আমাদের এই পৃথিবী যদি গোলকার বা গোলের মত আকৃতি না হত তাহলে কেমন হত ? ধারণা মতে, জিওমেট্রিক্যাল যে কয়টা বেসিক শেপ দিয়ে আমরা সব কাজ করি বা এইগুলোর আলোকে করা প্রাকৃতিক ডিজাইনকে স্টেবল ধরা যেতে পারে। প্রাকৃতিক কাজ থেকেই অনেক গাণিতিক সূত্র বা স্ট্রাকচারাল ভিউ বা সবচেয়ে কম ইনারজিতে পারফেক্ট ডিজাইন কনসেপ্ট আমরা সহজে পেয়ে যাই। তার মানে প্রকৃতি আমাদের একধরণের আইডিয়া বা শিক্ষা দিচ্ছে আমাদের কীভাবে কাজ করা দরকার। ঊদাহরণ দেই, জাপানে প্রথম মস শৈবালের উপর গবেষণা করে সিটি প্ল্যান করা হয়েছে যা একেবারে নিখুঁত। এরপর আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডে একইভাবে এক প্রধান শাখা থেকে অন্যান্য দিকে সবচেয়ে ভালো এবং তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেন রাস্তার উপায় বের করা হয়। এরকম বহু কাজ হচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রকৃতিকে বিশ্লেষণ করে।
এই “সিমফনিই ” আমাদের গাণিতিক সব হিসাবের শুরুতে চিন্তা করতে শিখায় এবং একে বাস্তব জীবনের সকল সমস্যার সমাধানের এক অণুলিপি বলা যেতে পারে। দিনদিন প্রয়োজনীয় জিনিস হিসাবের দরকার হতে থাকে। হাজার বছর ধরে চলে আসা প্রকৃতি এবং মানুষের হিসাবের প্রয়োজন আমাদেরকে একটি নিয়মে বাঁধতে চায় আর সেটাই ভাবা হয় জগতের কমন ভাষা যাকে আমরা গণিত বলি। আসল ঘটনায় আসি, আজকে আসছিলাম ট্রেনে। অনেক্ষণ পরে দেখলাম ছোট একটা মেয়ে তার বাবকে নিয়ে উঠেছে। তারা ঠিক আমার পাশে এসে বসলো। আমি তখনো জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে। এক্ সময় দেখলাম বাচ্চাটিকে তার বাবা শান্ত রাখার জন্য একটা খেলানা বের করে দিলেন, খেলনাটা এরকম যে একটা স্বচ্ছ বৃত্তাকার প্লাসটিকের মধ্যে একটা হাঁস পানিতে ভাসছে এবং সাথে কিছু খুব ছোট বিভিন্ন রঙের বল। ব্যাপার হচ্ছে যেভাবেই এটাকে ঘুরানো হোক না কেন প্লাস্টিকের হাঁস সব সময়ই সোজা থাকছে, সব দিক থেকেই একে সমান দেখাচ্ছে। আমার মাথায় তখন কেন যেন একটা জিনিসই ঘুরছিল সেটা হল, প্রকৃতি যদি নিয়ম মোতাবেক সবচাইতে স্টেবল ডিজাইন করতে চেষ্টা করে তাহলে এই বিশ্বভ্রমান্ডের ডিজাইন অন্যভাবে করা সম্ভব হোত না। অন্য ডিজাইনে কোনভাবেই আমরা ভারসাম্য রাখতে পারবো না। ঠিক সেন্টারে গ্যাস বলয় নিয়ে নিজের অক্ষে ঘুরে চলেছে সব গ্রহ। যদি শুধু পৃথিবীর কথা চিন্তা করি সেখানে আমাদের মহাদেশগুলো প্লেটের মত সরে যাচ্ছে সবসময়ই, আমরা বুঝতে পারছি না। যেমন সেই মেয়েটি যখন বলটি ঘুরাচ্ছে.. বলের সাথে তুলনা করলে আমাদের নীল আকাশও পরিবর্তনের মত মেয়েটির বলের উপরের সারফেস বদলাচ্ছে কিন্তু খেলনা হাঁস সব ক্ষেত্রেই একটা ভারসাম্যে আসছে। যেমনটি আমরা সবাই । তবে আসল ব্যাপার একটি, আমাদের পৃথিবী পুরো গোলাকার নয় একটু কমলালেবুর মত চেপ্টা..সেই ছোটবেলায় পড়েছি সবাই … এরো কারণ আছে। অন্য একসময় ব্যাখ্যা করব।
নতুন টপিক দেখলাম এটা। প্রাকৃতিক স্থাপত্যের উপর দেখি অনেক বড় বড় গবেষণা হচ্ছে। 🙂 আরো পর্ব আশা করছি।
গ্রহের কেন্দ্রের গ্যাসের বলয় বলেছেন? না কি পুরো সৌরজগতের কেন্দ্রের গ্যাসের বলয় বলেছেন ঠিক ধরতে পারি নাই। জানামতে, পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রে রয়েছে কঠিন সব পদার্থ , সম্ভবত লৌহ। আর তার বাইরে আছে তরল লাভার আস্তরণ। এই তরল ভিত্তির উপরই সাঁতার কেটে চলেছে মহাদেশিক ‘বাসন’। :পি
এই সাঁতার কাটার সাথে খেলনার যে তুলনাটা করলেন, অনেক ভাল লাগলো।
:love: রিরাইট করলাম। দেখেন তো পড়ে ক্যামন লাগছে ।
ধন্যবাদ ভাই 😀 পুরোটাই আমার একবারে চিন্তা করা বেশী চেঞ্জ করি নাই।
– “ঠিক সেন্টারে গ্যাস বলয় নিয়ে নিজের অক্ষে ঘুরে চলেছে সব গ্রহগুলো”… লিখলে ভাল হোত।
প্রাকৃতিক স্থাপত্যের উপর দেখি অনেক বড় বড় গবেষণা হচ্ছে – হ্যা, গবেষণার জন্য সবাই প্রাকৃতিককে ব্যবহার করছে কারণ আমরা নতুন মডেল নিখুত পাই প্রাকৃতিতে !! রোবট বানানো হচ্ছে বিভিন্ন কীটের হাটার স্টাইল অনুকরণ করে , এমনকী সামাজিক বন্ধনেও !
কিন্তু আসলে আরো বিস্তারিত লেখা দরকার ছিলো 🙁
ভাল থাকবেন 😀
আরে দারুণ তো! 😀
প্রথমবার মনোযোগ দিয়ে পড়ি নি, এখন পড়ে মজা পেলাম।
আরও পড়তে চাই। 🙂
ভাল লাগছে শুনে 😀
কিন্তু দোষটা মনে হয় আমার ঘাড়ে আসবে, আমার ফেসবুকে অনেক লেখা থাকে তবে সময়ের কারণে ব্লগের মত বা বিস্তারিত করে আর লেখা হয় না। অনেকেই একই কথা বলেছে, “তোমার লেখা একবারে বুঝিনি দু বার বা তিন বার পড়ে তারপর বুঝেছি ! ”
কিন্তু আসলে আমি এভাবেই লিখেছি বা লিখি ব্যাপারটা বেশ মজার আমি যখন লিখি তখন সেটা আমার চোখে ছবির মত ভাসে। অনেক কিছু তাই অন্যের কাছে অজানা লাগে !!
আমার লেখা এখানে পাবেন আমার প্রফাইলে :
https://www.facebook.com/AbdullahaAlMamunMehedi
আবার রিরাইট করলাম। দেখেন তো পড়ে ক্যামন লাগছে ।
আপনি চাইলে পুরনো পোস্ট এডিট করে দিতে পারেন। কিন্তু একই বিষয়ে একই মেসেজ সম্বলিত পোস্ট নতুন কোন অর্থ প্রকাশ না করায় তা পৃথক পোস্ট হিসেবে গণ্য করা সম্ভব হচ্ছে না।
ok 🙂
ধন্যবাদ ভাইয়া রিরাট ভার্সন আবার পোস্ট করার জন্য :love: