তুমি এসেছিলে
তপ্ত দুপুরে আমার ক্লান্তিতে।
তীব্র আলোর ক্ষীপ্র তেজে
ঝলসে যাচ্ছিল চোখ
সেদিন তাই তোমায় দেখা হয়ে ওঠেনি।
তুমি এসেছিলে
তীব্র শীতের রাতে আমার আলস্যে
কনকনে হাওয়ার জমাটভাবে-
লেপের ওম ছেড়ে ওঠা হয়নি
সেদিন তাই তোমার উষ্ণতা জানা যায়নি।
তুমি এসেছিলে
শব্দ হয়ে মুঠোফোনে,আমার বধিরতায়।
সমস্যা কোথায় ছিল-সংযোগে,
না আর কোনখানে বোঝা যায়নি
সেদিন তাই তোমার কলহাস্য শোনা হয়নি।
তুমি এসেছিলে
বৈশাখের বিকেলে,আমার ভীতিতে!
আকাশে একরাশ কালো থমথমে মেঘ
ঝড়ের প্রবল আশঙ্কা
সেদিন তাই তোমার স্নিগ্ধতা উপভোগ্য হয়নি।
তুমি এসেছিলে
রিমঝিম বর্ষায় আমার আনন্দে
ছন্দময় বৃষ্টিতে ভিজতে দারুন লাগছিল
আর কোন দিকে চোখ যায়নি
সেদিন তাই তোমার চোখের ভাষা পড়া হয়নি।
তুমি এসেছিলে
স্বপ্নের ঘোরে আমার নিদ্রায়
তাই অবচেতনের ছায়ায়
তোমার হাত আমি খুঁজে পাইনি
সেদিন তাই তোমার নরম বাহু স্পর্শ করা হয়নি
রাত্রি:দেড়টা তারিখ: ০৬-০৫-০৭
কবিতা ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আরও চাই। 🙂
অফটপিক-
বানানের দিকে একটু নজর দিলে আরও ভালো হয় ভাইয়া। 🙂
ভাল লাগল জেনে সুখী হলাম। কোন কোন বানান ভুল আছে একটু বলে দাও না।
খুজে পাচ্ছি না তো
🙁
ওঠেনি, হয়নি, যায়নি>> ওঠে নি, হয় নি, যায় নি (না-বোধক অর্থ হলে ‘না, নি’ এগুলো আলাদা শব্দের মর্যাদা পায়। যেমন, তুলনা, আয়না এই শব্দগুলোতে ‘না’ এর আলাদা কোন অর্থ নেই কিন্তু ওঠে নি মানে ওঠার নেতিবাচক অর্থ বোঝানো হয়েছে, এখানে ‘নি’ এর আলাদা অর্থ আছে, তাই একে আলাদাভাবে শব্দের মর্যাদা দেয়া উচিত।)
প্রথমত বলব ওঠে আর ওঠেনি এই জাতীয় শব্দগুলো বিপরীতার্থক শব্দ। বিপরীত অর্থ প্রকাশে ব্যবহৃত নি এখানে আলাদা করে দিয়ে আলাদা শব্দের মর্যাদা কেন দিতে হবে এটা বুঝতে পারলাম না।
দ্বিতীয়ত এটা একটা কবিতা। কবিতায় শব্দের প্রকাশ কবির ইচ্ছাধীন।
তৃতীয়ত এই শব্দগুলো পত্রপত্রিকাতেও ওঠেনি হয়নি একই সাথে ইউজ হয়ে আসছে- http://prothom-alo.com/detail/news/281118
আমি পত্রিকার ভাষারীতিতে অভ্যস্ত নই। একে আদর্শও মানি না কারণ একেক পত্রিকা একেকভাবে বানানকে ফোকাস করে।
‘কবির ইচ্ছাধীন’ শব্দটার সাথেও আমার দ্বিমত আছে। আমাকে বেশিরভাগ ‘কবি’ ট্যাগিত ব্যক্তিরাই এই যুক্তি দেখায় অবশ্য।
যাই হোক, এই যুক্তিতে যারা বিশ্বাসী তাদের সাথে আমি বাংলা ভাষার বিষয়ে কোন যুক্তি-তর্কেই যাই না। কারণ যারা নিজেকেই স্ট্যান্ডার্ড ধরেন তাদেরকে আমি আলাদা করে আর কী-ই বা বলতে পারি!
তাই এই বিষয়ে আপনার সাথেও এই ধরণের মন্তব্য থেকে আপাতত বিরত থাকলাম।
শুভকামনা।
তোমাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে
‘কবির ইচ্ছাধীন’ শব্দটার সাথেও আমার দ্বিমত আছে। আমাকে বেশিরভাগ ‘কবি’ ট্যাগিত ব্যক্তিরাই এই যুক্তি দেখায় অবশ্য।
কবিদের সাথে ভাষা বিষয়ক যুক্তিচর্চা বিশেষত কবিতায় নিতান্তই অর্থহীন। কবিরা শব্দ সৃষ্টির কারিগর। তাদের ভুল হতে পারে কিন্তু তারা নতুন শব্দ সৃষ্টিরে চেষ্টা করে, নতুন মানে বের করার চেষ্টা করে। যেমন ধরো নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পশিল শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এই শব্দ বাংলা ভাষায় ছিল না। এরকম হাজারো শব্দ উনি ব্যবহার করেছেন। এতে যেমন ভাষার ক্ষতি না হয়ে শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে তেমনি বাকি কবিরাই তাই চেষ্টা করেন। আমরা সবাই করি।
একটা কথা আমাদের মনে রাখা আবশ্যক নিয়ম আছে নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটবে বলেই
আরেকটা কথা কবিতায় সাধু চলিত, আঞ্চলিক শহরের ভাষা সবকিছু মিলে মিশে যায়। তাই কবিতার ভাষারীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা খুব কঠিন কাজ কিন্তু
ভালো লাগছে।
কবিতা দিন কে দিন কম বুঝতেছি মনে হয়!
আমিও তো বানান ভুল পাই নাই!
কবিতা কম বোঝা ভাল, আমি তো কবিতা কি বুঝিই না
না বুঝেই পার করে দিলাম আট বছর।
আছ কেমন ?
“তুমি এসেছিলে
শব্দ হয়ে মুঠোফোনে,আমার বধিরতায়।”
পুরো কবিতায় এইটুকু বেশি ভালো লেগেছে। 🙂
অধরা অনুভূতিটুকু আবদ্ধ হতে থাক ঠিক এভাবেই… :love:
ধন্যবাদ অবন্তিকা
একদম ঠিক বলেছেন আপনি
বুকে পুষে রাখা শাদা কিছু সুখ
না হয় বাচুঁক বুকপাজরেই
ভালো লাগ্লো :happy:
শুনে খুশি হলাম।
স্বাগত আমার ব্লগে
বেশ লাগলো। 🙂
বানান বিভ্রাট: ক্ষীপ্র>ক্ষিপ্র
ধন্যবাদ সামিরা
ক্ষীপ্র বানানটা আমি এভাবে লিখেই অভ্যস্ত। প্রথম আলো আজকাল তীর বানান তির লেখা শুরু করেছ। সেইরকম ক্ষীপ্র বানান যদি কেউ ক্ষিপ্র লেখা শুরু করে (হোক সে বাংলা একাডেমি কিংবা বাংলা আকাদেমি) তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। আমি আমার মত করেই লিখব
তার পরেও যদি কেউ প্রশ্ন করে সহজ উত্তর আমি কবি, কবিতা লিখি। আমার অবাধ স্বাধীনতা আছে শব্দের বানান বিষয়ে।
ধন্যবাদ
ওহ্ আচ্ছা। বাংলা একাডেমি কী লেখে আমি জানতাম না অবশ্য। আমি অভিধানে এটাই পেলাম।
দুটোই যদি শুদ্ধ হয় তাহলে তো অবশ্যই যে কোনটা ব্যবহারের স্বাধীনতা আছে যে কারোর! 😀
ধন্যবাদ আপনাকে সামিরা।
বাংলা বানানের সমতা রক্ষায় বাংলা একাডেমি ও বাংলা আকাদেমি দুটোই ভয়াবহ ভাবে ব্যর্থ। কারোরই কোন কন্ট্রোল নেই বলে একেক পত্রিকা তাদের নিজস্ব ভাষারীতি করে চলছে। কে অথরিটি দিয়েছে প্রথম আলোকে আরেকটা ভাষারীতি করার ? বছরের পর বছর যায় যায় দিন নিজের ইচ্ছা মত ঈ কারের জায়গায় ৃ কার ব্যবহার করেছে ( উদাহরণ গ্রীক > গৃক)
এ প্রশ্নের কোন উত্তর আপাতত নেই।
আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। 🙂
তবে ‘ক্ষীপ্র’ বলে কোন শব্দ আমি কোন বাংলা অভিধানে পেলাম না, আপনি বলার পর খুঁজে দেখেছি। এটা বোধ হয় ‘ক্ষিপ্র’ই হবে। তবে ভুলও হতে পারে আমার।
বাংলা একাডেমী ওর মত থাকুক।
শব্দ চলুক শব্দের মনে
আপনি ভুল বুঝেছেন। আমি বাংলা একাডেমির বানানের কথা বলি নি।
‘ক্ষীপ্র’ বানানের ব্যবহার কোথাও পেলে আমাকে একটু জানিয়েন।
অতি অবশ্যই
ভালো লেগেছে 🙂
ভাল লাগল জেনে সুখী হলাম নিলয়