশেদা কে. চৌধুরীঃ       “তৃতীয়ত, আমাদের ছেলেমেয়েরা এ দেশের এসএসসি ও এইচএসসির রেজাল্টের ভিত্তিতে উন্নত দেশেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাহলে আমাদের দেশে আমাদের পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্টের মূল্যায়ন হবে না কেন?”

আমাদের কথাঃ
কথাটা কি সম্পূর্ণ সত্যি? আমেরিকায় পড়তে হলে একজন স্টুডেন্টকে SAT, TOEFL দেওয়া লাগে যা আমাদের ভর্তি পরীক্ষার মতই শর্ট টেস্ট।


রাশেদা কে. চৌধুরীঃ       “
চতুর্থত, গত বছর মেডিকেল ভর্তিপরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৫১ হাজার শিক্ষার্থী। এরা সবাই কিন্তু মেডিকেলে পড়ছে। কেউ তাদের স্বপ্ন থেকে দূরে নয়। কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছে? পাবলিক মেডিকেল কলেজগুলোতে যারা সুযোগ পায়নি তারা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে। লাখ লাখ টাকা দিয়ে ওই কলেজগুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। এখন কথা হল, ডাক্তার হতে ইচ্ছুকদের সবাই যদি মেডিকেলে পড়তে পারে তাহলে ভর্তিপরীক্ষার যৌক্তিকতা কোথায়? প্রয়োজনীয়তা কী?
 ”

আমাদের কথাঃ
আমাদের সরকারি,বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং ডেন্টাল ইউনিট সব মিলিয়ে মোট সীট সংখ্যা মাত্র ৮,০০০ এর মতন সেখানে কি করে ৫১ হাজার শিক্ষার্থী সবাই মেডিক্যাল কলেজে পড়ছে?

 

রাশেদা কে. চৌধুরীঃ       “প্রশ্ন উঠেছে যে, কোচিং-ব্যবসা বন্ধ করতে পারছে না বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কথা বলার মধ্যে সরকার ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে, এটাও অনেকে বলেছেন। যুক্তি হচ্ছে যে, মাথাব্যথার জন্য কি মাথা কেটে ফেলতে হবে? বিষয়টি তা নয়। হাইকোর্টের রুলিংয়ের ফলে কোচিং-ব্যবসা কিন্তু এখন অবৈধই হয়ে আছে। তাই কোচিং-ব্যবসা সরকার বন্ধ করছে না তা বলা যায় না। তবে মেডিকেলে ভর্তিপরীক্ষা না থাকলে ভর্তি নিয়ে বাণিজ্যটা বন্ধ হয়ে যাবে। আর শিক্ষার্থীদের হয়রানিও বন্ধ হবে। তাদের আর মেডিকেলে ভর্তির জন্য রাতদিন কাঠখড় পোড়াতে হবে না।”


আমাদের কথাঃ
কিন্তু সরকারের ব্যর্থতার দায় কেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিবে? কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে না পারা কী সরকারের ব্যর্থতা না? তারা কেন কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে পারছে না? আর এই সিদ্ধান্ত কি আরও দুই বছরা গে নেওয়া যেত না? বা শুধু মাত্র মেডিক্যাল ভর্তির জন্যই কি শিক্ষার্থীরা কোচিং করছে? বুয়েট কিংবা ভার্সিটির জন্য নয়? তাহলে একই দেশে দুই নীতি কেন?


রাশেদা কে. চৌধুরীঃ       
“সিদ্ধান্তটি কিন্তু খুব তাড়াহুড়ো করে নেয়া হয়নি। গত বছরও এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার সেটা নেয়া হয়েছে। ”

আমাদের কথাঃ
তাহলে সেটা গত বছরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আগে কেন জানিয়ে দেওয়া হল না? তাহলে যারা সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দিচ্ছে তারা একটি বছর নষ্ট করত না। আগের নিয়ম অনুযায়ী তারা জানত যে যেহেতু প্রতিবারই অন্তত দুইবার মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যায় তাই তারা গত একটি বছর অপেক্ষায় ছিল যে তারা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিবে কিন্তু যদি আগে থেকেই ব্যাপারটা জানিয়ে দেওয়া হত তাহলে কিন্তু তারা গত বছরই কোন না কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকত। তাই যদি অন্তত দুই বছর আগে ঘোষনা দেওয়ার পর সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করেন তাহলে কি সেটা বেশি যুক্তিযুক্ত হত না? প্রশ্ন রইল।

রাশেদা কে. চৌধুরীঃ       “গত বছর পত্রিকার পাতায় দেখলাম, গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া এক মেয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এমন ঘটনাই বরং আর দেখতে চাই না।”


আমাদের কথাঃ
এবছর যে সহস্র শিক্ষার্থী তাদের একটি বছর এবং স্বপ্ন হারানোর জন্য আত্মহত্যা করবে সেটা আপনারা দেখতে পারবেন?

রাশেদা কে. চৌধুরীঃ       “আসলে মেডিকেলে ভর্তিপরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থী-অভিভাবক-সরকার সবার শ্রম-অর্থ-সময়ের অপচয় না করে, বরং পাবলিক পরীক্ষাগুলোর পেছনে সেটা দেওয়া উচিত। আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য পুরোটা মনযোগ ঢেলে দিতে হবে। একসময় মেডিকেল কলেজগুলোতে সিট-সংকটের কারণে ভর্তিপরীক্ষার ব্যবস্থাটা চালু করা হয়েছিল। উন্নত বিশ্বে এ ধরনের পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাহলে আমরা কেন করব? আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষা উন্নত বিশ্বের মানের নয় এটা ঠিক। আর সে জন্যই তো স্কুল-কলেজের শিক্ষার মান বাড়ানোর দিকেই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।এ মুহূর্তে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তটি নানা দিক থেকেই অবিবেচকের মতো মনে হতে পারে। একটু গভীরভাবে ভাবলে দীর্ঘমেয়াদে এটা সুফলদায়কই হবে।”

 

আমাদের কথাঃ

আমরাও চাই যে আমাদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মান বাড়ানো হোক এবং তার জন্য পাবলিক পরীক্ষার মান বাড়াতে হবে, সব বোর্ডে একই প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা নিতে হবে, খাতা দেখার মান একই হতে হবে। এই সবগুলো কাজ কি আপনারা ধুম করে একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে করে ফেলবেন ? এটা কেন আরও আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হল না?”

শেষ কথাঃ

এই সিদ্ধান্ত অনেক ভালো একটা সিদ্ধান্ত হত যদি এটা পূর্বঘোষিত একটা সিদ্ধান্ত হত এবং আমরা সাধারণ জনগণ এই ব্যাপারে অবগত থাকতাম। আমরাও চাই দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা অনেক অনেক বেশি ভালো হোক কিন্তু সেটা যদি হাজারও ছাত্রের জীবনকে হূমকির মুখে ফেলে দেয় তাহলে কি সেটা আদৌ গ্রহণযোগ্য কোন সিদ্ধান্ত হবে? ম্যাম আমরা আপনাদের উপর বিশ্বাস রাখি তাই আবার আবেদন জানাচ্ছি এই সিদ্ধান্ত এভাবে হুট করে নিয়ে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়। একটু সময় নিয়ে সবার কথা ভেবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করুন যাতে সত্যিকার অর্থেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত হয়। কিন্তু এভাবে এতগুলো জীবন নষ্ট করবেন না।

রাশেদা কে. চৌধুরীর মূল লেখার লিঙ্কঃ http://opinion.bdnews24.com/bangla/2012/08/13/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D/

অক্ষর সম্পর্কে

স্বপ্নবাজ মানুষ একজন। আশাবাদ আর নিরাশার দোলাচালে আশাকেই শেষ পর্যন্ত সঙ্গী করতে চাই। আর স্বপ্ন দেখি একদিন দেশের জন্য কিছু করার, স্বপ্ন দেখি ছোট্ট করে হলেও কিছু একটা করার যা একটা প্রজন্মের গতিপথ পরিবর্তন করবে এবং অবশ্যই সেটা যেন হয় ইতিবাচক কোন পরিবর্তন। এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। গণনা যন্ত্রের উপর পড়াশোনা করছি ঠিকই কিন্তু যন্ত্র শব্দটাই আমার কাছে বিরক্তিকর। ফেসবুক লিঙ্ক- www.facebook.com/akkhar21
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে অনুপ্রেরণা, উদ্যোগ, চিন্তাভাবনা, সচেতনতা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

16 Responses to মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষাঃ রাশেদা কে. চৌধুরীর অভিমত এবং আমাদের কিছু কথা….

  1. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    আমি কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আসলে। প্রভাবশালী এবং বিবেকবান মানুষেরা যদি এইরকম মন্তব্য করেন তাহলে এই বাচ্চারা কোন স্বপ্ন দেখে বেঁচে থাকবে?

  2. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    🙁 🙁

  3. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    দারুণ কাজ অক্ষর

  4. অন্যা বলেছেনঃ

    যুক্তিগুলো চরম, কিন্তু সব বোর্ডে এক প্রশ্নে পরীক্ষা হলে আপাত দৃষ্টিতে বৈষম্য দূর হলেও এর বাস্তব চিত্র ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। এই ব্যপারটাকে উৎসাহ না দেয়াটাই উচিত হবে।

  5. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    দারুন একটা পোস্টের জন্য তোকে ধন্যবাদ অক্ষর। তাহাদের মষ্তিষ্কের অভ্যন্তর ভাগ দ্রুত সারে পরিণত হোক, এই কামনা!

    • অক্ষর বলেছেনঃ

      বুদ্ধিজীবিতা যদি সমাজ কল্যাণের না হয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে যায়, তখন এমন কথাই শুনতে পাওয়া যাবে…… 🙁

  6. বাবুনি সুপ্তি বলেছেনঃ

    আমার চোখে হঠাৎ ই পরে গিয়েছিল আলোচনা টা। যে মেয়েটা আর ছেলেটা ছিল, আমি দেখলাম তাদের কথা বলারই সুযোগ দিচ্ছিল না।
    উনারা এত টাই পণ্ডিত হয়ে গেছে যে, যা ইচ্ছে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে। আর কি আজব! মানুষের মুখে মুখে তাদের নাম চলে আসে!
    এত গুলো বাচ্চার কষ্ট টা তার কাছে ফিকে হয়ে যাবে তার লাইমলাইটে পৌছে যাবার আনন্দে।

    • অক্ষর বলেছেনঃ

      বুদ্ধিজীবিতা যদি সমাজ কল্যাণের না হয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে যায়, তখন এমন কথাই শুনতে পাওয়া যাবে……

  7. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    বুদ্ধিজীবিতা যদি সমাজ কল্যাণের না হয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে যায়, তখন এমন কথাই শুনতে পাওয়া যাবে…… 🙁

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।