ক্ষুদ্র প্রার্থনাঃ নির্মল পরিবেশের জন্য

ছোটবেলায় নতুন বছরটা অনেক অপেক্ষার ছিল। নতুন বছরের জন্য স্বাভাবিক উত্তেজনা তো ছিলই, সাথে আলাদা করে ছিল নতুন বছরের নতুন ক্যালেন্ডারের প্রতি আকর্ষণ। অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম আব্বু কবে নতুন ক্যালেন্ডার নিয়ে বাসায় আসবে। কেন জানি ক্যালেন্ডারের প্রতি আমার প্রচন্ড এক মোহ কাজ করত- দেশ-বিদেশের সুন্দর সুন্দর ছবিতে ভরপুর থাকতো প্রতিটি পাতা! মূলত ওইসব  ছবি থেকেই ক্যালেন্ডারের প্রতি আগ্রহ। অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতাম- বিদেশ কত সুন্দর!

এখন নিজের ধৃষ্টতার কথা মনে পড়লে হাসি পায়, সাথে রাগ ও উঠে। কী আর করব এখন! বাচ্চা ছিলাম- এই ভেবে নিজেকে মাফ করে দেই…… 😛

আমার মত সব বাচ্চাই কি ছোটবেলায় এমন ভাবত?! এমন ভাবে?! আচ্ছা যাকগে বাচ্চাদের কথা। বড়রা নিশ্চয়ই এমন ভাবে না- যেমন আমি এখন আর ভাবিনা……

আমি এখন ভাবি আমার নিজের দেশের কথা। পরিষ্কার-পরিছন্ন, ঝকঝকে- তকতকে ছবির মত সুন্দর দেশ। এবং ছোটবেলায় কে কী ভাবত না জানলেও, এখন যে এটিই সকলেরই চাওয়া, তা কাওকে জিজ্ঞেস না করেই বলে দিতে পারি।

ঘটনাঃ

গত বছর শীতের শুরুর দিকের ঘটনা মনে হয়। কী কারণে যেন তাড়াতাড়ি ক্লাস শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তো ‘না-পেয়ে-পাওয়া’ সে সময়কে কড়ায়-গণ্ডায় উসুল করার জন্য সব বান্ধবীরা মিলে বের হয়ে গেলাম খাওয়া-দাওয়া ভ্রমণে। ক্যাম্পাস থেকে শাহ্‌বাগ পর্যন্ত যেতে যা যা খাওয়ার পড়ে সব ধ্বংস করতে করতে কোনোরকমে শাহ্‌বাগ যেয়ে পৌঁছালাম। পাবলিক লাইব্রেবীর সামনে থেকে প্রত্যেকে যার যার আলাদা আলাদা প্যাকেটে গাবদা-গোবদা কয়েকটা সিঙ্গাড়া নিয়ে যেয়ে বসলাম লাইব্রেরীর সিঁড়িতে। গল্প করতে করতে খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করার পর আবিষ্কার করলাম- এখন আমাদের প্রত্যেকের হাতে একটা করে নোংরা প্যাকেট এবং আশপাশ অত্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সিঁড়ির নীচেই ডাস্টবিন আছে। আলসেমি করে নীচেও যাচ্ছি না। আড্ডা ছেড়ে কে উঠে নিচে যেয়ে সামান্য ময়লা ফেলে আসবে। কিন্তু তারমানে এও না যে আমরা ওখানেই ময়লা ফেলে দিচ্ছি। এবং আরো অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম- আমারা কেউই ময়লা আশেপাশে ফেলছি না। যতক্ষণ আড্ডা দিলাম ততক্ষণ হাতে/পাশে প্যাকেট রেখে বসে ছিলাম। গল্প শেষে যাওয়ার সময় সিঁড়ি থেকে নিজের ময়লা প্যাকেট নিজেরা কুড়িয়ে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে চলে আসলাম………

উপলব্ধিঃ

সেদিনের উপলব্ধি করলাম- সুন্দর আসলে আমাদের সবারই কাম্য, আমারা ভীষণ ভাবে চাই-একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর দেশ। কিন্তু একটু এগিয়ে যেয়ে কেউ কিছু করবো না। তবে এতোটুকু বিশ্বাস দেশবাসীর প্রতি আমার আছে- তাঁদের যদি কোনো ভাবে একটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ এনে দেওয়া যায়- তবে তাঁরা অবশ্যই সেটিকে ময়লা না করে সংরক্ষণের চেষ্টা করবে। ১০ জনের মাঝে ৮ জন হলেও করবে। আর যে ২ জন করবে না, তাঁরা ওই ৮ জনকে দেখে শিখে নেবে।

আমরা যা করিঃ

ছোট ছোট শিশু গুলো হচ্ছে অমূল্য রত্ন। এটিই শেখার বয়স, আমরা যা শেখাবো তাতো শিখবেই, সাথে সাথে যা শিখাবো না কিন্তু নিজেরা করবো, তাও তাঁরা আমাদের দেখে দেখে শিখে ফেলবে। আমরা বাচ্চাদের নিয়ে শিশু-পার্কে যাই। সুন্দর মনোরম পরিবেশে চিপস, আইস-ক্রীম কিনে দেই, তারপর খাওয়া শেষে কোথাও ময়লা ফেলার জায়গা না পেয়ে (সম্ভবত না খুঁজেও) বলি- ‘বাবা, এখানেই মাঠের এক ধারে ফেলে দাও’। তারপর সবুজ ঘাসের মাঝে যাবতীয় প্যাকেট ফেলে, হাওয়াই-মিঠাই খেতে খেতে আমারা বাড়ি ফিরে আসি……

রাস্তার ধারে মাঝে মাঝে ডাস্টবিন দেখতে পাই। কিন্তু ডাস্টবিনের ভিতরে কোন ময়লা নাই,বাইরে চারিদিক ময়লায় ভরা। আমরা ময়লা ফেলতে বাসা থেকে ডাস্টবিন পর্যন্ত হাঁটতে হাঁটতে যাই, কিন্তু ডাস্টবিনের কাছে যেয়ে আর দু’পা এগিয়ে ডাস্টবিনের ভিতরে ময়লা ফেলি না, দু’কদম আগ থেকে থলেটা ছুঁড়ে দিয়ে দৌড়ে বাড়ি ফিরি………

এই আমরাই হাঁটতে হাঁটতে হাতের টিস্যুটা ফেলে দিয়ে চলে যাই আবার আমরাই দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে হাঁটি!

আমাদের যা করনীয়ঃ

খুব বেশি কিছু আমাদের করতে হবে না। শুধু নিজ নিজ অবস্থান থেকে একটু সচেতন হলেই হবে। আমারা আমাদের উচ্ছিষ্ট ময়লাগুলো যেখানে-সেখানে না ফেলে একটু কিছুক্ষণ রেখে দেই। চোখের সামনে ডাস্টবিন না থাকলেও আশেপাশে কোথাও কিন্তু নিশ্চয়ই থাকবে। আর যদি আশেপাশে নাও থাকে তাতে কী! আমরা ব্যাগে রেখে দেই, পরে ডাস্টবিন পেলে ফেলে দিব। আমারই তো ব্যবহৃত টিস্যু, কিছুক্ষণ আগেও আমার হাতে ছিল, তাহলে এখনই এত ঘৃণা কেন? আর কিছুক্ষন রেখে উপযুক্ত কোনো যায়গায় ফেলে দেই…… কিন্তু তারমানে আবার এই না যে আমরা রাস্তার পাশের নালায় ময়লা ফেলব!

শুধু নিজের অবস্থান থেকে ব্যাক্তিগত ভাবে যদি এতোটুকু করা যায় তাহলে ও তো মনে হয় অর্ধেক ময়লা কমে যাবে। আর এরপর শুধু অভ্যাসটাকে ছড়িয়ে দেওয়া……

Let’s Do It! World

Let’s Do It! World-সারা পৃথিবীর মানুষ নিয়ে সভ্য জাতির আয়োজিত এক পদক্ষেপ যা  ধারাবাহিক ভাবে স্থানীয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার কাজ করবে। এটি প্রথম সম্পন্ন হয় ২০০৮ সালে ইস্তোনিয়াতে।(উত্তর ইউরোপের বাল্টিক অঞ্ছলের একটি অঙ্গরাজ্য। এর উত্তরে ফিনল্যান্ড, দক্ষিণে লাতভিয়া, পশ্চিমে বাল্টিক সাগর এবং পূর্বে রাশিয়া।) প্রথম অ্যাকশানে তাঁরা ৫০,০০০ ভলেন্টিয়ার নিয়ে ১০,০০০ টন অবাঞ্ছিত আবর্জনা পরিষ্কার করে। পরবর্তীতে অন্যান্য দেশ গুলোও তাঁদের অনুসরণ করে কাজ করা শুরু করে। ২০১১ সালের শেষ দেখা যায় ১৬টি দেশে ২.৫ মিলিয়ন মানুষ Let’s Do It! World এ কাজ করেছে।

২০১২ সালে, ২৪শে মার্চ থেকে ২৫শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এক অ্যাকশান অনুষ্ঠিত হচ্ছে যা সকল উপমহাদেশের ১০০টি দেশ নিয়ে হবে। স্লভেনিয়া এবং পর্তুগালের ভলেন্টিয়ারদের হাত ধরে অ্যাকশানটি ২৪শে মার্চ শুরু হয়।

Let’s Do It!– এর মত অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন ধরণীর জন্য ১০টি পদক্ষেপ-

১। পথঘাট, বন-জঙ্গল, নদী-সাগরে আবর্জনা না ফেলা, কারণ তা আবার আমাদের মাঝেই তাহলে ফিরে আসবে।

২। ব্যবহৃত জিনিস থেকে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন জিনিস আলাদা করা। এতে আবর্জনাও কমবে, সাথে পুনরায় ব্যবহারের ব্যাবস্থাও হবে।

৩। কোন কিছু ভেঙ্গে, নষ্ট হয়ে গেলে প্রথমে তা ঠিক করার চেষ্টা করা উচিৎ। না পারলে পুনর্ব্যবহারপযোগী করা। অথবা অন্য কারো প্রয়োজন থাকলে তাঁকে দিয়ে দেয়া।

৪। আপাত  দৃষ্টিতে মনে হয় পুড়িয়ে আবর্জনা ধ্বংস করা যায়, কিন্তু তা আসলে ভুল। এটি আসলে পরিবেশ দূষণের নামান্তর মাত্র।

৫। খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলে না দিয়ে মিশ্র, জৈব সারের জন্য ব্যবহার করা উচিৎ।

৬। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহারে মনোযোগ দেয়া উচিৎ, তাহলে অতিরিক্ত অংশ নষ্টের পরিমান কমে যাবে।

৭। প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার।

৮। অতিরিক্ত প্যাকেট এবং ক্ষণস্থায়ী পণ্য ব্যবহার থেকে দূরে সরে আসা।

৯। পরিবেশ-আইন মেনে চলা এবং সম্ভব হলে উৎপাদন স্থল থেকে পণ্য কেনা, তাতে প্যাকেটের ব্যবহার কমে যাবে।

১০। নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া এবং সেই সাথে বন্ধু- বান্ধবের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।

সুন্দর হোক আমাদের পৃথিবী। 🙂 🙂 🙂

তথ্যসূত্র:

১। ((http://en.wikipedia.org/wiki/Let%27s_Do_It!_World))

২। ((http://letsdoitworld.org/10-steps-to-clean-world))

৩। কেউ যদি ফেইসবুকে Let’s Do It! World- এর পেইজে জয়েন/ ঘুরে আসতে চান- ((https://www.facebook.com/letsdoitworld))

 

বৈরাগী সম্পর্কে

প্রকৃতি যেন আমার হৃদস্পন্দন__বৃষ্টি যেন আমার বেঁচে থাকার কারণ__সবুজকে বন্ধু করতে চাই,যেন সারা জীবন তারই সাথে কাটিয়ে যাই__আকাশ- হোক না ঝলমলে অথবা কালো,চোখ মেলে তাকেই যেন দেখতে পাই
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে উদ্যোগ, বিবিধ, সচেতনতা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

11 Responses to ক্ষুদ্র প্রার্থনাঃ নির্মল পরিবেশের জন্য

  1. অসাধারণ একটা লিখা, ঠিক এরকম একটা লিখা লিখতে হবে, লিখা দরকার বলে বলেও শেষ পর্যন্ত লিখে উঠতে পারি নি!! আজকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো! কথাটা খুব সত্য, করা কঠিন কিছু না, শুধু নিজের নিজের জায়গায় থেকে নিজের কাজটুকু করা, আর সদিচ্ছা! দারুণ একটা বার্তা, আমি বিশ্বাস করি আমার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব আমি করার চেষ্টা করি, বাদাম খেয়ে খোসাটা আরেকটা ঠোঙ্গায় রাখা, পানির বোতলটা যেখানে সেখানে না ফেলা, যতটুকু সম্ভব……

    আর নিজের বন্ধুগুলোকে বোঝানো জিনিসটা, অসাধারণ লিখা……

    হ্যাটস অফ, যতটুকু পারি শেয়ারের চেষ্টা করবো…… :dhisya:

    • বৈরাগী বলেছেনঃ

      ধন্যবাদ। 😀
      নিজের ভাবনার সাথে যখন কারোটা মিলে যায় তখন খুব ভালো লাগে। 🙂 অন্য সময় একটা আশংকা কাজ করে-“যা বুঝাতে চাচ্ছি বুঝবে তো লোকে”… কিন্তু মিলে গেলে আর ভয় টা থাকে না, সে যায়গায় দ্বিগুণ আনন্দ কাজ করে। :happy:
      বুঝতে পারার জন্য, নিজে চেষ্টা করবেন/করেন- তার জন্য চারগুন আনন্দ। :beshikhushi:
      নিজের বন্ধুদের বোঝানো, শেয়ারের চেষ্টা- তার জন্য আটগুণ আনন্দ… :yahooo:

  2. সামিরা বলেছেনঃ

    লেখাটা এত ভাল লাগলো আমার!
    তুমি খুব তাড়াতাড়ি ভুল শুধরে নাও, এই জিনিসটা খেয়াল করলাম। তোমার লেখার প্রেজেন্টেশন ভাল হচ্ছে দিনকে দিন। 😀
    এত ভাল আর দরকারি একটা বিষয় নিয়ে লিখেছো সেটা দেখেও খুব ভাল লেগেছে।
    সমালোচনা করতে পারি কালকে আবার পড়ার পর।

    • বৈরাগী বলেছেনঃ

      ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!! :penguindance:
      এত্ত এত্ত ভালো দুইটা টিচার পেয়ে যদি কিছু শিখতে না পারি তাহলে তো আমার টিচার দুই টাকেই পরোক্ষ ভাবে খারাপ করা হবে। :nono: লোকে বলবে এরা কিছু শিখাতে পারে নাই। :brokenheart: এত্ত সুইট দু’টা আপ্পি কে কীভাবে লোকের কাছে খারাপ করি…… :love: :love: :love:
      আল্লাহ্‌ কালকের দিনটা যেন একটু দেরি করে আসে…… :voypaisi:

  3. জ্ঞানচোর বলেছেনঃ

    অন্যরকম লেখা। 🙂 অন্যরকম চিন্তা। সবাই ভাবে । কিন্তু করে কয়জন? “লেটস ডো ইট” এর কার্যক্রমের ব্যপ্তি দেখে অবাক হলাম।
    :beshikhushi:
    কিছুটা আশা জাগানোর মতন অবস্থা দেখি। তবে, আমরা কিন্তু দাঁড়িয়ে আছি বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা রাজধানীর বুকে। যেখানে মানুষের আধিক্যই বোঝা। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের চিন্তাই নেই প্রশাসকদের।

    কিন্তু, আমাদের তরুণদের মাঝে পরিষ্কার থাকার প্রবণতা আছে। আপনার ঘটনা পড়লেই বোঝা যায়। তবে একটা বিষয়কে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো। আপনারা ময়লা ফেলার জন্য সিঁড়ির পাশেই পেয়েছেন ময়লার বাকসো। এবং, স্বভাবতই, সেই বাকসো এবং সিঁড়ি পরিষ্কার করার জন্য কোন পরিষ্কারকর্মী। দেশের কয়টা জায়গায় আর তা পাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর পাশের জায়গাটা মাঝে মধ্যে বেশ কষ্ট দেয়। চানাচুরের প্যাকেটে ভরা। কয়েকটা প্লাস্টিকের বাকসো বসিয়ে দিলেই তো হয়।

    যে সিদ্ধান্তে যেতে চাইছি তা হলো, এসব পাবলিক প্লেসের রক্ষণাবেক্ষণ যারা করেন, আমাদের উচিত, তাদেরকেই রাজি করানো।

    বাকিটা এমনিতেই হবে। 😛

    • বৈরাগী বলেছেনঃ

      সেটাই আসলে প্রধান এবং প্রধান কাজ। পরিষ্কার যায়গা দেখলে এবং হাতের কাছে ‘ময়লার বাকসো’ পেলে কিন্তু সেখানে ময়লা ফেলার প্রবণতা স্বভাবতই আমাদের কমে যায়। 🙂

  4. সিরফল বলেছেনঃ

    ছড়িয়ে দেবার মত লেখা! অসাধারন লেখা! আরেক বার যেন সচেতনতা নাড়া দিয়ে গেল।আমার ব্যাগে চকলেট এর খালি প্যাকেট পাওয়া যায় এটা জানাতে এতো আনন্দ লাগছে কেন বুঝলাম না
    : p।

    • বৈরাগী বলেছেনঃ

      সেই সাথে পথ থেকে ঠোঙ্গা কুড়াতেও এখন আর খারাপ লাগে না 😛
      ধন্যবাদ 🙂
      ছড়িয়ে দেবার চিন্তাটা যে আসছে সেটাই অনেক।:) ছড়িয়ে দিন, ভালো লাগবে অনেক 🙂

  5. নূসরাত রহমান বলেছেনঃ

    chomotkar! chomotkar!!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।