কাকরাইল মোড়… ৯ তলা থেকে নিচে দেখছিলাম। এত উঁচুতেও গাড়ির সুস্পষ্ট প্যাঁ-পু শব্দ শোনা যায়। কান ঝালাপালা করা শব্দের মধ্যেও পর্যবেক্ষণে নিমগ্ন হলাম। মনে হল যানবাহনগুলো জীবন্ত হয়ে আজব খেলায় মেতে উঠেছে! সোজা যাবার গাড়িগুলো বাঁ দিকের লেন দিয়ে সাঁই সাঁই করে ছুটে এসে সামনে এসে জায়গা দখলে ব্যস্ত; কোথাও ছোট্ট একটা ডেলিভারি ভ্যান পার্ক করার কারণে পেছনে অনেকখানি জ্যাম; টুকটাক ফল বিক্রেতা, ফেরিওয়ালার দাপটে হাঁটার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। মানুষ চলছে, গাড়িও চলছে। যে যার মত, আগে যেতে পারলেই যেন সবাই খুশি! কিন্তু নিজের জন্য সৃষ্ট সমস্যাটা কেউ-ই বোধহয় উপলব্ধি করতে পারছিলনা। আমি উপর থেকে দেখাতে স্পষ্টই বুঝতে পারছিলাম, ইসস হাতের কাছে একটা গুলতি থাকার প্রয়োজন অনুভব করছিলাম……ঠুস ঠাশ কয়টাকে মারতাম… :nishana:
এই চিত্র শুধু কাকরাইলের না। ঢাকার সব রাস্তার। আজকাল অসহনীয় হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের চলাচল।
রাস্তাঘাট আর যানবাহনের উপর বিরক্ত হয়ে জীবনে বহুত হাঁটাহাঁটি করলাম। কতদিন যে বাস সার্ভিসে বিরক্ত হয়ে পায়ে হেঁটে ভার্সিটি থেকে বাড়ি ফিরেছি! বাসায় ফিরে রাস্তার সব মানুষ আর অথরিটির চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে তবেই ক্ষান্ত হতাম। আসলে রাস্তা বিষয়ক অভিজ্ঞতা আমার ভীষণ খারাপ। জীবনের কোথাও তেমন কোন ভেজাল নাই, খালি রাস্তায় নামলেই শুধু মনে হয় যুদ্ধ ক্ষেত্রে পদার্পণ করলাম। আসুন দেখি, কেন এমন ক্ষোভ আমার…
কোনো এক পড়ন্ত বিকেল, শখের বশে হাঁটছি, মেজাজ ফুরফুরে। হঠাৎ পায়ের উপর এক দলা তরল পদার্থ অনুভূত হল! পাঠক, বুঝতেই পারছেন ওটা কি ছিল। আমি রক্তচক্ষু নিয়ে “তাহার” দিকে তাকালাম, আমাকে অবাক করে দিয়ে উনি বললেন ‘দেখে হাঁটেন না?’ বাকরুদ্ধ হলাম, সত্যি ই সেলুকাস, কি বিচিত্র এ ধরণী!
শুধু একদিন না, আমি অনেক দিনই “থুথু হামলার শিকার”… কতদিন কত ডাইভ দিয়ে মিলিমিটার-সেন্টিমিটারের ব্যবধানে বাস থেকে নিক্ষিপ্ত থুথু, পানের পিক, বোতল, চিপস এর প্যাকেট থেকে বেঁচে গিয়েছি, গুণে শেষ করতে পারিনা। বিমানবন্দরের টার্মিনালগুলোর বাইরের মেঝেটায় তাকিয়ে দেখবেন কোনোদিন। এর মধ্যে যতজন দেশের বাইরে যাবেন, অনেকেই থুথু ফেলায় ব্যস্ত! বাইরে গিয়ে কি আমাদের স্বভাব বদলে যায়! অথচ এই মানুষগুলোই আমার দেশকে রিপ্রেসেন্ট করে! দুঃখ! দুঃখ! :mathagorom:
ফুটপাতগুলো বড় চমৎকার আমাদের! মানুষ হাঁটার জায়গা বাদে আর সব কিছুই করা যায়। ৫/৬ ফুট ফুটপাতের অনেকখানিই ভাঙা, ফেরিওয়ালাদের দখলে নয়তো “অঘোষিত পাবলিক টয়লেটে রূপান্তরিত”! মাছের রাজা যেমন ইলিশ, তেমনি রাস্তার রাজা হল মোটরসাইকেল। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মোটরসাইকেল চালকদের কাজকর্ম দেখলে মনে হয়- ট্রাফিক আইনের বাইরে পড়েন ওনারা। ফুটপাতে কই মানুষ হাঁটবে, ওখানে ওনারা দৌঁড়ান! আর যদি কখনও কিছু বলার সাহস করেন, তবে উল্টা নিজেই আমার মত বিব্রত হবেন। প্রায়ই দেখবেন ফুটপাতগুলোতে মোটা মোটা রেলিং এর গোলকধাঁধা, কখনও কখনও রাস্তা থেকে ফুটপাতের উচ্চতা ১ ফুট ; যার কোন যুক্তিই আমি খুঁজে পাইনা। আমরা আমাদের আরবান প্ল্যানিং দিয়ে বিকল্প ভাবে সক্ষম কিম্বা গর্ভবতী মায়েদের স্পষ্টই বুঝিয়ে দেই- এই রাস্তা আপনাদের চলার জন্য নয়!
এবার চলুন ঘুরে আসি আমাদের পাবলিক জায়গাগুলোতে। যেখানেই দেখবেন ময়লা বেশি, বুঝবেন ওটাই আমাদের পাবলিক প্লেস; দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি! আমি জানিনা, আমরা কি আসলেই এত বোকা যে নিজেদের বিনোদনের জায়গা নিজেরাই ময়লা করি! পহেলা বৈশাখের বিকেলবেলাটা একবার হলেও হেঁটে আসা হয় শাহবাগ থেকে। প্রতিবছর অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে রাস্তার ভয়াবহ নোংরা অবস্থাটা দেখি। এত গর্ব করে যখন আমরা দিনটি উৎযাপনে ব্যস্ত, দিন শেষে রমনা পার্ক আর বাকি রাস্তাগুলোর চিত্র আমাকে বরাবরই পীড়া দেয়, এই কি আমাদের বাঙ্গালীপনা! কবে আমরা সভ্য হয়ে উঠব!
শুধু নিজেদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, ব্যবস্থাপনাতেও যথেষ্ট অদূরদর্শিতা চোখে পড়ে। হাতিরঝিল প্রকল্প শুরু হওয়ার পর মগবাজারের বাস স্ট্যান্ড পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ঠিক ঝিলটির সামনে। আমার খুশি দেখে কে! এতদিনে বোধহয় সবার মাথা খুলতে আরম্ভ করেছে। অন্তত সিএনজি স্টেশনের গরম আর ময়লার দুর্গন্ধ থেকে বুঝি মুক্তি মিলবে, বোনাস হিসেবে ফুরফুরা বাতাসও পাওয়া যাবে। তাক্ ধিনা ধিন্ করতে করতে প্রথমদিন বাস স্ট্যান্ড এ গিয়ে দেখি, বাস স্ট্যান্ড পেছানো হয়েছে, সাথে আমার তিন চোখের বিষ (আমার ভাষায় সর্বোচ্চ ঘৃণা)ময়লার বিনটাও! এখন বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়ালে ময়লার গন্ধ মিশ্রিত বাতাস পাওয়া যায়। আগের চেয়ে অবস্থা আরও শোচনীয়! বাস স্ট্যান্ডগুলো যেন রণক্ষেত্র, কে কাকে মাড়িয়ে আগে উঠবে তার প্রতিযোগিতা। নামানোর সময় হেলপারগুলো তাদের নামের সার্থকতা বুঝাতেই বুঝি মেয়েদের পিঠে অথবা কোমরে হাত দিয়ে নামিয়ে (ধাক্কাই বলা চলে) হেল্প করেন। এই অযাচিত সাহায্য এড়াতে অনেকদিনই প্রায় চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে পা মচকানোর ঘটনাও আমার জীবনে কম নয়।
হঠাৎ করেই চারিদিকে মলম পার্টি আর ছিনতাইয়ের জ্বালাতনে মানুষ অতিষ্ঠ। কোথায় আমরা আইন-শৃঙ্খলা কঠোর করবো, করলাম উল্টোটা! নিজেদের চলার বাহনকে বানালাম “খাঁচা”। এত গরমে সিএনজিতে চড়লে নিজেকে ফার্মের মুরগির মত মনে হয়। আমার আসলেই বোধগম্য হয়না কেন আমরা উল্টো কাজটাই করি সবসময়! এই খাঁচায় করে বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে “মুক্তচিন্তার” অধিকারী হবে তা অবশ্যই চিন্তনীয়।
শুকনো মৌসুমে এত ঝামেলা, বর্ষায় তা আরও প্রকট। সবগুলো নাহয় না-ই বললাম। একবার বর্ষায় এক গাড়ির কাঁদা পানি ছিটানোর অপমানটা এখনও ভুলতে পারিনাই। তাই গাড়িচালকগুলোকে আমার মাঝে মাঝে ফুটপাতে দাড় করিয়ে কাঁদা ছিটাতে ইচ্ছা করে। আমার এত বিদ্রোহী মনোভাব দেখে বাসার মানুষজনের ভয় কোনদিন আমি বাইরে থেকে মারামারি করে বাসায় ফিরি! :haturi:
পড়াশুনা করতে একবার দেশের বাইরে যাবার সুযোগ এলো। আমার অসম্ভব প্রিয় কবিতাটা মনে মনে আওড়ালাম “ থাকব না’ক বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগতটাকে, কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে”। যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে মানুষ কিভাবে ঘুরছে এটা দেখার চেয়েও লোভ হল বাইরের দেশের ট্রান্সপোর্টে ওরা কিভাবে ঘুরছে সেটা দেখার।বইয়ে অনেক পড়েছি উন্নত দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে, এইবার দেখলাম। এইখানের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ওখানে গিয়ে পড়লাম একেবারে স্বর্গে! কোন ঝামেলা নাই, আরামসে যাতায়াত, স্কুলে যেতে সময় লাগেনা, কটেজের ঠিক সামনে বাস নামিয়ে দিয়ে যায়, চালকদের অপূর্ব ব্যবহার, প্রশস্ত ফুটপাত, অপরিচিত মানুষজনের অমায়িক ব্যবহার। কিন্তু অতি আনন্দিত হবার বদলে আমার হঠাৎ কান্না পেল। এখানে সবকিছু বেশি “পারফেক্ট”! ওখানে আমার দেশের মানুষগুলো নেই, ফুটপাতগুলোতে এক্টিভিটি কম, এত রঙিনও না। ভালমতোই বুঝলাম এত বিরক্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশ আমাকে প্রবলভাবে টানে।
আমি এখনও রাস্তায় বিদ্রোহী হলেও মনেপ্রাণে আশাবাদী। চলার পথে একটু সহনশীলতা আর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আমাদের দেশকেও করতে পারে গর্ব করার মত।
এমন একটা দিনের অপেক্ষায় প্রতিদিন স্বপ্ন দেখি যেদিন ১০ মিনিট দেরি করে উঠেও কোনরকম থুথু হামলার শিকার না হয়ে, হেল্পারের অযাচিত সাহায্য ছাড়াই আমি ঠিক সময়মত ক্লাসে পৌঁছে যাব আর গর্ব করে বলব “এটা আমার দেশ, যেমনই হোক, তবুও ভালবাসি”।
ভেবেছিলাম এবার বুঝি রোমান্টিক একটা লেখা পড়তে এলুম কৃষ্ণচূড়াদিদির লেখা! অবশেষে সেই অম্লমধুর ভালোবাসার কাহিনীতে সিক্ত হলাম।
পথে চলতে অমন অনেক সিক্ত হয়েছি। তবু অন্য এক ভালোবাসায় সবাইকে ভিজিয়ে দিতে ইচ্ছে করে।
“ভেবেছিলাম এবার বুঝি রোমান্টিক একটা লেখা পড়তে এলুম কৃষ্ণচূড়াদিদির লেখা! অবশেষে সেই অম্লমধুর ভালোবাসার কাহিনীতে সিক্ত হলাম।”
ভিন্নরকম ভালবাসার গল্পে সিক্ত করতে পেরে আনন্দিত 😀
ধন্যবাদ।
“এমন একটা দিনের অপেক্ষায় প্রতিদিন স্বপ্ন দেখি যেদিন ১০ মিনিট দেরি করে উঠেও কোনরকম থুথু হামলার শিকার না হয়ে, হেল্পারের অযাচিত সাহায্য ছাড়াই আমি ঠিক সময়মত ক্লাসে পৌঁছে যাব আর গর্ব করে বলব “এটা আমার দেশ, যেমনই হোক, তবুও ভালবাসি। ”
ইশ,কবে যে দিনটা আসবে। 😐
আসবে নিশ্চই……… :dhisya:
“আসবে নিশ্চয়ই”
একজন একজন করে পরিবর্তন হতে থাকলেই আসবে- আমারও দৃঢ় বিশ্বাস 😀
“এই খাঁচায় করে বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে “মুক্তচিন্তার” অধিকারী হবে তা অবশ্যই চিন্তনীয়।”>>পুরোপুরি আমার মনে এতদিন ধরে ঘুরতে থাকা লাইনটা পড়লাম! যার কোন উত্তর এখন পর্যন্ত খুঁজে পাই নি! :chup:
চলন্ত গাড়ি থেকে লাগ দিয়ে শুধু তো পা মচকেছ তুমি। আর আমার সালোয়ার ছিঁড়ে পা কেটে রক্তারক্তি অবস্থা। হাঁটু ভেঙে হাঁটতে পারি না, বসতে পারি না। বেশ কয়েকদিন ধরে চেয়ারে বসে বসে নামাজ পড়তে হয়েছে। অ্যাক্সিডেন্টের সাথে আমার আজন্ম বন্ধুতা! 🙁
আহারে! তোমার কথা শুনে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে! আমার কখনও এমনটা হয়নি অবশ্য।
হয়তো আমাদের অনেকের মনেরই প্রশ্ন সেটা। আমার বার বারই মনে হয়, বাংলাদেশীরা খুব অ্যাডাপটিভ (!)। আমরা যা পাই,তাই বরণ করি। নিজেরা বুদ্ধি খাটিয়ে আবার দেখি না।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ফিনিক্স পাখি।আমার পোস্টে আরও উড়ে বেড়াতে এসো 😀
আবার উড়ে এসেছি তোমার পোস্টে। কৃষ্ণচূড়ার রঙ দেখতে, ধারণ করতে। 🙂
😀
এখানে একদমই ভালবাসা নাই। এতগুলান ভেজালের পর যে এইটাকে ভালবাসার আশেপাশে নেয় তাকে আসলে কি বলবো বুঝতেই পারতেছি না।
কি কইলেন! হায় হায়! এত ভালবাসা বুঝতে পারলেন না? :wallbash:
ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ 😀
তোর মত করে ভালবাসলে সেই দিন অবশ্যই আসবে।
ভালোবাসতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
অসাধারণ দোস্ত।
তুলনাহীন তোর ভালোবাসা
“ভালোবাসতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।” :clappinghands:
এখনও অনেক মানুষ আছে সেইরকম করে কাজ করার জন্য। করছেও। কিন্তু বিচ্ছিনভাবে। যখনই সবাই একসাথে করতে শুরু করবে, দেখবি খালি কি হয়।আমি আশাবাদী, অনেক।
“তুলনাহীন তোর ভালোবাসা” ধন্যবাদ বন্ধু।
সুন্দর লেখা 🙂
কিনাদিইইইইইইইইইই ধন্যবাদ 🙂
ঈদের দিন ১০ মিনিটে সব জায়গায় যেতে পারেন তো…… ভাল লাগল। :clappinghands:
ধন্যবাদ 😀
ঈদের দিন সময় কম লাগলেও মানুষের স্বভাব যে বদলে না, এইটাই দুঃখ :wallbash:
অনেকগুলো বিষয় অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। 🙂 🙂
ভাল লেগেছে। 🙂
দেশটাকে আরও ভালবাসতে চাই। এরকম সচেতনতামূলক আরও লেখা চাই। :littleangel: ( যাতে করে ভুল করার আগে আপনার লেখার কথা মনে পড়ে :-& )
ধন্যবাদ সৌমি :yahooo:
“দেশটাকে আরও ভালবাসতে চাই। এরকম সচেতনতামূলক আরও লেখা চাই।”
চেষ্টা থাকবে।
অপেক্ষার দিনটা একদিন আসবেই ইনশাআল্লাহ্!
লেখাটা ভাল লেগেছে। তবে পড়তে পড়তে মনে হল নেতিবাচক ব্যাপারগুলির আমি বোধহয় একটু কমই স্বীকার হয়েছি। :yahooo:
অপেক্ষা করেই হবে না, একজন একজন করে ঠিক হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিখাতে হবে না? 🙂
আমিতো একগাদা নেতিবাচক ব্যাপার লিখেছি, তারপরও হয়তো আমার চেয়েও আরও অনেক নেতিবাচক অবস্থার শিকার হয়েছে অনেকে।
“অপেক্ষার দিনটা একদিন আসবেই ইনশাআল্লাহ্!” ইনশাআল্লাহ 😀
ইশ, সবাই যদি এভাবে ভাবত!!!!!! আচ্ছা এখন থেকে হলেও নিশ্চয়ই ভাববে…কারণ এই পোস্ট ভাবিয়ে তুলবে…আমার মত করে অন্য সবাইকেও……
ধন্যবাদ অহর্নিশ
অনেক সুন্দর লেখা 🙂
‘তবুও ভালোবাসি।’
ধন্যবাদ নিলয়…
হুম… “তবুও ভালোবাসি”