“বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিনপ্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাব
সেখানে পদ্ম ফুলের মাথায়ে সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে।
নাদের আলি,আমি আর কত বড় হব? আমার মাথা এই ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়ে
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?”
আশেপাশে কি কোন পিচ্চি-পাচ্চা আছে? থাকলে ওঁদের কাছ থেকে নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ইসলাম-শিক্ষা বইটা একটু পড়তাম। কী যেন লিখা থাকত, সব ভুলে গেছি। কিভাবে মনে থাকবে!!! যা পড়েছি তাতো চারপাশে ঘটতে দেখিনি,নাকি বইয়ে ভুল ছিল! না তা কেন হবে? হয়ত যুগটাই এমন, এমনই হওয়ার কথা, এমনই হওয়া উচিৎ! বইয়ে তো আর ভুল থাকতে পারে না। তাহলে হয়ত আমারই দোষ, ফাঁকিবাজি করে পড়েছিলাম- এখন কি না কি পড়েছি মনে নাই……
কী যেন থাকতো ওখানে…… ঈদের কথা, রমজান মাসের কথা, সংযমের কথা……
ছোটবেলায়ে পড়তাম, রমজান মাস-সংযমের মাস। সংযম মানে সকল প্রকার খারাপ কাজ, লোভ-ললসা, হিংসা-বিদ্বেষ, গীবত-পরচর্চা, মিথ্যা কথা,ওয়াদা ভঙ্গ করা, লোক ঠকানো-মোট কথা সকল প্রকার হীন কাজ থেকে বিরত থাকা, নিজেকে সংযত করে দূরে সরিয়ে রাখা। আর খাবার-দাবারে সংযম তো আছেই।আর আছে আল্লাহ্র ইবাদত- বন্দেগী। এ মহান রমজান মাসে বান্দাদের সংযম, ইবাদত, রোযা ইত্যাদির পুরস্কার স্বরূপ মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের এ ঈদ দিয়েছেন। ঈদ-আমাদের পরম আনন্দ ও চরম খুশির ঈদ।
আগে জানতাম ঈদ হচ্ছে-আমাদের সব চেয়ে বড় খুশির অনুষ্ঠান, এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে অপেক্ষার ঈদ, শান্তির ঈদ, সাম্যের ঈদ। সকল দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে উঠার ঈদ, শ্রেণী-বৈষম্য ভুলে একে-অপরের সাথে কোলাকুলি করার ঈদ, দু’দণ্ড শান্তিতে কাটানোর ঈদ।
কিন্তু কী হয় আসলে ঈদ ও রমজানে? কতটুকু শান্তি নিয়ে আসে ঈদ?
মাঝে মাঝে মানুষের ব্যস্ততা দেখলে আমার যেন দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়।মাস জুড়ে মানুষের শপিং নিয়ে দৌড়-ঝাঁপ দেখলে আমার মাথা ঘোরে। কেনা-কাটা করা ছাড়া তাঁদের আর কোন কাজ নাই।শান্তির ঈদের জন্য আয়োজন করতে যেয়ে যে কত অশান্তির সৃষ্টি করছে তা তারা নিজেরাও জানে না।জামা লাগবে, জুতা লাগবে, সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করতে হবে, সবার চোখ ট্যারা করে দেবার মত ঈদের উপস্থাপনা হতে হবে,বাজারের সব চেয়ে দামি জিনিসটা লাগবে……… সংবাদ মাধ্যম গুলোর ও একই কাজ। টিভি চ্যানেল, পত্রিকা সব যায়গা জুড়ে শুধু ফ্যাশন এর খবর, কোন দোকানে কী আসলো-কী গেলো, পার্লারে কে ভিড় করলো ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি……… রাস্তার পাশে বসে যে প্রতিদিন দেখছে- হাজার হাজার মানুষ দু’হাত ভর্তি করে শপিং নিয়ে বাড়ি ফিরছে আর সে গরমে ঘেমে-নেয়ে ওই সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে-তাকে কোন টিভি চ্যানেলে দেখায় না।
আচ্ছা ওঁদের ক্লান্ত লাগে না?
না ওঁরা ক্লান্ত হয় না, সে সুযোগ কোথায়??? দুঃখে তো কেঁদেই বাঁচে না!!! কাঁদবে না! ঈদে যে ১৭টা জামা হয় নাই, আমার জামার চেয়ে বান্ধবীর জামার দাম বেশি, ওঁরটা আড়ং এর আমারটা ভরং এর, ওর জামায় কাজ বেশি,আমারটায় কম, জামার রঙটা কি উঠে যাবে? আমার ঈদের জামা সবাই দেখে ফেললো, পুরান হয়ে গেসে,নতুন আরেকটা লাগবে। ৬ জোড়া জুতা কম হয়ে গেলোনা! চুল রঙ করানো দরকার……………… ওঁদের কি এক বারো মনে পড়ে যায় না, পথের ধারের ওই শিশুটার কথা- যার কেউ নাই, কিছু নাই, খোলা আকাশের নিচে থাকে? তার কাছে কি ঈদ স্বরবর্ণ আর ব্যাঞ্জণবর্ণের পাশাপাশি অবস্থান ছাড়া আর অন্য কিছু???
মানুষ গুলো এমন কেন?
***
বস্তির খুপরি খুপরি ঘর, অনেক বাচ্চা-কাচ্চা থাকে। একদিন বস্তিতে এক অভাবনীয় কাণ্ড ঘটে গেলো। কোথা থেকে যেন কতগুলো আপু-ভাইয়া এসে বস্তির বাচ্চা-কাচ্চা গুলোকে ঈদের কাপড় দিয়ে গেলো। বস্তির একটা ছোট্ট মেয়ে-সবার মুখে মুখে শুধু তা শুনল, কিন্তু যেতে পারেনি। মা বাড়িতে ছিল না, ছোট বোনটা অসুস্থ, খালি ঘরে অসুস্থ ছোট বোনকে ফেলে কি কাপড়ের জন্য দৌড় দেয়া যায়ে??? কিন্তু তাই বলে তো ঈদে নতুন কাপড় না পাওয়ার দুঃখ ও ভোলা যায় না?
৩ দিন আগের ঘটনা, এরপর থেকে ওই নাম না জানা মেয়েটি প্রতিদিন রাস্তার মাথায় দাঁড়িয়ে থাকে, যদি আবার ওই আপু-ভাইয়াদের দেখা পাওয়া যায়।ঈদের তো আরো ৭ দিন বাকি, কোন না কোন দিন কি দেখা পাওয়া যাবে না?
***
২৯শে রমজান, কাল হয়ত ঈদ হবে। মেয়েটি আজো রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে,এখন পর্যন্ত একদিন ও আর ওই আপু-ভাইয়াদের দেখা পাওয়া যায়নি,প্রতিদিন না পাওয়ার এক ভারি বোঝা নিয়ে সে বাড়ি ফিরে। না প্রতিদিনের মতই- আজো কাক-পক্ষীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হয়ে আসছে, বাড়ির দিকে ফিরে যেতে হবে। বাড়ি ফিরতেই পাশের ঘরের তার সমবয়সী বান্ধবী ঘরে এলো, হাতে সেই আপু-ভাইয়াদের দেয়া কাপড়, কাছে এসে কাপড়টি দিয়ে বলল-“তুই এইডা রাখ, তর ত একটাও ঈদের জামা অয় নাই, আমার এডা লাগবো না,আব্বায়ে আমার লাইগ্যা কিন্না আনছে।” বলেই বান্ধবীটি মেয়েটিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় আর মেয়েটি হতবাক হয়ে চেয়ে রয়………
কিন্তু সবাই তো এতো ভাগ্যবান না,এত ভালো বন্ধু জুটে না কপালে।বস্তিতে আরও কত বাচ্চা-কাচ্চা রয়ে গেলো যারা সেদিন কাপড় পায়নি-কেউ হয়ত ঘুমাচ্ছিলো, কেউ খেলতে বের হয়েছিলো, কেউ হয়ত দূর থেকে দেখে দৌড়ে-আসতে-যেয়ে হোঁচট খেয়ে পিচের রাস্তায়ে পড়ে পা টাই ছিলে ফেলেছিলো কিন্তু কাপড়টা পায়নি……
***
আজ ২৯শে রমজান, অনিশ্চয়তার চাপা আনন্দ সবার ভিতরে, সবাই একই উত্তেজনায় কাঁপছে-আজ কি চাঁদ উঠবে??? কী এক প্রাণচঞ্চলতা সবার মাঝে।খুশির ঈদ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ততো তাড়াতাড়িই আসুক………
কিছুই ভালো লাগছে না। পথশিশুদের কাপড় দেয়ার কাজ শেষ, এখন আর কোন কাজ নেই ঈদের অপেক্ষা করা ছাড়া, কিন্তু আমি কি অন্য আর সবার মত আসলেই ঈদের অপেক্ষায় আছি?মনে মনে কি একটুও চাচ্ছি না-ঈদটা যেন যত পারে দেরিতে আসে।
বাচ্চা গুলোকে কাপড় দেয়ার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, পৃথিবীর অমূল্য সম্পদ-‘একটি হাসি’ তাঁদের মুখে দেখা।তখন কে জানতো এমনটা যে হবে। যখন ফুলের কুঁড়ি গুলোকে কাপড় দিতাম-দু’চোখ ভরে দেখতাম তাঁদের আনন্দে ভেসে যাওয়ার দৃশ্য।কিন্তু একটু পরেই না-ফুটে-কলি-থেকেই-ঝরে-পড়া পাপড়ি গুলো চোখে পড়তো। কিছু আমাদের সীমাবদ্ধতা, কিছু আমাদের অপারগতা, কিছু তাঁদের দুর্ভাগ্য, সময়ের সাথে ব্যাট-বল না মেলা- ইত্যাদি নানা কারণে সবার মুখে আমরা হাসি ফোটাতে পারিনি। একজন পেল আর তার পাশের ঘরেরই আরেকজন পেলো না-কী অসহনীয় কষ্টের এই অনুভূতি। অনেকগুলো হাসিমুখ স্মৃতির পাতায়ে গেঁথে ঘরে ফেরার পর ও ওই ব্যর্থ মুখগুলো খুব পীড়া দেয়। ঘুরেফিরে বার বার ওই দৃশ্য ভেসে আসে- কেউ গভীর আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হয়ত আবার কাপড় দিতে আসবে…………
আচ্ছা ওই কষ্টের অনুভূতিটা কেমন? যার আশ্রয় নাই, মাথার উপর ছাদ নাই, ঈদের কাপড় নাই, সেমাই খাওয়ার সুযোগ নাই, আতরের ঘ্রাণ নেয়ার সৌভাগ্য নাই, পায়ে ধরে সালাম করার কেউ নাই, সালামি নাই……………… যতই আমরা লেখালেখি করি আর সমাজ সেবা করি না কেন-ওই অনুভূতি কি সত্যিই আমরা কোন দিন অনুভব করতে পারব?
পাশের ফ্ল্যাটের সুদর্শনা তরুণী বলে রেখেছে-খেজুর মুখে দিয়ে রোজা খুলেই ছাদে দৌড় দিতে-চাঁদ উঠেছে কিনা দেখতে। যথারীতি গেলাম- হ্যারিকেন, হ্যাজাক বাতি কিছু দিয়ে খুঁজেও কোথাও চাঁদ পেলো না। তার খুবই মন খারাপ। ঈদ আসতে আরও একদিন বাকি রয়ে গেলো- হাতের মেহেদি এই একদিনে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে; তাই অত্যাধিক চিন্তিত, পার্লার থেকে ফেসিয়াল করে এসেছিল; এই একদিনে ত্বকে সম্ভবত কিছু ধূলা-বালির আস্তরণ পরবে- তাতে সে অত্যন্ত দুঃখিত, সেই দুঃখে ছাদ থেকে লাফ না দেয় কে জানে। আরো কী কী যেন বলছিল তরুণী- চুল, জামা, চুড়ি, গহনা…… কথাগুলো শুনতে শুনতে আবার যেন আমার পৃথিবীটা দুলে উঠলো। শরীর ভালো লাগছে না-এই দোহাই দিয়ে এই যাত্রায় কোন রকমে ছাদ থেকে নেমে এসে সুদর্শনার হাত থেকে আমি বাঁচলাম।
বারান্দায়ে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছি। মৃদু বাতাস বইছে, ভালো লাগছে বেশ। আকাশে চাঁদ নেই শুধু একটা তারা জ্বলজ্বল করছে, ওই তারাটা এতোটা কেন উজ্জ্বল?! এতো উজ্জ্বল তারা তো সচরাচর দেখা যায়ে না! থাক মন্দ কী-আছে যখন দেখতে থাকি আর বাতাস উপভোগ করি- কাল ঈদ না তো কী হয়েছে? একটা শান্তির মুখ মনের মানসপটে ভেসে উঠছে-যার কেউ নাই, কিচ্ছু নাই, তাই ঈদ যার জন্য দুঃসহ বেদনা ছাড়া আর কিছু নিয়ে আসে না,সে নিশ্চয়ই ওই দুঃখের দিনের অপেক্ষায় বসে থাকে না। কাল ঈদ না-খুব ভালো হয়েছে। পৃথিবীতে তার কষ্টের দিন একটা কমে গেলো। এরপর পৃথিবীতে যত দিন সে বেঁচে থাকবে-একদিন কম কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকবে।আহ্ কি শান্তি- তার সে দীর্ঘশ্বাস যেন হিমেল বাতাস হয়ে মুখে ঝাপটা দিয়ে গেলো………
বৈরাগী, অবাক করে দিয়েছেন। আবার পড়তে হবে।
তবে, নিজের ক্ষুদ্রতা বর্ণনা করে লিখা লাইনগুলি প্রচন্ড নাড়া দিয়েছে। সমাজ সেবা তো সমাজ বদলানোর জন্যই। কিন্তু, আমরা পারছি কই?
“কিন্তু সবাই তো এতো ভাগ্যবান না,এত ভালো বন্ধু জুটে না কপালে।বস্তিতে আরও কত বাচ্চা-কাচ্চা রয়ে গেলো যারা সেদিন কাপড় পায়নি-কেউ হয়ত ঘুমাচ্ছিলো, কেউ খেলতে বের হয়েছিলো, কেউ হয়ত দূর থেকে দেখে দৌড়ে-আসতে-যেয়ে হোঁচট খেয়ে পিচের রাস্তায়ে পড়ে পা টাই ছিলে ফেলেছিলো কিন্তু কাপড়টা পায়নি……”
এই লাইনগুলো পুরো লিখাটাকে যেন বেঁধে রেখেছে। আমরা নিজেরা কি ঠিক একটুর জন্য অনেক সৌভাগ্যবান হয়ে গেলাম না? 🙁
কী বলবো??!! কিছু বলার নাই, এভাবে মন খারাপ নিয়েই বছরের পর বছর ঈদ কাটাচ্ছি। জানি না এর শেষ কোথায়………
অনেক মন খারাপ হয়ে গেলো লেখাটা পড়ে 🙁
ভীষণ সত্যি কিছু কথা 🙁
🙁
কি/কী নিয়ে কনফিউশন দূর করার জন্য সরবের ‘বানান বিভ্রাট’ সিরিজটা দেখতে পারো।
ঘুড়ে>ঘোরে
যায়ে>যায়, অপেক্ষায়ে>অপেক্ষা – এই জায়গাগুলি ঠিক কইরো।
অনেক সুন্দর লিখেছো।
এই ঈদে হঠাৎ জামা পেয়ে যাদের মুখে হাসি ফুটলো, এর আগের কিংবা পরের অনেক অনেক ঈদেও হয়তো বা তাদের আর জামা জুটবে না। এই ক্ষণস্থায়ী হাসি যেন চিরস্থায়ী হয়, সে দিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত আমাদের। 🙂
ধন্যবাদ আপু 🙂 লিখার সময় দেখি না কেন? পরে আরো কিছু পেলাম, ঠিক করেছি যতটুকু পারি। আরেকবার দেখে দিয়েন তো
চিরস্থায়ী করার কাজটা তো খুব কঠিন যেখানে ক্ষণস্থায়ী টাই ঠিক মত করা যাচ্ছে না। জানেন বাচ্চা দের কাপড় দিয়ে যখন বাসায় ফিরতাম তখন নিজেকে কেমন যেন অপরাধী লাগতো। মনে হত-কিছু মুখে হাসি ফুটিয়ে আরো অনেক গুলো মুখকে বিষাদে ভরিয়ে দিয়ে আসলাম 🙁
আগে সমালোচনা সেরে নিই।
১. সরবের প্রথম পাতার বাম পাশে ‘বানান বিভ্রাট’ পেইজ থেকে ঘুরে আসবি।
২. বেশ কয়েকবার একই টাইপো দেখলাম।
‘ বান্ধুবী’>> হ্রস উ-কার মুছে দিস।
৩. গ্যাপ বোঝানোর জন্য তিনটে লাইন না টেনে ছোট্ট তিনটে স্টার মার্ক দিলেও হত বোধহয়।
প্রশংসা-
১. লেখার হাত ভালো হচ্ছে।
২. এলোমেলো লাইনগুলো অনেকটাই ভাবিয়ে গেল আমায়।
৩. মানবিকতার ‘প্রশ্নবোধক’ জায়গাগুলি সবাই এত প্রাঞ্জলভাবে তুলে আনতে পারে না। তুই পেরেছিস।
সমালোচনা
১। আগেও ঘুরেছিলাম, আবারও ঘুরলাম। 🙁 ভয়ে তো এবার ঘুরতেসে এবং তারচেয়ে বেশি চিন্তিত ও লজ্জিত, এরপর না লিখাই ছেড়ে দেই কে জানে 🙁
২। এভাবে নির্দিষ্ট করে বলে দিলে সুবিধা হয়,তাহলে ভবিষ্যতে ভুলের সম্ভাবনা কমে যায়। 🙂
প্রশংসা
১। আমার তো উল্টাটা মনে হয়, একটা লিখলে মনে হয় আগেরটা ভালো ছিল, বিশেষ করে এই লিখাটা খুবই আগোছালো, অসংগতিপূর্ণ মনে হয়েছে, ঠিক ভাবে গুছাতে পারছিলাম না কিন্তু ভাবনা গুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো, তাই যাই হোক- টা দিয়ে দিলাম।
২।???!!!
৩।’তুই’ করে বলার মাধ্যমে আপন করে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। :love:
ভালো লেখারাই সাধারণত মন খারাপ করতে পারে। 🙁
ভালো লেখার চেয়ে এখন এই মন খারাপটা তৈরি হওয়াই বেশি দরকার। তাহলেই হয়ত একদিন অপেক্ষার শেষ হবে। অন্ধকার দূর করে ঝলমলে রোদ নিয়ে সকালে আসবে যা দেখলে শুধু আমরা না- পাখিরাও গেয়ে উঠবে, গাছপালা আনন্দে দুলে উঠবে, আর আমাদের তিন-প্রহরের বিল দেখা হবে…………